You are here
Home > রিসার্চ > রিসার্চ পোস্ট ১৫(Qualitative Research)

রিসার্চ পোস্ট ১৫(Qualitative Research)

Spread the love

Qualitative Research Tools

কোয়ালিটিটিভ রিসার্চ নিয়ে আগেই বেসিক আইডিয়া দিয়েছিলাম। এখন আবার এই টপিক নিয়ে পুরো একটা চ্যাপ্টার পড়ছি, তাই আবার ডিটেইলস লেখার চেষ্টা করছি বই এর টপিকগুলো ফলো করে।

** What is Qualitative Research?

কোয়ালিটিটিভ রিসার্চ মেথড কোনো বিষয় সম্পর্কে বর্ণনামূলক ব্যাখ্যা দেয়, এটা কোনো গাণিতিক ক্যালকুলেশন করে না। এটা একদম বেসিক আইডিয়া দেয় এবং অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝে মূল সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে আনার চেষ্টা করে।

এই রিসার্চ কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয় না, গঠনমূলক ওয়েতে হয় না, কোনো কুয়েশ্চনারি স্ট্রাটেজি এটা এপ্লাই করে না।

রিসার্চাররা নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের ইন্টারভিউ নিয়ে বা তাদেরকে অবজার্ভ করে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেগুলোকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়ে কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ ডিজাইন করে থাকে।

** Uses of Qualitative Research:

• মূলত এটা কোয়ানটিটিভ রিসার্চ করার আগের ধাপ, যা থেকে যে কোনো বিষয়ের উপর প্রাথমিক ধারণা নেয়া হয়, এটিই পরবর্তীতে কোয়ানটিটেটিভ রিসার্চ এর জন্য প্রব্লেম স্টেটমেন্ট, অব্জেক্টিভ আর হাইপোথিসিস গঠনে সাহায্য করে।

• এ ধরনের রিসার্চ অনেক সময় কোনো গাণিতিক বিশ্লেষণ ছাড়াই সেরা ফলাফল বের করে আনতে পারে। অনেক সময় কোনো ব্যাপারে গভীর পর্যবেক্ষণের দরকার হলেও কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ করা হয়। কারণ এটি কোনো স্ট্রাকচারড ইন্টারভিউ না হওয়ায়, কোনো লিডিং কুয়েশ্চনারি না হওয়ায়, মানুষ ফ্রি লি মতামত দিতে পারে, টপিক নিয়ে নিজেদের সব কথা মন খুলে বলতে পারে, আর তাই একদম সঠিক তথ্যগুলো বের হয়ে আসে কোনো ইন্টারেপশন ছাড়া।

• কোয়ালিটিটিভ রিসার্চে ওপেন এন্ডেড কুয়েশ্চন করা হয়, ফলে এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি নতুন কোনো প্রোডাক্ট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত এবং প্রোডাক্ট আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কাস্টমারদের চাহিদা বোঝার মাধ্যমে অথবা কোনো সার্ভিসেও প্রয়োজনমত পরিবর্তন আনতে পারে।

• সর্বোপরি, এই কোয়ালিটিটিভ রিসার্চ যে কোনো বিষয়ের অস্পষ্টতা দূর করে, ক্লিয়ার আর ইনোভেটিভ আইডিয়া ক্রিয়েট করতে সাহায্য করে।

** Major Categories of Qualitative Research:

1) Phenomenology:

Philosophy এবং Psychological রিসার্চের ক্ষেত্রে Phenomenology Approach ব্যবহার করা হয়। মানুষের অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশ, পরিস্থিতি, চারপাশের অন্যান্য মানুষ ইত্যাদির আলোকে আচরণের যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়, সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয় এ ধরণের রিসার্চের মাধ্যমে।

এই রিসার্চ পদ্ধতিতে ফেইস টু ফেইস ইন্টারভিউ নেয়া হয় এবং সেগুলোর ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিং করে রাখা হয়, তারপর সেগুলোকে রিসার্চার তার ভাষায় ব্যাখ্যা করে।

