কোনো ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, সঠিক নিয়মে পণ্যটির ডকুমেন্টেশন তৈরি করা। অনেক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্যের জিআই প্রাপ্তি আবেদনের পরও আটকে যায়, বাতিল হয়, শুধুমাত্র সঠিক ডকুমেন্টেশনের অভাবে।আমাদের দেশে ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক নীতিমালা বাস্তবায়নের পর এই দশ বছরে মাত্র ১২টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি লাভ এবং আর ৩টি অপেক্ষমান জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশ বেশ হতাশাজনক। আমাদের এই পিছিয়ে থাকার মূলে রয়েছে জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন তৈরির জন্য দক্ষ লোকের অভাব। বুঝতেই পারছি তাহলে, জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন কতটা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। কিন্তু এই কাজটাই কিন্তু আমরা এই বছর বেশ সাফল্যের সাথে শুরু করেছি। কারণ এই কাজ যতটা না চ্যালেঞ্জিং, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং হিশেবে আমরা চিন্তা করি। শুরু করার আগেই আমরা কঠিন মনে করে পিছিয়ে যাই, বেশি পারফেক্ট
Tag: বাংলাদেশের জিআই পণ্য
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই নিয়ে সাধারণ কিছু তথ্য
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই হলো কোনো একটি এলাকার বিশেষ কোনো পণ্য নির্দেশক চিহ্ন। আর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য বলতে কোনো একটি এলাকার বিশেষ সেই পণ্যকে নির্দেশ করে যে পণ্যটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সুনাম, গুনাবলি এবং বিশেষত্ব উক্ত এলাকার সাথে গভীর ভাবে সম্পর্কিত এবং উক্ত এলাকার পরিচয় বহন করে। কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে সেই পণ্যের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয়, যার মাধ্যমে পণ্যটির উৎপাদনকারি এলাকা, উৎপাদক এবং ব্যবসায়ীরা একচেটিয়া অধিকার এবং বিশেষ নিরাপত্তা লাভ করে। জিআই এর মাধ্যমে পণ্যের সঠিক ব্র্যান্ডিং নিশ্চিত হয়, এতে ক্রেতারাও বিশেষ সেই পণ্যটিকে সহজে আলাদা করতে পারে। হস্তশিল্প, কৃষি পণ্য, শিল্প পণ্য, উৎপাদিত পণ্য, বিশেষ খাদ্যদ্রব্য, পানীয় ইত্যাদি জিআই হতে পারে। জিআই স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলো হলো- দেশের কোন এলাকায় সহজে পাওয়া যায়, এর পেছনে ওই এলাকার কী