বুক রিভিউ (লা মিজারেবল) বুক সামারি & রিভিউ by খাতুনে জান্নাত আশা - July 30, 2021July 30, 20210 Spread the lovemore রিভিউ করছি ফরাসী লেখক ভিক্টর হুগোর “লা মিজার্যাবল”।গল্পটায় শেখার মতো অনেক কিছু আছে।(সোয়াপিবুকসে(ফেসবুক বই পড়ুয়াদের একটা গ্রুপ-Swapybooks) আলাদাভাবে ৩টা পোস্ট আকারে যা লিখেছিলাম তা একসাথে দিয়ে দিলাম।) পর্ব ১ঃ গল্পের শুরু হয়েছে এক গরিব কাঠুরে জাঁ ভ্যালজাঁ কে নিয়ে যে ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী আর পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান মানুষ যে কোনো ঝামেলায় মুষড়ে পরে না, কাঠ যত শক্তই হোক জাঁ সেটাকে চিরতে ভয় করেনা, যতক্ষনই কাজ করতে হোক না কেনো কখনোই সে কাজে একবিন্দু ফাঁকি দেয় না। শহরের লোক তাই তাকে খুঁজে বের করে, ওর কাজের কখনো অভাব হয় না। ওর এই গুনগুলো কিন্তু আমাদের অনেক কিছু শেখায়। জাঁ ছোটবেলায় মা-বাবা কে দেখেনি, বোনের কাছেই বড় হয়েছে। হঠাৎ তার ভগ্নিপতির মৃত্যু তে সংসারের হাল ধরার জন্য, বোনের সাতটা বাচ্চার বরন- পোষনের জন্য তাকে কুঠার কাঁধে নিয়ে বেরুতে হয়। কিন্তু হঠাৎ ই এক শীতকালে তার কাঠ কাটার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সবাইকে না খেয়ে দিন যাপন করতে হয়, বোনের বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত চিৎকারে দিশা হারিয়েই জাঁ চুরি করে বসে এক রুটির দোকানে আর এই সামান্য রুটি চুরির দায়ে ওকে ১৯ বছর জেল খাটতে হয়। আসলে প্রথমে ওর কারাদন্ড হয়েছিল ৫ বছরের জন্য, কিন্তু সে বার বার পালানোর চেষ্টা করে, আর ধরা পরে, এতে মেয়াদ বাড়তে থাকে। আর এটা তো সাধারণ জেল খাটা নয়, পুরো ১৯ টা বছর জাহাজে ওকে শেকল পরা অবস্থায় দাড় বাইতে হয়েছিল!! অবশেষে ১৯ বছর পর যাও মুক্তি পেলো সে, কিন্তু যেখানেই যাচ্ছিল তাকে কয়েদি বলে সবাই দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিল, তার না ছিল খাবার, না ছিল আশ্রয়। অবশেষে সৌভাগ্যক্রমে শহরের দয়ালু বিশপের বাড়িতে ওর রাজভোজ মিলে আর রাত্রি যাপনের জায়গাও হয়, কিন্তু সে তার এই আশ্রয়দাতার বাড়ি থেকে রূপার বাসন কোশন চুরি করে পালিয়ে যায়। আবার ওকে পুলিশ চুরির সন্দেহে বিশপের বাড়ি নিয়ে আসে, আর বিশপ ওকে অবাক করে দিয়ে বলে – উনি এই জিনিসগুলো জাঁ কে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। একথা শুনে পুলিশ ওকে ছেড়ে যায়, আর বিশপ ওর কাঁধে হাত রেখে বলে – আজ থেকে ওর আত্মা শয়তান থেকে ঈশ্বরের আশ্রয়ে স্থান পেয়েছে। সামান্য একটা রুটি চুরির অপরাধে একটা মানুষের জীবন থেকে ১৯ টা বছর চলে যাওয়ার মতো শাস্তি আর কি হতে পারে!!! একভাবে ভাবলে মনে হয় যে, হতদরিদ্র একটা মানুষকে এতো বড় শাস্তি দেয়া কোনোভাবেই উচিত হয় নি, আবার মনে হয়- অপরাধ যত ছোটই হোক অপরাধ, ছোট অপরাধ কে সামান্য ভেবে প্রশ্রয় দিলে বড় অপরাধ করতে দ্বিধা হবে না এক সময়। তবে জাঁ ভ্যালজাঁর এতো কষ্ট দেখে কোনো ভাবেই ওর এই শাস্তি টা আমি মন থেকে মানতে পারছিলাম না। আর জেল মুক্তির পর মানুষগুলোর এই অমানবিক আচরণগুলো তো আরও অসহ্য লাগছিল। মানুষ সত্যিই সুযোগ পেলে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিষ্ঠুর হতে ছাড়ে না!! আর এই যে জাঁ ওর আশ্রয় দাতার বাড়িতেই চুরি করল!! এটা কেনো করতে গেলো সে!! আসলে ১৯ বছর ওর জীবন থেকে এতো বাজে ভাবে চলে গিয়েছিল যে ওর মনুষ্যত্ব বোধের প্রায় মৃত্যু হয়েছিল, আর মুক্তির পর মানুষের নিষ্ঠুর আচরণ ওকে আরও অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে দিয়েছিল, ও ভালো ভাবে বাঁচতে পারবে তাই যেন ভাবতে পারছিল না৷ কিছুদিন অন্তত জীবন বাঁচিয়ে রাখতেই তাই সে চুরিটা করেছিল। তবে বিশপের এতো মধুর ব্যবহার ওকে সত্যিই স্তব্ধ করে দিয়েছিল সেদিন, এরপর দেখা যাক জাঁ’র ভাগ্য তাকে কোথায় নিয়ে যায়। পর্ব ২ঃ ভিক্টর হুগো’র “লা মিজার্যাবল” থেকে নেয়া একটা অংশ এবং শিক্ষা-(এটা অনেকটা বিজনেস কেইস স্টাডির মতো ব্যাপার, এই ঘটনাটার সাথে দারুণ একটা সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন।) ছোট শহর ‘এম’।মাত্র দুই হাজার লোকের বাস এখানে,যার অধিকাংশই বিশেষ কুটিরশিল্প অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তেমন আহামরি কোনো শিল্প নয় সেটা, শুধুমাত্র নানান রং এর পুঁতি তৈরী করা। প্রথমদিকে এই ব্যবসাটা লাভজনকই ছিল। কিন্তু এই সুসময় বেশিদিন টিকল না, কারণ বাজারে হাতে তৈরী পুঁতির জায়গা দখল করে নিতে লাগল মেশিনে তৈরী পুঁতি। হাতে তৈরী পুঁতির কারিগরদের শুরু হলো দুর্দিন, এম শহরে দেখা দিল অন্যের অভাব। এই সময়ে শহরে অতি সাধারণ একজন পরিশ্রমী মানুষের আগমন ঘটল এবং এক পুঁতির কারখানায় কারিগর হিসেবে সে কাজ নিল। ব্যবসার অবস্থা তখন এতোটাই মুমূর্ষু যে, মালিক মুনাফা পায় না, যার ফলে মজুরেরাও মুজুরি পায় না। ঠিক তখনই সেই সাধারণ লোকটা হাতে পুঁতি তৈরীর এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করল, যে পদ্ধতিতে অল্প সময়ে ভালো মানের পুঁতি তৈরী করা যায়। তবে তার এই নতুন পদ্ধতিকে কেউ পাত্তা দিল না, তখন লোকটা কারখানাটাই মালিকের কাছ থেকে কিনে নিতে চাইল এবং মালিক খুশিই হলো ওর প্রস্তাবে। কিভাবে যেন কিছু রূপার বাসন কোসনের মালিক ছিল ওই লোকটি, তাই বেচে সেই অর্থ দিয়েই কিনে নিল পুঁতির কারখানা। আর কারখানার মালিক হওয়ার পর শহরের মানুষ তার নাম জানল- “মসিঁয় মাদেলিন” নতুন পদ্ধতিতে কাজ শুরু করে মাদেলিন অল্প দিনেই কারবারটির চেহারা ফিরিয়ে ফেললেন। কলের পুঁতির উপর এইবার টক্কর দিতে শুরু করল তার হাতে তৈরী পুঁতি, কারখানা বড় হলো, বিপুল পরিমান লোক নিয়োগ হলো, শহরের আরও কয়েকটা কারখানাও তার সাথে এসে Merge করে নিল নিজেদের। সেই সাথে এম শহরে আর কোনো অসস্বছলতা রইল না, ফিরে এলো সবার মুখের হাসি। সবাই একবাক্যে স্বীকার করল যে এই শুভ পরিবর্তনের জন্য সবটুকু ধন্যবাদ এই একজন লোকেরই প্রাপ্য। সে হলো মঁসিয়ে মাদেলিন। চলেন ব্যাপারটাকে এই-বার এনালাইসিস করি পরিচিত একটা দৃশ্যপটের সাথে সাদৃশ্য রেখে। প্রথমত শুধু বিজনেস পারস্পেক্টিভ থেকে বলি, একটা শিল্প বা ব্যবসা যখন হঠাৎ করে বাজারে টিকতে না পারার মতো অবস্থায় পরে, তখন সেটাকে টিকিয়ে রাখতে কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসতে হয়। তবে এই নতুনত্ব প্রথমেই সবাই গ্রহন করবে তা নয়, কারণ এটা সম্পর্কে সবাই অজ্ঞ, এই নতুন জিনিসটা সবাইকে আগে চেনাতে হয়, এর ভালো দিক প্রমান করে দেখাতে হয়, এরপর সবাই এক সময় ঠিক আগ্রহ ভরে গ্রহন করে সেটা। আর বিজনেসের ক্ষেত্রে যে কোনো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে একটা USP- Unique Selling Proposition ক্রিয়েট করতে হয়, এই ইউনিকনেসই বাজারে দীর্ঘসময় টিকে থাকতে সাহায্য করে। সাদৃশ্যপূর্ন ব্যাপারটা হলো-আমাদের দেশের হ্যান্ডলুম তাঁতপন্যের চরম দুর্দিন এসেছিল ঠিক এমনিভাবে ইন্ডিয়ান পাওয়ারলুমের দৌরাত্ম্যে। হ্যান্ডলুম তাঁতিদের দুর্দশার শেষ ছিল না, অনেক তাঁতিরা পূর্বপুরুষদের এই ঐতিহ্য বহন কারী তাঁতের কাজ ছেড়েও দিতে চেয়েছিল বিদেশী পাওয়ারলুম পন্যের একচেটিয়া আধিপত্যের কারণে। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের মঁসিয়ে মাদেলিন ওরফে Razib Ahmed(ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ই-ক্যাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট) স্যারের আগমন ঘটল এবং দেশীয় পন্যগুলোকে নতুনরূপে নতুনভাবে উনি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শুরু করলেন, আর আজ বিশাল পরিবর্তনের প্রত্যক্ষদর্শী সবাই। বিদেশী পন্য আর চোখেই পরে না এখন, যারা আগে বিদেশি পন্য সেল করত, সবাই এখন দেশীয় পন্য সেল করছে৷ যারা বিদেশী পন্য কিনত, সবাই এখন দেশীয় পন্য কিনে গর্ব করছে।আর এই পরিবর্তনটা এনে দেয়ার জন্য একজন ব্যাক্তিরই ধন্যবাদ প্রাপ্য মনে করে সবাই, যিনি আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় @Razib Ahmed স্যার। Razib Ahmed, Founder President of E-cab, CEO of Search English, Bangladesh. পর্ব ৩ঃ জাঁ ভ্যালজাঁ আর মঁসিয়ে মাদেলিন দুইটা চরিত্রের কথা উপরোক্ত দুই পর্বে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। মঁসিয়ে মাদেলিন ছিলেন সফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি এম শহরের একজন মহানুভব ব্যাক্তিত্ব ছিলেন, যিনি খুঁজে খুঁজে অভাগা লোকজন দের দুঃখ দুর্দশা দূর করার চেষ্টা করতেন। মানুষ তাকে ভালোবেসে শহরের মেয়র পদে নির্বাচিত করে। সবাই মাদেলিন কে অন্ধের মতো বিশ্বাস করলেও একজন ওকে মনে প্রানে সন্দেহ করে, সেই লোকটা এম শহরের সৎ পুলিশ অফিসার, যে কিনা জীবনে কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয় নি, আইনের ব্যাপারে মারাত্মক কড়া সে। জাঁ ভ্যালজাঁ বিশপের কাছ থেকে পাওয়া রূপার থালা বাসন নিয়ে চলে যাবার পর আরেকটা ছোট্ট অপরাধ করে ফেলে নিজের অজান্তেই, আর এর জন্য পুলিশ অফিসারটা ওকে বছরের পর বছর খুঁজে বেড়ায়, এবং সন্দেহ করে যে, এই মাদেলিনই সেই জাঁ ভ্যালজাঁ!! সে সুযোগের সন্ধ্যানে থাকে মাদেলিন কে ধরার জন্য! ঘটনাক্রমে আরেক লোক কে বাঁচাতে মাদেলিন নিজেই তার পরিচয় জনসম্মুখে উন্মোচিত করে। সত্যিই সে জাঁ ভ্যালজাঁ, যে এম শহরে এসে প্রথমে শ্রমিকের কাজ করে, তারপর তার মেধা খাটিয়ে বিশপের দেয়া রূপোর থালা বাসন বিক্রি করে পুঁতির কারখানা কিনে নিয়ে মস্ত ধনী আর অসম্ভব দয়ালু ব্যাক্তি হয়ে উঠেছিল, যাকে কেউ আর ১৯ বছর জেল খেটে আসা দাগী আসামী ভাবতে পারত না কেউ। অবশেষে ওর পরিচয় জানতে পেরে পুলিশ অফিসার তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আজীবনের জন্য সশ্রম কারাবাসে দন্ডিত করে, আবার