তবে এক্ষেত্রে সরাসরি এক কথায় উত্তর হয়ে যায় এমন কোনো প্রশ্ন করা যাবে না, কোনো ঘটনা, অভিজ্ঞতা বা বিষয় নিয়ে গল্প বলার মতো করে ব্যাখ্যামূলক উত্তর যেন আসে, এমন প্রশ্ন করতে হবে৷

রিসার্চার কথা বলবে কম, শুনবে বেশি। ফ্রিভাবে কথা বলার জন্য যতটুকু সম্ভব কমফোর্টেবল পরিবেশ চারপাশে সৃষ্টি করতে হবে। যাদের ইন্টারভিউ নেয়া হবে তাদের প্রাইভেসি রক্ষার্থে নাম ব্যবহার করা হবে না। প্রয়োজন হলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস কথা বলে, দেখা করে একটা সহজ সম্পর্ক তৈরী করতে হবে যেন, মন খুলে কথা বলতে পারে।

2) Ethnography:

এই কোয়ালিটিটিভ রিসার্চ পদ্ধতিতে কোনো একটা কোম্পানি বা দেশের কালচারের ভেতর ঢুকে গিয়ে, সেই কালচার এবং এর মানুষগুলোকে বোঝার চেষ্টা করা হয় দীর্ঘ সময় অবজার্ভেশনের মাধ্যমে। এই রিসার্চের ক্ষেত্রে তাই অবজার্ভেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেমনঃ কোনো একটা অর্গানাইজেশনের কালচার বুঝতে রিসার্চার সেখানের একজন এমপ্লয় হিসেবে কাজ শুরু করে, সাধারণ এমপ্লয় হিসেবে সবার সাথে কথা বলে, কাউকে বুঝতে দেয় না যে, সে রিসার্চের উদ্দেশ্যে এখানে আছে। এতে অর্গানাইজেশনের সবাই একদম স্বাভাবিক আচরণ, চিন্তা ভাবনাটাই তার সাথে প্রকাশ করে, এতে তার সবাইকে বুঝতে সুবিধা হয়। নিরবে সবকিছু অবজার্ভ করে, রিসার্চার তখন এক্সাক্ট তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারে, ওই অর্গানাইজেশনের সমস্যা, সুবিধা অসুবিধা চিহ্নিত করা সহজ হয়।

এই পদ্ধতিতে অনেক কোম্পানিতেই রিসার্চ করা হয় কোম্পানির ইন্টার্নাল সমস্যাগুলো বের করার জন্য, এপ্লয়দের পারফরমেন্স এনালাইসিস করার জন্য। ঠিক একিভাবে রিসার্চার কাস্টমারদের সাথে কাস্টমার হয়ে মিশে যেতে পারে, প্রোডাক্ট সার্ভিস সেটিস্ফেকশন নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য।

3) Grouned Theory:

এর মাধ্যমে রিসার্চার রেসপন্ডেন্টদের থেকে পাওয়া পূর্বের কোনো তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন করে আরও গভীরভাবে এনালাইসিস করার জন্য। বিভিন্ন রেসপন্ডেন্টদের থেকে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যগুলোকে সমন্বয় করে সেগুলোর কমন কনসেপ্ট এবং পার্থক্যগুলো বের করার চেষ্টা করা হয়। এর মাধ্যমে ডাটা এনালাইসিস এবং থিউরি বিল্ডিং এর মাঝে লিঙ্ক তৈরী করা হয়।

4) Case Study:

কেইস স্টাডির মাধ্যমে কোনো বিজনেস বা অর্গানাইজেশনের একটা নির্দিষ্ট অব্জেক্ট, পরিস্থিতি, ব্যাক্তি, ইভেন্ট বা কার্যক্রম কে ফোকাস করে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং সেটাকে ডাটা কালেকশনের বিভিন্ন মেথড ফলো করে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে এনালাইসিস করে এক্সাক্ট রেজাল্ট বের করার চেষ্টা করা হয়, কেইস স্টাডির ক্ষেত্রে অনেক সময় SWOT এনালাইসিসও করা হয়ে থাকে।


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: