Types of Errors in Survey Research রিসার্চ শিক্ষা by খাতুনে জান্নাত আশা - August 19, 20211 Spread the lovemoreErrors in Survey Research সার্ভে রিসার্চের ক্ষেত্রে কিছু ভুল থেকেই যায়। শতভাগ নির্ভুল এনালাইসিস করা সম্ভব হয় না বিভিন্ন কারণে, তবে সর্বোচ্চ নির্ভুল রেজাল্ট পাওয়ার চেষ্টা সব সময় থাকে এবং রিসার্চের শেষে একুরেসি মেজার করা হয় যে, কত পার্সেন্ট সঠিক রিসার্চ রেজাল্ট রিসার্চার বের করতে পেরেছে। প্রধানত রিসার্চ এর Survey Error কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। Random Sampling Error and Systematic Error ** Random Sampling Error: স্যাম্পল সাইজের উপর Random Sampling Error নির্ভর করে। স্যাম্পল সাইজ যত বেশি নেয়া হয়, ভুলের হার তত হ্রাস পায়। স্যাম্পল সাইজ সাধারণত ৪০০ এর কম নেয়া হলে তবে এই Error দেখা যায়। ৪০০ থেকে যত কম স্যাম্পল নেয়া হয় ভুলের হার তত বাড়ে এবং ৪০০ এর থেকে যত বেশি ধরা হয় ভুলের হার তত কমে যায়। ** Systematic Error: Systematic Error কে Non Sampling Error ও বলা হয়। রিসার্চ ডিজাইনিং এ এবং এর কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রয়োগে বিভিন্ন ভুল থেকে এ ধরণের Error হয়ে থাকে। Random Sampling Error ছাড়া বাকি সব ধরণের Error এই Systematic Error এর অন্তর্ভুক্ত। Systematic Error কে আবার দুইটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। Respondent Error and Administrative Error ** Respondent Error: সার্ভে রিসার্চে স্যাম্পলে থাকা সবাইকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সবাই ঠিকভাবে রেসপন্স করলে, সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে সার্ভের উদ্দেশ্য সফল হয়। তবে যদি স্যাম্পলের সবার থেকে রেসপন্স না পাওয়া যায়, অথবা সঠিক তথ্য না দেয়, তবে সেটাকে Respondent Error বলা হয়। Respondent Error কে আবার দুইটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। যেমনঃ 1. Non respondent Error: রিসার্চের জন্য বাছাইকৃত স্যাম্পলের সবাই রেসপন্স করবে না এটাই স্বাভাবিক। স্যাম্পলের কেউ হয়ত ইচ্ছে করেই রেসপন্স করেনা, আবার সার্ভে করতে গিয়ে কারো সাথে যোগাযোগের কোনো ওয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। আর একেই Non respondent Error বলা হয়। 2. Response Bias: সার্ভে প্রশ্ন করা হলে অনেকে জেনে, না জেনে ভুল উত্তর দেয়। একেই বলা হয় Response Bias। * Unconscious Misinterpretation এই ক্যাটাগরির error ঘটে, যখন কেউ হয়ত প্রশ্ন না বুঝেই আন্দাজে একটা উত্তর দিয়ে দেয়। কুয়েশ্চনারির ভাষা কঠিন হলে বা কুয়েশ্চন ফরমেট বুঝতে না পেরেও রেসপন্ডেন্ট ভুল উত্তর দিতে পারে, একে বলা হয় তখন Unconscious Misinterpretation. * Deliberate Falsification আবার অনেকে ইচ্ছে করে ভুল উত্তর দেয়। এটা অনেক কারণেই করতে পারে, যেমন কোনো সেনসিটিভ প্রশ্নের উত্তরে, তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকলে, আবার ইন্টারভিউ প্রসেস বেশি জটিল হলে, দীর্ঘ হলে বিরক্ত হয়েও ভুল উত্তর দিতে পারে। ইচ্ছে করে এই ভুল উত্তর দেয়াকে তখন বলা হয় Deliberate Falsification. * Acquiescence Bias কিছু মানুষ ইন্টারভিউ এর সব প্রশ্নের উত্তর খুব আগ্রহের সাথে দেয় এবং ভেবে না ভেবে উত্তর দিতে হবে বলে দায়সারাভাবে পজিটিভ বা নেগেটিভ উত্তর দেয়। যেমনঃ অনেক সময় কোনো নতুন আইটেম বাজারে ছাড়ার আগে কোম্পানিগুলো টেস্ট সার্ভে করে, যে পদ্ধতিতে প্রশ্নোত্তর True/False অথবা Yes/No টাইপের হয়। আমার এমন কয়েকটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। একটা বলি- একদিন স্বপ্ন সুপার শপে গিয়েছি, সেদিন তাদের একটা নিউ খাবার প্রোডাক্ট ফ্রী টেস্ট করাচ্ছিল কাস্টমারদেরকে, আর ফীডব্যাক নিচ্ছিল। আমার মনে পরে যে, খুব বেশি টেস্টি না হওয়ার পরও আমি পজিটিভ ফীডব্যাক দিয়েছিলাম। স্বপ্ন সেই প্রোডাক্ট লঞ্চ করেছিল কিনা জানা নেই, তবে করে থাকলে কখনো হয়ত ইচ্ছে করে সেই প্রোডাক্ট আমি কিনতাম না। একে বলে Acquiescence Bias. * Extremity Bias যখন Likert Scale ফলো করে রিসার্চার সার্ভে প্রশ্ন তৈরি করে তখন 4-5 টা অপশন থাকে এমন যে, Agree, Strongly Agree, Neutral, Disagree, Strongly Disagree. আর এমন হয় যে অনেকে প্রশ্ন না পড়েই সব হয়ত Strongly Disagree বা Strongly Agree উত্তর করে। এ ধরণের Error কে তখন বলা হয় Extremity Bias । আমার ভার্সিটিতে নিয়ম ছিল, প্রতি সেমিস্টারের পর সেই সেমিস্টারে ক্লাস নেয়া প্রত্যেকটা কোর্স টিচারদের সম্পর্কে আমাদের ফীডব্যাক দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল, আমাদের ভার্সিটি ল্যাবে এতো ভীড় থাকত যে, কোনো রকমে দ্রুত স্যারদের সম্পর্কে ফীডব্যাক দিয়ে চলে আসতাম, সব প্রশ্নের উত্তরে যাস্ট 5 out of 5 দিয়ে দিতাম, কারণ এটাই সর্বোচ্চ নাম্বার। অনেক স্যারদের ক্লাস ভালো লাগত না একদম, তারপরও ফুল মার্ক্স দিয়ে আসতাম। এটাই Extremity Bias এর উদাহরণ। * Interviewer Bias অনেক সময় ইন্টারভিউয়ারের সামনে রেসপন্ডেন্ট ফ্রী লি তার মত প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করে। ইন্টারভিউয়ারের সরাসরি উপস্থিতি তাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দিতে প্ররোচিত করে, হয়ত সামনে নেগেটিভ কোনো তথ্য দিতে পারে না বা কোনো সেনসিটিভ বিষয় এড়িয়ে যায়। একে তখন বলে Interviewer Bias. * Social Desirability Bias কিছু মানুষ সব সময় সোসাল স্ট্যাটাস নিয়ে খুব কনসার্ন থাকে, নিজেকে খুব বড় করে তুলে ধরতে চায়, প্রেস্টিজ নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে নিজের একচুয়াল অবস্থান প্রকাশ করতে চায় না। যেমনঃ অনেক সময় বিভিন্ন সার্ভেতে মানুষের ইনকাম লেভেল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তখন এই তথাকথিত সামাজিক মর্যাদা ঠিক রাখতে ইনকাম যা নয়, তার থেকে কয়েকগুন বাড়িয়ে বলে, যা রিসার্চের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করে। একে বলা হয় Social Desirability Bias. ** Administrative Error: Administrative Error হয়ে থাকে রিসার্চের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে উদাসীনতা, অসতর্কতা, অনভিজ্ঞতা, দায়সারা ভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে। প্রধানত ৪ ধরণের Administrative Error দেখা যায়। Data Processing Error ডাটা সংগ্রহের পর সেগুলোকে কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রসেস করার সময় ভুল এন্ট্রি হয়ে যায়, এডিটিং এর সময় অসতর্কতার জন্য বিভিন্ন ভুল করে ফেলে। এগুলোকেই বলা হয় Data Processing Error. Sample Selection Error স্যাম্পল ফ্রেম ,স্যাম্পল সাইজ ইত্যাদি ঠিক করার সময়, স্যাম্পল ডিজাইন করার সময় ভুল করলে এই Error হয়ে থাকে। Interviewer Error ইন্টারভিউয়ার যদি তথ্য সংগ্রহ বা রেকর্ড করার সময় কোনো ভুল করে ফেলে, সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে Interviewer Error বলা হয়। Interviewer Cheating ইন্টারভিউয়ার নিজে যদি ইচ্ছে করে কোন প্রশ্ন করা এড়িয়ে যায়, স্কিপ করে যায়, সেনসিটিভ বিষয়ে প্রশ্ন করা এড়িয়ে গিয়ে নিজের মতো করে উত্তর ফিল আপ করে দেয়, তবে তাকে Interviewer Cheating Error বলা হয়। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore