FAO এর উদ্যোগে বাংলাদেশের অবহেলিত কাঁঠাল রপ্তানি বানিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করে দেশের স্টার ফ্রুট হিশেবে স্বীকৃত হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন 'এক দেশ এক অগ্রাধিকার পণ্য' (One Country One Priority Product-OCOP) প্রকল্পটি শুরু করেছে দেশের ক্ষুদ্র কৃষক এবং উদ্যোক্তাদেরকে সহায়তা করার জন্য, গ্লোবালি তাদেরকে কানেক্ট করার জন্য। বাংলাদেশের জাতীয় ফল পুষ্টিকর কাঁঠাল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক পরিসরে জন্মানো ফলগুলোর একটি, যার বিশাল সম্ভাবনার প্রায় পুরোটাই অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) কাঁঠালের উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী সঠিক উপায়ে এর প্রচার, ব্র্যান্ডিং ও বাজারজাতকরণে সহায়তা করে এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁঠাল থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যার উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশ দখল করতে পারে। বার্ষিক উৎপাদনের দিক থেকে, আমের
ভৌগোলিক নির্দেশক
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন তৈরিতে করণীয়
কোনো ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, সঠিক নিয়মে পণ্যটির ডকুমেন্টেশন তৈরি করা। অনেক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্যের জিআই প্রাপ্তি আবেদনের পরও আটকে যায়, বাতিল হয়, শুধুমাত্র সঠিক ডকুমেন্টেশনের অভাবে।আমাদের দেশে ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক নীতিমালা বাস্তবায়নের পর এই দশ বছরে মাত্র ১২টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি লাভ এবং আর ৩টি অপেক্ষমান জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশ বেশ হতাশাজনক। আমাদের এই পিছিয়ে থাকার মূলে রয়েছে জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন তৈরির জন্য দক্ষ লোকের অভাব। বুঝতেই পারছি তাহলে, জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন কতটা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। কিন্তু এই কাজটাই কিন্তু আমরা এই বছর বেশ সাফল্যের সাথে শুরু করেছি। কারণ এই কাজ যতটা না চ্যালেঞ্জিং, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং হিশেবে আমরা চিন্তা করি। শুরু করার আগেই আমরা কঠিন মনে করে পিছিয়ে যাই, বেশি পারফেক্ট
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই নিয়ে সাধারণ কিছু তথ্য
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই হলো কোনো একটি এলাকার বিশেষ কোনো পণ্য নির্দেশক চিহ্ন। আর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য বলতে কোনো একটি এলাকার বিশেষ সেই পণ্যকে নির্দেশ করে যে পণ্যটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সুনাম, গুনাবলি এবং বিশেষত্ব উক্ত এলাকার সাথে গভীর ভাবে সম্পর্কিত এবং উক্ত এলাকার পরিচয় বহন করে। কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে সেই পণ্যের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয়, যার মাধ্যমে পণ্যটির উৎপাদনকারি এলাকা, উৎপাদক এবং ব্যবসায়ীরা একচেটিয়া অধিকার এবং বিশেষ নিরাপত্তা লাভ করে। জিআই এর মাধ্যমে পণ্যের সঠিক ব্র্যান্ডিং নিশ্চিত হয়, এতে ক্রেতারাও বিশেষ সেই পণ্যটিকে সহজে আলাদা করতে পারে। হস্তশিল্প, কৃষি পণ্য, শিল্প পণ্য, উৎপাদিত পণ্য, বিশেষ খাদ্যদ্রব্য, পানীয় ইত্যাদি জিআই হতে পারে। জিআই স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলো হলো- দেশের কোন এলাকায় সহজে পাওয়া যায়, এর পেছনে ওই এলাকার কী
ময়মনসিংহের সম্ভাব্য দশ জিআই পণ্য
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ জেলা এক সময় সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তর জেলা ছিল। এর বিশালতা শুধু আয়তনেই ছিল তা নয়, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা সবদিকেই এটি প্রাচীনকাল থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ একটি জেলা ছিল। বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন "ময়মনসিংহ গীতিকা" আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে, যা ময়মনসিংহ জেলার পাশাপাশি আমাদের পুরো দেশের জন্যই গর্বের কারণ। এছাড়াও সুবিস্তৃত পলিবাহী ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী ময়মনসিংহ জেলার উর্বর মাটি, পানি, জলবায়ু, প্রকৃতি এ জেলার জনপদকে প্রাচীনকাল থেকেই অনেক প্রাচুর্য আর বিশেষত্ব দিয়েছে। ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ জেলায় উৎপাদিত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অনেক পণ্যই রয়েছে, যা ময়মনসিংহের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই স্বীকৃতি লাভের যোগ্যতা রাখে। এই পণ্যগুলো প্রাচীনকাল থেকে যেমন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে, তেমনি ভাবে এগুলোর জিআই সনদ প্রাপ্তি অদূর