Intrinsic Value of Financial Asset বলতে কি বোঝায়? Basic Knowledge by খাতুনে জান্নাত আশা - August 12, 2021August 12, 20210 Spread the lovemoreএমন হয় যে, অনেকের কাছে বিশাল অংকের টাকা আছে কিন্তু ইনভেস্ট করার সোর্স পায় না, পেলেও রিস্ক নিতে চায় না। তবে আসলেই যদি কেউ চায় সফল একজন ইনভেস্টর হতে, প্রথমেই তবে তাকে কিছু ফিনান্সিয়াল টার্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ফার্ম আছে, যেখানে ফিনান্সিয়াল এনালিস্টরা ইনভেস্টরদের লাভ ক্ষতি হিসাব করে বলে দেয়, কোথায় ইনভেস্ট করা উচিত আর কোথায় উচিত না। তারপরও দীর্ঘ সময় ইনভেস্টর হিসেবে সফলভাবে টিকে থাকতে হলে, ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন নিজে নিতে চাইলে, কিছু বেসিক জ্ঞান অবশ্যই থাকা চাই। আর যারা ফিনান্সিয়াল মার্কেট(স্টক বা শেয়ার মার্কেট) বা রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর, তাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হল, Intrinsic Value সম্পর্কে জানা। Intrinsic Value কি? Intrinsic value এক কথায় কোনো সম্পদের প্রকৃত মূল্য বা উপযুক্ত মূল্য, যাকে বেইজ ধরে ইনভেস্ট ডিসিশন নেয়া হয়। ফিনান্সের ভাষায়, Intrinsic value= Present value of future cash flow. (এটা ওয়ারেন বাফেটের স্ট্যান্ডার্ড) মানে আগামী বছর বা আরও কয়েক বছর পর এই শেয়ারের মূল্য কত বাড়তে পারে, তার উপর ভিত্তি করে বর্তমান মূল্য বা intrinsic value বের করা হয়। মার্কেট ভ্যালু আর intrinsic value এর মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তবে এ দুটোর প্রধান পার্থক্য হল, মার্কেট ভ্যালু অন্যের নির্ধারিত বা অন্য অনেক ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত, যার পরিবর্তনের উপর ইনভেস্টরের কোনো হাত নেই। কিন্তু Intrinsic value ইনভেস্টর নিজে ক্যালকুলেট করে ঠিক করতে পারে। যাকে ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়, এই কোম্পানির বর্তমান অবস্থা কেমন এবং এর শেয়ার কেনার জন্য তার ঠিক কত টাকা ব্যয় করা উচিত বা কেনা উচিত হবে কিনা! আমরা অনেক সময় কোনো জিনিসের দাম এমনি অব্জার্ভ করে পরিমাপ করে ফেলি যে, এটার দাম এমন হলে ঠিক ছিল। এর বেশি দিয়ে কেউ কিনলে বলি ঠকেছেন, আবার কম দিয়ে কিনলে বলি জিতেছেন। তবে আপনি যখন কোনো ফিনান্সিয়াল Asset কিনতে যাবেন, যেমন কোনো কোম্পানির শেয়ার বা কোনো জমি বা বাড়ি তখন সেটার প্রকৃত ভ্যালু বা intrinsic value বের করা বেশ জটিল একটা কাজ। এর নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই আসলে। Intrinsic value এর চেয়ে কম প্রাইসে শেয়ার কিনতে পারলে, সেটাকে বলা হয় Undervalued Share এবং এর দাম ভবিষ্যতে বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর intrinsic value থেকে বেশি প্রাইসে শেয়ার কিনলে সেটাকে Overvalued share বলা হয়, যার দাম ভবিষ্যতে কমতে পারে এবং এই শেয়ার কিনা মানে লসের আশঙ্কা। কিছু ফর্মুলা এজন্য এনালিস্ট রা ঠিক করেছে, যা দিয়ে ক্যালকুলেট করে intrinsic value বের করা হয়, যাকে শতভাগ সঠিক বলে কেউ নিশ্চিত না করলেও, সারাবিশ্বের ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশনগুলো নেয়া হয় এভাবেই। ধরা যাক, আপনি কোনো একটা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন বলে ভাবলেন। দেখা গেল এই কোম্পানির শেয়ারের মার্কেট প্রাইস বর্তমানে ৩০৳। আপনার এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা যে, ৩০৳ দিয়ে শেয়ার কিনলে কি ভবিষ্যতে এর দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। এটা বোঝার জন্য আপনাকে দেখতে হবে, এই কোম্পানির শেয়ারের Intrinsic value কত! তখন Intrinsic value বের করার জন্য আপনাকে কোম্পানির বর্তমান অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে সার্বিকভাবে। যে কোনো কোম্পানি সম্পর্কে জানার সবচেয়ে সহজ উপায় সেটার ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট চেক করা। আর প্রত্যেকটা কোম্পানির ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বর্তমানে তাদের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায়। আর, সেখান থেকে ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট খুব সহজেই এনালাইসিস করে কোম্পানির অবস্থাটা বোঝা যায়। Intrinsic value বের করার সবচেয়ে সহজ ফর্মুলা হচ্ছে – Total Asset- Total Liability এই দুইটা টার্ম ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট থেকে খুব সহজেই পাওয়া যাবে, তাই ক্যালকুলেট করতে অসুবিধা হবে না। ইজি ওয়ে বলে, এর একুরেসি কম বলে বিবেচনা করা হয়। আচ্ছা ধরেন, সেই কোম্পানির intrinsic value অনুযায়ী এর শেয়ার প্রাইস হওয়া উচিত ৫০টাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা গেল, কোম্পানির কোনো একটা প্রজেক্ট রিসেন্টলি ফেইল করেছে। এই খবর মিডিয়ায় আসার সাথে সাথে শেয়ার প্রাইসে ধ্বস নেমে ৫০ টাকা থেকে মার্কেট প্রাইস ৩০৳ হয়ে গেল, কিন্তু intrinsic value কিন্তু সেই ৫০৳ ই থাকবে। যেহেতু এটা সাময়িক একটা সমস্যা এবং এটা বেশ স্ট্যাবল একটা কোম্পানি, খুব দ্রুতই এই সমস্যা সামলে উঠবে। তাই তখন অনেক ইনভেস্টর রা ভবিষ্যতে লাভের চিন্তা করে ৩০ টাকায় এই Undervalue শেয়ার Discount Rate এ কিনে রাখবে। এভাবেই মূলত শেয়ার বাজারে অভিজ্ঞ ইনভেস্টররা ইনভেস্ট করে প্রফিট করে থাকে। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore