The Mighty Macs (Movie Summary & Review)-মুভি রিভিউ Movie Review মোটিভেশনাল by খাতুনে জান্নাত আশা - October 10, 2021October 10, 20212 Spread the lovemoreThe Mighty Macs (Movie Summary & Review) এটাও একটা বাস্কেটবল স্পোর্টস মুভি, যা ১৯৭১-১০৭২ সালের একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ২০০৯ সালে। এই মুভিটির গল্পে কোনো নায়ক নেই, কারণ এই গল্পটি বিশেষত্ব পেয়েছে নায়িকাদের বিজয়ে। নায়িকাদের নেতৃত্বে থাকা প্রধান চরিত্র ক্যাথি রাশ এত্তো বেশি আকর্ষনীয় একটা চরিত্র, যার ব্যক্তিত্বের প্রেমে না পরে উপায় নেই কারো! স্পোর্টস গেইমগুলোর কমন সব বৈশিষ্ট্যই এই মুভিতে বিদ্যমান আছে, যেমন ভাঙাচোরা টিম, হোপলেস-এইমলেস টিম মেম্বার, তারপর তাদের জীবন বদলে দেয়ার জন্য এঞ্জেলরূপী কোচের আগমন এবং সবশেষে চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করে বাড়ি ফেরা! তবে গল্পের প্লট মিলে গেলেও মানুষের জীবনের বৈচিত্র্যতা না মেলাই স্বাভাবিক, তাই এই মুভির গল্পেরও আলাদা বিশেষত্ব আছে, ভিন্ন মেসেজ আছে, যার জন্য এটি আপনাকে দেখতেই হবে এবং অনুভব করতে হবে। আমি চেষ্টা করছি মুভির সামারি আপনাদের সামনে তুলে ধরার, যেন সিনারিওটা আপনাদের হৃদয় কিছুটা হলেও স্পর্শ করে এবং অবশ্যই সবশেষে আমার অনুভূতি এবং শিক্ষা তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে। মুভির গল্পটা এমন এক সময়ের যখন অ্যাথলেট বলতে পুরুষদেরকেই বোঝাত, নারীরা তখনও অ্যাথলেট হিসেবে নিজেদেরকে তেমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না সমাজের বিভিন্ন বাঁধা আর নিয়মের কারণে। সমাজের সেইসব বাঁধা আর নিয়ম ভেঙে নিজেদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতেই আবির্ভাব ঘটেছিল বাস্কেটবল কোচ ক্যাথি রাশের এবং সৃষ্টি করেছিল নারী অ্যাথলেটসদের বিজয় ইতিহাস। মুভির গল্পের শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ার এক ক্যাথলিক স্কুলে, যার নাম ইমাকুলেটা কলেজ। খ্রীস্টান নানদের দ্বারা পরিচালিত এই স্কুলের মেয়েদের বাস্কেটবল টিম “Mighty Macs” এর কোচের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। এতে একমাত্র ক্যান্ডিডেট হিসেবে এপ্লাই করেছিল “ক্যাথি রাশ”। এপ্লাই করার সাথে সাথেই তাই তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান নান $৪৫০ বেতনে এবং বলেছিলেন, তাদের লক্ষ্য খেলায় জয় না, বাস্কেটবল খেলার মাধ্যমে যাস্ট মেয়েদের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখা। তারপর ক্যাথি রাশের হাতে স্কুলে থাকা লাস্ট বাস্কেটবলটি দিয়ে বলেছিলেন, এটা যেন না হারায়! আরও একটা ব্যাপারো বলছিলেন যে, বাস্কেটবল কোর্ট নেই, স্কুলের জীমটিও কিছুদিন আগে পুড়ে গিয়েছে!! স্কুলের করুণ অবস্থাটা আশা করি বুঝতে পারছেন এতটুকু পড়েই। মানে ওদের ন্যুনতম ফান্ডিংও ছিল না খেলার জন্য, স্কুলের অভারঅল অবস্থাই বেশ শূচনীয় ছিল তখন। ক্যাথি রাশের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কেও কিছুটা আইডিয়া দিয়ে নেই। ক্যাথি বেশ স্বাধীনচেতা নারী, যে সব সময় ভাবে নারীদের স্বকীয়তা বলে কিছু থাকা চাই, নিজের জন্য কিছু করা চাই। বিয়ের পর কিছুদিন নিজের সংসারে সময় দেয়ার পর তার মনে হয় সময় কাটানোর জন্য হলেও তার কিছু একটা করা উচিত। ক্যাথি বাস্কেটবল প্লেয়ার ছিল তার স্কুলে, কিন্তু কখনো কোচ ছিল না। তারপরও ইমাকুলেটা কলেজে সে এপ্লাই করেছিল নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করার লক্ষ্যে এবং নির্বাচিত হয়েছিল বিধ্বস্ত এক বাস্কেটবল টিমের কোচ হিসেবে। শুরু হল এখান থেকেই তার নতুন যুদ্ধ জয়ের গল্প। প্রথমদিনের ট্রেনিং এই ক্যাথি বুঝতে পারল বাস্কেটবল টিমের মেয়েরা খেলার ব্যাপারে খুব উদাসীন, তাদের প্রায় সবার চিন্তাভাবনা পরিবার আর ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরেই ছিল। তাদের বাস্কেটবল প্র্যাক্টিস প্লেসও স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার হত। ক্যাথি সেটাকে প্রথমে মেয়েদের দিয়ে পরিষ্কার করে প্র্যাক্টিসের উপযোগী করে তুললেন, আর প্র্যাক্টিস শুরু করলেন। ক্যাথলিক স্কুলে একজন ইয়াং নান ছিলেন সিস্টার সান্ডে, যিনি মন থেকে তার নান হওয়াটা মেনে নিতে পারতেন না। সব সময় তাই গডের কাছে প্রার্থনা করতেন তাকে সঠিক রাস্তা দেখানোর জন্য। এক রাতে প্রার্থনা করার সময়ই বাস্কেটবল প্র্যাক্টিসের আওয়াজ শুনে সেখানে গিয়ে হাজির হোন এবং এতে আগ্রহ বোধ করেন। ক্যাথিরও তখন একজন সহযোগীর খুব দরকার ছিল, একা সব সামলাতে পারছিলেন না তিনি। ক্যাথি বুঝতে পেরেছিলেন সিস্টার সান্ডের আগ্রহ এবং সহকারী কোচ হিসেবে তার সাথে যোগ দিতে অনুরোধ করলেন। সিস্টার সান্ডে খুশি মনেই সেটা এক্সেপ্ট করলেন। ক্যাথির উদ্যোগে এবং সিস্টার সান্ডের সহায়তায় তখন মেয়েদের জন্য খেলার ড্রেস এবং খেলার সব সরঞ্জামাদিরও ব্যবস্থা হল। ক্যাথি মেয়েদের বললেন, পূর্বে বাস্কেটবল খেলার যত নিয়ম কানুন শিখেছে সব ভুলে যেতে। তারা নতুনভাবে সব শুরু করবে। ক্যাথি তাই করলেন, নিজের নিয়মে তিনি বিভিন্ন ট্রিক্স মেয়েদের প্র্যাক্টিস করাতে লাগলেন, ছেলেদের বাস্কেটবল খেলার নিয়মে মেয়েদের শেখাতে লাগলেন। সব সময় টিম হিসেবে খেলার প্রতি তিনি জোর দিয়েছিলেন, কিভাবে তারা পরস্পরের সাথে বল পাসিং করবে, কিভাবে প্রতিপক্ষকে ডিফেন্ড করবে সব সূক্ষ্মভাবে শেখাতে লাগলেন। কিন্তু যখন বিভিন্ন স্কুলের সাথে তাদের খেলার আয়োজন করা হল, তখন তারা একদম ভালো খেলতে পারছিল না। একটা টিম হিসেবে পারফর্ম করতে পারছিল না তারা, তাই হারছিল শুধু। ক্যাথি সব সময় তার প্লেয়ারদের উন্নতি নিয়ে ভাবতেন। তাদের প্র্যাক্টিস করাতে সর্বোচ্চ সময় দিতেন। বাসায় ফিরতে বেশির ভাগ সময়ই তার রাত হয়ে যেত অনেক। বাসায় ফিরে দেখতেন তার হাজবেন্ড অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। ক্যাথির উপর তাই শুরুর দিকে তার হাজবেন্ড খুব ক্ষুব্ধ ছিল, মেনে নিতে পারত না ক্যাথির কোচ হওয়া। তার হাজবেন্ড ভাবত, ক্যাথি কোচ হয়ে সংসারের প্রতি, তার প্রতি উদাসীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ক্যাথি তার কাজের প্রতি অনড় ছিল। তাই সব বাঁধাকে সাথে নিয়েই সে ফাইট করতে লাগল সিস্টার সান্ডে এবং বাস্কেটবল টিমের মেয়েগুলোকে নিয়ে। ক্যাথি মেয়েদের স্কিল বৃদ্ধির জন্য কিছু ছেলেদের সাথে প্র্যাক্টিস করার সুযোগ করে দেয়, এতে তারা আরও এক্সাপার্ট হয়ে উঠে। কিন্তু তারপরও কিছু একটা গ্যাপ তাদের মাঝে থেকেই যায়, তারা অন্য টিমের বিরুদ্ধে জিততে পারে না। ক্যাথি তাই খুব স্ট্রিক্ট হয়ে যায়, রাতের আঁধারে মেয়েদেরকে নিয়ে গিয়ে একটা টানলের ভেতর প্র্যাক্টিস করায়, অনেকটা শাস্তি স্বরূপ। সেদিন মেয়েরা কিছুটা হয়ত বুঝতে পারে তাদের নিয়ে কোচের উদ্দেশ্য, স্বপ্ন। তাই পরদিন থেকে সব মেয়েরা নিজে থেকেই কোচের আগে এসে হার্ডলি প্র্যাক্টিস শুরু করে দেয়। কোচ খুব খুশি হয় তাদের এই আচরণে। এরপর থেকে তাদের জয়ের যাত্রাও শুরু হয়। বিভিন্ন স্কুলের সাথে খেলায় জিতে এক সময় জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যায় মাইটি ম্যাক্স টিম। এদিকে মেয়ে প্লেয়ারগুলোর বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে, খেলার চেয়ে অন্যান্য ব্যক্তিগত ইস্যু তাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়, আর সেই সব সমস্যা থেকে কোচ বার বার তাদের বের করে এনে খেলায় ফোকাস করানোর চেষ্টা করে। জাতীয় পর্যায়ে খেলার আগে এক প্লেয়ারের ব্রেক আপ হয়, সে এতোটাই আপসেট থাকে যে খেলতে আসে না। কোচ এটা জেনে তার কাছে জাতীয় টিমের জার্সি নিয়ে যায় আর উৎসাহিত করে এই বলে যে, এই জার্সি সে অর্জন করেছে। তাকে উঠে দাঁড়াতে হবে, নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কোচের কথা তাকে প্রভাবিত করে, আবার সে খেলায় ফিরে আসে। এদিকে স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় স্কুল ফান্ডিং প্রব্লেমে পরে যায় খুব বেশি, দেওলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়। বাস্কেটবল প্লেয়াররাও জাতীয় দলে খেলতে যাওয়ার বিমান ভাড়া নিয়ে সংকটে পরে যায়। কোচ তাদের জন্য নিজের খরচে অনেক কিছু সংগ্রহ করে, প্লেয়াররা নিজেরাও বিভিন্ন ভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে থাকে, কিন্তু ফান্ডের ঘাটতি থেকেই যায়। সবশেষে স্কুলের প্রধান নান তাদের সাহায্য করে, জমানো টাকা তাদেরকে দেয় এবং সবমিলিয়ে তারা অবশেষে খেলতে যাওয়ার সুযোগ পায়। স্কুলের প্রত্যেকে তাদের খুব উৎসাহ দেয়, সাহস যোগায়। জাতীয় পর্যায়ে মাইটি ম্যাক্সের অপজিটে যে টিম খেলে, সেই টিমের কোচ আবার ক্যাথির নিজের কোচ ছিলেন স্কুলে এবং ক্যাথিকে তিনি খেলা থেকে বাদ দিয়েছিলেন ক্যাথি টিম হিসেবে খেলতে পারছিল না বলে। কিন্তু এই খেলায় ক্যাথির তৈরী করা টিম প্রমাণ করে দেয় ক্যাথি টিম তৈরী এবং পরিচালনায় কতটা দক্ষ। ক্যাথি নিজেও জানত, তার প্রায় অদক্ষ আর সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুল টিমের জন্য জাতীয় পর্যায়ে খেলে জেতা কতটা আশ্চর্য ছিল। কিন্তু তারা জিতেছিল সবাই একটা পরিপূর্ণ টিম হয়ে খেলার জন্য এবং তারা তাদের আল্টিমেট স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য। আর এই জয় তাদের স্কুলের ফান্ডিং সমস্যাও দূর করে দিয়েছিল, প্রচুর শিক্ষার্থী আবার স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করেছিল এবং ক্যাথির হাজবেন্ডও তাকে নিয়ে গর্বিত হয়েছিল, তার জয়ের আনন্দে শরীক হয়েছিল। উপলব্ধি ** ক্যাথি খুব দক্ষ কোনো কোচ ছিল না, এমন কি কোচ হিসেবে তার কোন অভিজ্ঞতাও ছিল না, সে নিজে একজন সাধারণ বাস্কেটবল প্লেয়ার ছিল। কিন্তু নিজের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস ছিল, সে স্বপ্ন দেখতে জানত, তার বিশ্বাস ছিল সে পারবে। এই আত্মবিশ্বাসের জোরেই সে একজন কোচ হিসেবে প্রথম সফলতা অর্জন করেছে। ক্যাথি সব সময় নিজের এই চিন্তাভাবনা দিয়ে প্লেয়ারদের প্রভাবিত করতে চেয়েছে। দক্ষতার চেয়েও যে আত্মবিশ্বাস বেশি জরুরী, আমি পারব, আমার যোগ্যতা আছে এই চিন্তাটার যে শক্তি সেটিই প্লেয়ারদের বোঝাতে চেয়েছে। প্লেয়ারদের মনে নিজেকে নিয়ে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছে, পরিবার, সংসার, পারিপার্শিক সব ছাপিয়ে একান্তই নিজেকে ভাবতে শিখিয়েছে, প্লেয়ারদের ভেতর থেকে প্রকৃত স্বপ্নটাকে সে জাগিয়ে তুলেছে, যার ফলস্বরূপ তারা ভঙ্গুর একটা টিম থেকে জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ** মেয়েরা যতক্ষন পর্যন্ত খেলায় সম্পূর্ণ ফোকাস করতে পারে নি, ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো থেকে খেলাকে আলাদা করতে পারে নি, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা জিততে পারে নি। ঠিক যখন থেকে তারা নিজের স্বপ্নটাকে প্রায়োরিটি দিতে শুরু করেছে, এর মূল্যটা বুঝেছে ঠিক তখনই তারা জিতে গিয়েছে। ** স্বপ্নের পথে হাঁটতে শুরু করার সময় কারো সাপোর্ট পাওয়ার আশা করাই বৃথা। এই পথটা একার এবং বিভিন্ন দিক থেকে ভেজাল আর বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু প্রতিদিন একাকী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে এভাবে হাঁটতে হাঁটতেই এক সময় স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়, আর তখন শোভাকাঙ্খীদের কোনো অভাব হয় না। ** রাজীব আহমেদ স্যার আমাদের যে মুভিগুলো সাজেস্ট করেন, এই প্রত্যেকটা মুভির মাঝে স্যার নিজেকে দেখেছেন। আমিও মুভিগুলো দেখার সময় তাই স্যার এবং আমাদের খুঁজে ফিরি চরিত্রগুলোর মাঝে, মেলানোর চেষ্টা করি নিজেদের সাথে। মিলেও যায় অনেক কিছু। এই মুভিগুলোর কোচ সব সময় হতাশাগ্রস্তদেরকে আশা জাগায় এবং জিতিয়ে দেয়। আমাদের স্যারও ঠিক তেমনি হেরে যাওয়া মানুষগুলোর মাঝেই আশা জাগিয়ে তুলেন, নতুন করে স্বপ্ন দেখান, আমরাও পারি এই আত্মবিশ্বাসটা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। স্যারের উদ্দেশ্য আমরা যারা বুঝব এবং নিজের স্বপ্নপূরণে স্যারের গাইডেন্সে ফোকাস করব এবং দক্ষতা অর্জন করব, তারাই এমন রহস্যজনকভাবে জিতে যাব। ** টিমের জয়ের পর কোচ ক্যাথি যা ভাবছিলেন সেই কথাগুলো সরাসরি শেয়ার করছি এইবার, “When I look back, I am not sure any of us could explain the mystery of how we won, and why we won. But maybe, all we did was look around us to see other women committed to something they believe in, somewhere along the way you forget how important that is. As a team we must have learned from that, because in the end, it proved to all of us that anything can happen when we are committed to our dreams.” Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore
আশা আপু খুব সুন্দর করে মুভির সামারি দিয়েছেন। আপনার মুভির উপলদ্ধি তে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। আমার খুব ভালো লেগেছে মুভির রিভিউ। ইনশাআল্লাহ মুভিটা দেখবো। Reply