এই বৃদ্ধ বয়সে শুরু হয় জাহাজে জাঁ’র দাড় টানা এবং একদিন সুযোগ পেয়ে জাহাজ থেকে সমুদ্রে লাফিয়ে পরে আবার পালায় সে। এর মাঝে আবার মাদেলিনের সাথে দেখা হয়েছিল এক ফাঁতিন নামক এক অসহায় নারীর, যে তার একমাত্র মেয়ের দায়িত্ব ভার এক ধূর্ত লোকের হাতে অর্পন করে এসেছিল মাসে মাসে টাকা পাঠাবে এই শর্তে, সেই লোক আর ওর স্ত্রী ফাঁতিনের মেয়ে কোজেৎ কে দাসীর মতো খাটাত। ফাঁতিন কে মাদেলিন কথা দিয়েছিল যে, ওর মেয়ে কোজেৎ কে সে নিয়ে আসবে সেই লোকটার কাছ থেকে। এর মাঝেই ফাঁতিনের মৃত্যু হয় মাদেলিন কে আবার গ্রেফতার করার দিনেই। মাদেলিন তাই জাহাজ থেকে পালিয়ে প্রথমেই কোজেৎ কে মুক্ত করে আনতে যায়, এবং নিয়ে আসে ওর কাছে। কোজেৎ কে নিয়ে এই মাদেলিন/জাঁ ভ্যালজা পাড়ি জমায় আরেক নতুন জায়গায়, নতুন পরিচয়ে। এক সময় কোজেৎ বড় হয়, প্রাপ্ত বয়স্ক তরুনী হয়, প্রেমে পরে এক বিপ্লবী তরুণের। এই বিপ্লবী তরুণ এক বিদ্রোহের সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়, আর জাঁ ভ্যালজাঁ ওকে রক্ষা করে কোজেতের কথা ভেবে। ছেলেটার সাথে কোজেতের বিয়ে হয়ে যায়, আর জাঁ ভ্যালজাঁ ওর জীবনের সব কাহিনী কোজেতের স্বামীকে শুনায় শুধু ও যে ওকে বাঁচিয়েছিল এই কাহিনী বাদে। সব শুনে কোজেতের স্বামীও একজন কয়েদী হিসেবে ভ্যাঁলজা কে ঘৃণার চোখে দেখতে শুরু করে!! এমন পরিস্থিতি এক সময় তৈরী হয় যে, ভ্যাঁলজা কোজেৎ কে দেখতে যেতেও পারেনা।এই দুঃখী, কিন্তু অসম্ভব মনোবলের অধিকারী এই লোকটাও এতে মুষড়ে পরে খুব, অসহায়ত্ব ওকে শেষ বয়সে অসুস্থ করে দেয়, একাকী বিছানায় পরে কাতড়াতে থাকে!! ঠিক ওই সময় কোজেতের স্বামী জানতে পারে যে, বিপ্লবে প্রায় মরতে বসা তাকে এই জাঁ ভ্যালজাঁই বাঁচিয়েছিল। এটা শুনে সে অনুতপ্ত হয়, তৎক্ষনাৎ কোজেৎ কে নিয়ে ভ্যালজাঁর কাছে যায়, ক্ষমা প্রার্থনা করে আর ভ্যালজাঁ জীবন প্রায়ান্ন্যে ওদের দেখতে পেয়ে অবশেষে পরম শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে!! গল্পটা কাঁদতে বাধ্য করে!! দুঃখের পর সুখ আসে, এটা সবার ক্ষেত্রে সত্য হয় না। কিছু লোকের জন্য সুখ সে তো মরীচিকা!!তবে যাই হোক, জাঁ ভ্যালজাঁ চির দুঃখী কিন্তু কখনো হার না মানা এক চরিত্র, গল্পের পরতে পরতে তার মহানুভবতা আর দায়িত্বশীলতারও অনেক পরিচয় পাওয়া যায়। আমার আরেকটা উপলব্ধি হলো- পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই দায়ী এর সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর খারাপ হওয়ার পেছনে! কোনো মানুষ খারাপ বা অপরাধী হিসেবে জন্মায় না, তাকে এই সমাজই অপরাধী হিসেবে গড়ে উঠতে মদদ জোগায়!সমাজের মানুষগুলো যদি সহজেই ঘৃণার বদলে সহজেই ভালোবাসায় জড়াতে পারত তবে হয়ত জাঁ ভ্যালজাঁ দের জীবন এভাবে শুধু দুঃখ পেয়ে কাটত না। আর আইন!!! যত দুঃখী আর অসহায় লোকদের ক্ষেত্রে যেন আইনের হাত একটু বেশিই লম্বা হয়ে যায়!! আমি ভাবছি তৎকালীন ফরাসী আইনের এক সিঁকি ভাগ কঠোরতাও যদি আমাদের দেশের আইন প্রণয়নে থাকত, তাহলে দেশটা কিছুটা হলেও বদলাত বৈ কি!! তবে সবকিছুর সমাধান আইন করতে পারে না এটা স্পষ্ট, কিছু বিচার মনুষ্যত্ব বোধ দিয়েও করতে হয়। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore