দত্তা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (উপন্যাস রিভিউ) বুক সামারি & রিভিউ by খাতুনে জান্নাত আশা - November 30, 2021December 1, 20210 দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (উপন্যাস রিভিউ) “দত্তা” শরৎচন্দ্রের কালজয়ী রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে আজও একিরূপ সমাদৃত প্রকাশের ১০৩ বছর পরেও। বাংলার এই জনপ্রিয় লেখক তাঁর লেখণীতে সব সময়ই কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের অসামঞ্জস্যতা, দারিদ্র, অবহেলিত নারীদের দু;খগাথাসহ বিভিন্ন সামাজিক ক্ষতগুলোর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। “দত্তা” রোমান্টিক উপন্যাস হলেও তাই এটি অন্তঃর্নিহিত অনেক তাৎপর্যই বহন করে, যা গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়। বিশিষ্ট জনেরা এর মূল্ভাব বহুভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছেন বহু বছর ধরে, আজ আমি চেষ্টা করছি আমার নিজস্ব চিন্তার গভীরতা দিয়ে একে বিশ্লেষন করার উপন্যাসের দৃশ্যপটগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার পাশাপাশি। মানুষ বড় হওয়ার সাথে সাথে পারিপার্শ্বিকতার পাশাপাশি তাদের চিন্তাভাবনা এবং স্বপ্নের মাঝে আমূল পরিবর্তন ঘটতে থাকে৷ কখন কার জীবন কিরূপে পরিবর্তিত বা আবর্তিত হবে, কখন কোন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হবে সেটা আগে থেকে অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। এই উপন্যাসের
কিশোর ক্লাসিক- “প্রবাল দ্বীপ” বুক সামারি & রিভিউ by খাতুনে জান্নাত আশা - September 1, 20210 কিশোর ক্লাসিক- “প্রবাল দ্বীপ” রবার্ট ব্যালান্টাইন রালফ রোভারের পূর্বপুরুষরা সবাই ছিলেন সাগরপ্রেমী। তাই তার রক্তে ছিল সাগর জয়ের নেশা। সাগরের প্রতি গভীর টান তাকে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাড়ি ছাড়া করেছিল জাহাজে চড়ে দূর সাগর পাড়ি দিয়ে অপার সৌন্দর্যঘেরা প্রবাল দ্বীপ স্বচক্ষে দেখার আকাঙ্ক্ষায়। রালফদের ‘অ্যারো’ নামক সৌদাগরি জাহাজ ভালোই চলছিল। জাহাজে সে নতুন দুজন বন্ধুকেও পেয়ে গেলো, নাম জ্যাক আর পিটারকিন। ঠিক প্রবাল দ্বীপটা যখন জাহাজ থেকে দেখতে পাওয়া গেল, ওই সমইয়টায়ই শুরু হলো প্রচন্ড ঝড়, এক নাগাড়ে ৫ দিন ঝড় হওয়ার পর জাহাজ আর এই ঝড়ের প্রকোপ সইতে পারছিল না, ক্যাপ্টেন অবস্থা বেগতিক দেখে জাহাজ থেকে দ্রুত নৌকা নামাতে বললেন। ক্যাপ্টেন আর কয়েকজন নাবিক নৌকায় চড়ে বসল, হঠাত এক ঢেউ এসে কোথায় যেন তলিয়ে দিল মানুষগুলো সহ নৌকাটাকে।এদিকে রোভার, জ্যাক আর পিটারকিন
কিশোর ক্লাসিক- “নিঝুম দ্বীপে একা” বুক সামারি & রিভিউ by খাতুনে জান্নাত আশা - September 1, 20210 "নিঝুম দ্বীপে একা" স্কট ও ডেল এই রিভিউটায় আমি অনেক বিশাল করে সেই গৎবাঁধা গল্প লিখতে চাইছি না। কারণ গল্পটা আমাকে ভিন্ন অনুভূতি দিয়েছে। কিশোর ক্লাসিকগুলো প্রায় সবই পেয়েছি পুরুষ কেন্দ্রিক, যেগুলোতে নারী চরিত্রগুলোকে অনেকটা দুর্বলভাবেই ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। এই প্রথম একটা শক্তিশালী নারী চরিত্রের দেখা পেলাম। তাই সেই নারীর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবার সুযোগও মিলে গেল। ভাগ্যের পরিহাসে অ্যালিউটদের নির্মমতার শিকার হয়ে বাবাকে হারাল মেয়েটা আর তার ছোট ভাইটা। অ্যালিউটদের সাথে দ্বীপবাসীর সেই যুদ্ধে বেশির ভাগ পুরুষলোকই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। একদিন দ্বীপে সাদা মানুষদের জাহাজ এলো, যাদেরকে দ্বীপবাসী আপন লোকের মতোই ভেবে থাকে। সাদা মানুষেরা বলল, তাদেরকে ওরা নিয়ে যেতে এসেছে। ওদের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে দ্বীপবাসী জাহাজে চরে বসল, মেয়েটাও জাহাজে উঠেছিল। কিন্তু জাহাজটা ছেড়ে দেয়ার ঠিক আগমুহূর্তে তার ভাইকে দেখতে পেল