Moneyball- An Analytical Movie Review (মুভি রিভিউ) Movie Review মোটিভেশনাল by খাতুনে জান্নাত আশা - October 19, 2021October 19, 20210 Spread the lovemoreMoneyball (More than a Movie Review) মানিবল( Moneyball) মুভিটি ২০১১ সালে আমেরিকার বেসবল খেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। এটি একটি বায়োগ্রাফিকাল মুভি, যা আমেরিকার Oakland Athletics Baseball টিমের জেনারেল ম্যানেজার বিলি ব্যানের প্লেয়ার সিলেকশনের একটি নতুন স্ট্র্যাটেজি প্রতিষ্ঠার চেষ্টার উপর ভিত্তি করে তৈরী। জেনারেল ম্যানেজার বিলি ব্যান চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন ব্র্যাড পিট। এটি আসলে যে কোনো সাধারণ মোটিভেশনাল মুভির চেয়ে অনেক বেশি কিছু, কারণ এই মুভির মাধ্যমে “Moneyball Theory” অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই থিউরি কেবল বেসবল খেলার ক্ষেত্রেই না অন্য অনেক খেলা এমন কি বিভিন্ন বিজনেসেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই থিউরি নিয়ে অনেক কেইস স্টাডি, থিসিস পেপার , আর্টিকেল ইত্যাদি ইন্টারনেটে রয়েছে এবং অনেক ইউনিভার্সিটিতে এই থিউরি নিয়ে স্টাডি করা হয় বলে জেনেছি আজ। তাই আমার এই মুভি রিভিউটা একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি যেন, মানিবল থিউরি নিয়ে ক্লিয়ার একটা আইডিয়া দিতে পারি সবাইকে। Let’s Dive into the Story of “Moneyball”! ২০০১-২০০২ সালের কথা। আমেরিকার বিভিন্ন বেসবল টিমের মধ্যকার প্লেয়ারদের Payroll নিয়ে বৈষম্য অনেকটা তখন ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যের মত। বেসবল টিমের প্লেয়াররা প্রতিনিয়ত ট্রেড হতে থাকে এক টিম থেকে আরেক টিমে। বেসবলে ভালো সব প্লেয়ারদের নিয়ে তারাই টিম তৈরী করতে পারে যাদের বাজেট অনেক বেশি এবং প্লেয়ারদের অনেক বেশি পে করতে পারে। আল্টিমেটলি সিরিজও তারাই জিতে যাদের টিমে ভালো প্লেয়ার আছে। আর এই ভালো প্লেয়ার বাছাই এর সিস্টেমটা অনেকটা ট্র্যাডিশনাল ওয়েতে হয়, বলা যায় একটা নির্দিষ্ট ট্রেন্ড ফলো করা হয় বহু বছর ধরেই। টিম স্কাউটদের অভিজ্ঞতা আর মতামতের ভিত্তিতে ভালো প্লেয়ার নির্বাচন করা হয়, প্লেয়ারদের অভারঅল পারফরমেন্স দেখে। তারপর ব্যাপারটা অনেক সময় এমন দাঁড়ায় যে, কোনো এক প্লেয়ার কে কোনো টিম বেশি দামে কিনেছে মানে এই প্লেয়ার ভালো এমনটা ভেবেই তাকে নিয়ে হয়ত টানা হেঁচড়া শুরু হয়ে যায় অন্য টিমেরও। এ ধরণের পরিস্থিতিতে লো বাজেটের টিমগুলো অনেকটা লুজারের মত, তাদের জেতার কোনো আশাই থাকে না ভালো প্লেয়ার টিমে অর্থের অভাবে না পাওয়ায়। এমনি এক লো বাজেট টিম Oakland Athletics এর জেনারেল ম্যানেজার বিলি ব্যান। এই টিমের রিসেন্ট হারের পর তাদের সবচেয়ে ভালো তিন প্লেয়ারকে কিনে নেয় হাই বাজেট টিম New York Yankees। বিলি ব্যানকে প্লেয়ারদের জন্য পেরুল বাজেট দেয়া হয় নিউইয়র্ক ইনাংকির ৩ ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম এবং বলা হয়, চলে যাওয়া তিন প্লেয়ারের গ্যাপ ফিল আপ করতে হবে এই বাজেটেই নতুন প্লেয়ার কিনে। বিলি ব্যান খুবই হতাশ ফিল করে তখন ভেবে যে, কিভাবে সম্ভব এই বাজেটে ভালো কোনো অল্টারনেটিভ প্লেয়ার খুঁজে বের করা! কিন্তু সে চেষ্টা করে যায়। টিম স্কাউটদের সাথে মিটিং করে, কিন্তু আল্টিমেট সমস্যাটাই কেউ খুঁজে বের করতে পারে না। বিলি ব্যান তখন বলে যে, সমস্যা না খুঁজে অযাচিত আলোচনার কোনো মানেই হয় না, এ থেকে কোনো সমাধান আসবে না। প্লেয়ার খুঁজতে এবং ট্রেড করার উদ্দেশ্যে বিলি ব্যান Cleveland Indians টিমের অফিসে যায় এবং সেখানেই তার সাথে দেখা হয় পিটার ব্র্যান্ডের সাথে। পিটার ব্র্যান্ড প্লেয়ারদের পারফরমেন্স এনালাইসিস করে, কিন্তু সে বেসবল খেলার সাথে জড়িত কেউ না। ইকোনমিতে স্টাডি করে পিটার বেসবল প্লেয়ার এনালাইসিস করছে এবং তার প্লেয়ার এনালাইসিসের ধরণ ঠিক গতানুগতিক ধারার না, এটাই বিলি ব্যানকে আকর্ষন করে। আর তাই বিলি ব্যান এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে পিটার ব্র্যান্ডকে হায়ার করে Oakland Athletics এর জন্য এবং ওকে তিনজন প্লেয়ারের পারফরমেন্স এনালাইসিস করার জন্য। কিন্তু পিটার ব্র্যান্ড টোটাল ৫১ জন বেসবল প্লেয়ারের পারফরমেন্স এনালাইসিস করে sabermetrics অনুসারে। sabermetrics হল স্ট্যাটিস্টিকাল এনালাইসিস, যেখানে প্রত্যেকটা প্লেয়ার এবং টিমের ডিটেইলস পারফরমেন্স এনালাইস করে দেয়া থাকে, যেখান থেকে প্রত্যেকের যে কোনো স্পেসিফিক তথ্য কালেক্ট করা যায়। আর এই sabermetrics এনালাইসিস থেকে বিলি ব্যান এবং পিটার ব্র্যান্ড মানিবল থিউরি এপ্লাই করে প্লেয়ার সিলেক্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় দুইটা গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের উপর ফোকাস রেখে। প্লেয়ারদের হিস্টোরিকাল ডাটাবেইস থেকে ডাটা মাইনিং করে শুধুমাত্র Slugging Percentage এবং OBP(On-base percentage) বের করে, এই দুইটার ভিত্তিতে আন্ডারভ্যালুড বেস্ট প্লেয়ারদের খুঁজে বের করে। এই দুই জিনিস বেসবল প্লেয়ারদের একদম বেসিক পারফরমেন্স সম্পর্কে আইডিয়া দেয়। অর্থাৎ মানিবল থিউরি প্লেয়ার সম্পর্কিত দুইটা বেসিক প্রশ্নের উত্তর দেয়। যেমনঃ ১) প্লেয়ার কি ব্যাট করতে পারে? ২) প্লেয়ার কি রান করতে পারে? এই দুই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলেই সেই প্লেয়ারকে সম্ভাব্য ভালো প্লেয়ার বলে বাছাই করা যায়। বিলি ব্যান আর পিটার এই থিউরি কাজে লাগিয়ে প্লেয়ারদের OBP কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এমন কিছু প্লেয়ার বেছে নেয়, যাদেরকে এর আগে কেউ সুযোগ দেয় নি, অথবা অনেকদিন ইঞ্জুরিতে থাকায় নতুন করে কেউ খেলার অফার করে নি, কারো বা বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি সব ডিফেক্টেড প্লেয়ার। তাদের সবার মাঝে তাই নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার একটা আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলতে পেরেছিল বিলি ব্যান। আর তাদের বাছাইকৃত প্লেয়ারদের পারফরমেন্স এবং সম্ভাবনা অনুযায়ী যে পেরুল হওয়ার কথা তার অর্ধেক বা আরও কমে সেই প্লেয়ারদের পেয়েছিল তারা। কিন্তু তার এই নতুন থিউরিতে প্লেয়ার বাছাই টিম স্কাউট কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না, টিমের এডভাইসার স্কাউট প্রত্যেকে অসন্তুষ প্রকাশ করে, কাউকে সাপোর্ট হিসেবে পাশে পায় না বিলি ব্যান। টিম স্কাউট বলে যে, বিলি ব্যান কি করে একজন ইকোনোমিক গ্র্যাজুয়েটের উপর বেশি ভরসা করতে পারে, যার কোনো বেসবল সম্পর্কিত এক্সপেরিয়েন্স নেই। অথচ স্কাউট ২৫ বছর ধরে এই ফিল্ডে অভিজ্ঞ এবং প্লেয়ার ম্যানেজ করে যাচ্ছে! কিন্তু এসব বাঁধা বিলি ব্যান খুব দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করে, কারণ সে জানত সে কি করছে, নিজের সিদ্ধান্তের উপর শতভাগ বিশ্বাস তাদের ছিল। বিলি ব্যান বুঝেছিল পিটারকেই তার বেশি দরকার, কারণ অভিজ্ঞতার চেয়েও বেসবলে টেকনিকাল এনালাইসিসের গুরুত্ব বেশি এটা সে বুঝেছিল। সে Poor টিম এবং Rich টিমের মধ্যকার বিশাল আনফেয়ার গ্যাপটা দূর করতে চেয়েছিল এই নিউ থিউরির মাধ্যমে, বেসবল খেলায় নতুন এক পরিবর্তনের সূচনা করতে চেয়েছিল, যার গুরুত্ব শুধু সিরিজ জেতার থেকে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু প্রথমদিকে তাদের নির্বাচিত টিম হারতে থাকায়, ব্যর্থতার সব দায় বিলি ব্যানের উপর আসতে থাকে, তার এই মানিবল থিউরি এপ্লাই নিয়ে খেলার কমেন্ট্রিতেও সমালোচনা করা হয়, বিলি ব্যানকে ম্যানেজমেন্ট থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়। টানা অনেকগুলো ম্যাচ হারার জন্য বিলির চাকরিচ্যুত হওয়ার থ্রেট থাকে অনেক বেশি। ইন্টারনেট , নিউজ চ্যানেল, টিভি সব জায়গায় শুধু বিলি ব্যানের ব্যর্থতা আর ভুল থিউরির কথাই ফলাও করে প্রচার করা হয়। তার ছোট মেয়েটা পর্যন্ত বাবাকে নিয়ে চিন্তিত থাকে যে, বাবা চাকরি হারালে কি হবে! কিন্তু এতোকিছুর পরও বিলি ব্যান তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তার টিমের সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। টিমে কি পরিবর্তন আনলে, কোন প্লেয়ারকে কোন পজিশনে খেলালে বেস্ট পারফর্ম করতে পারবে সেগুলো এনালাইসিস করতে থাকে পিটার ব্র্যান্ডকে নিয়ে। পিটার ব্র্যান্ড সব সময় বেস্ট এডভাইস দিয়ে সর্বোচ্চ সাপোর্টে থাকে তার। তবে কিছু প্লেয়ারের খেলার পজিশন ইন্টারচেঞ্জ করতে চাইলেও তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা আর্ট। তখন বিলি ভিন্ন ট্রিক্স এপ্লাই করে, কিছু প্লেয়ারকে আবার ট্রেড করে এবং আর্টকে বাধ্য করে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য। এই সবকিছুই বিলি ব্যানের চাকরির জন্য হুমকি ছিল, পিটার তাকে সাবধান করছিল। কিন্তু সে বলেছিল, চাকরি যাওয়া নিয়ে সে চিন্তিত না, নিজের কাজের উপর যতক্ষন বিশ্বাস আছে ঠিক ততক্ষণ সে তার মত কাজ করে যাবে। এরপর পিটারও তাকে হেল্প করে, আর দুজন মিলে নিজেদের স্ট্রাটেজি অনুযায়ী বেস্ট টিম রিএরেঞ্জ করে। প্রথমদিকে বিলি প্লেয়ারদের সাথে পার্সোনাল ইন্টারেকশন একদমই এড়িয়ে চলত, কারণ সে ভাবত এতে ইমোশনাল কানেক্টিভিটি এড়ানো যায় এবং তাদের ট্রেড করা সুবিধা হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সে প্লেয়ারদের সাথে দেখা করে মোটিভেট করতে থাকে, এটা প্লেয়ারদের মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রত্যেকটা প্লেয়ার বিলির উপর কৃতজ্ঞ থাকে তাদেরকে সুযোগ দেয়ার জন্য, তাদের এবিলিটির উপর আস্থা রাখার জন্য। আর এক সময় বিলির সব চেষ্টার রেজাল্ট আসা শুরু হয় এবং Oakland Athletics টিম জিততে শুরু করে সব বড় বড় টিমের সাথে। টানা ২০টা সিরিজ তারা জিতে আমেরিকার বেসবল ইতিহাসের সেরা দল হিসেবে রেকর্ড করে। বিলি ব্যান কখনো মাঠে বসে নিজের টিমের খেলা দেখতে পারত না, সে অধিক উত্তেজনা সহ্য করতে পারত না কারণ হেরে যাওয়ায় ভীষন ভয় ছিল তার। দূর থেকেই খেলার আপডেট জেনে নিত, প্লেয়ারদের পারফর্মেন্স বুঝে নিত পিটারের মাধ্যমে। তবে ২০ তম সিরিজের দিন বিলি তার মেয়ের ফোন পায় এবং মেয়ে তাকে রিকুয়েস্ট করে মাঠে খেলা উপভোগ করার, কারণ সবাই সেদিন নতুন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় ছিল। মেয়ের জন্যই বিলি গ্যালারিতে যায়, আর সেদিন খেলা এতটাই এক্সাইট্মেন্ট নিয়ে আসে যে, দুই টিম সমান স্কোর করে। গ্যালারি তখন পিন্ট অব সাইলেন্স অবস্থায়, কি হবে কি হবে এই নিয়েই অস্থিরতা সবার মাঝে, বিলি গ্যালারীতে আর থাকতে পারে না, রেস্ট রূমে চলে যায়। কিন্তু শেষ হাসিটা তার দলই হাসে। শেষ বলে বিলির টিম Oakland Athletics এর ইঞ্জুরড প্লেয়ার, যার উপর বিলি আর পিটার ছাড়া কারো ভরসা ছিল না, সেই হ্যাটারবার্গের হিটেই জিতে যায় তারা আর জন্ম হয় এক নতুন ইতিহাসের, জয় হয় এক নতুন বেসবল থিউরি “Moneyball” এর। বিশাল বাজেটের টিমগুলোকে পেছনে ফেলে তাদের মত এমন নিম্ন বাজেটের টিম সব আন্ডারভ্যালুড ডিফেক্টেড প্লেয়ারদের নিয়ে খেলে এমন একটা রেকর্ড তৈরী করতে পেরেছে, এটা সত্যিই বিশাল এক ব্যাপার। এই রেকর্ড যতটা না গেইমিং নির্ভর তার থেকে অনেক বেশি এনালাইটিকাল , স্ট্যাটিস্টিকাল এনালাইস নির্ভর। তবে এই জয়ের গল্প এখানেই শেষ হোক, তা দেখতে চান নি বিলি ব্যান। তার স্বপ্ন ছিল ওয়ার্ল্ড সিরিজ জয়ের মাধ্যমে তিনি মানিবল থিউরি প্রতিষ্ঠা করতে চান। টানা ২০ সিরিজ জেতার পর তার সাথে পিটার ব্র্যান্ডের কথোপকথনটা আমার খুব ভালো লেগেছিল, কারণ বিলি ব্যানের আল্টিমেট ডিজায়ারটা বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্ট। তাই সেটা সরাসরি শেয়ার করছি- পিট বলছিল, আমরা টানা ২০ ম্যাচ জিতেছি, নতুন রেকর্ড তৈরী করেছি। কিন্তু উত্তরে বিলি ব্যান বলছিল, “So what the point! Man, I am doing this for…. Listen, man. I’ve been in this game a long time. I am not in it for a record, I’ll tell you that. I am not in it for a ring. That’s when people get hurt. If we don’t win the last game of the series, they’ll dismiss us. They’ll just erase us. And everything we done here, none of it’ll matter. When any other team wins the World Series, good for them. They are drinking Champions, they get a ring. But if we win on our budget, with this team, we will have change the game. And that’s what I want. I want it to mean something. ” বিলি ব্যানের এই রেকর্ডের পর Boston Red Sox টিমের ওনার Sabermatrics আর Moneyball থিউরির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল, তাই তাদের ম্যানেজার হিসেবে জয়েনের জন্য বিলি ব্যানকে ১২.৫ মিলিয়ন ডলার সেলারি অফার করে, যা হতে পারত বেসবল ইতিহাসে কোনো ম্যানেজারের সবচেয়ে বেশি সেলারি। কিন্তু সে এই অফার প্রত্যাখ্যান করে Oakland Athletics এই ফিরে এসেছিল। এর দু’বছর পর ২০০৪ সালে রেড সক্স এই মানিবল স্ট্রাটেজি এপ্লাই করেই বেসবল ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতেছিল। এতে ধরে নেয়া যায় বিলি ব্যানের আল্টিমেট স্বপ্ন সফল হয়েছিল, তার মানিবল থিউরি আজ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত। **** বর্তমানে মানিবল থিউরি শুধু খেলায় সীমাবদ্ধ নেই, বরং প্রতিনিয়ত এই থিউরির বিশেষত্ব নিয়ে স্টাডি করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এপ্লাই করা হচ্ছে। স্পেশালি এর মাধ্যমে বিগ ডাটা এনালাইসিস, ডাটা মাইনিং, স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাল্কুলেশন ইত্যাদির গুরুত্ব বেড়েছে, এগুলোর উপর ভিত্তি করে স্পেসিফিক প্রব্লেম আইডেন্টিফাই করা যেমন সহজ হয়, তেমনি সম্ভাবনাও খুঁজে বের করা যায় সহজে। আর এজন্য বিজনেস ফার্মগুলোতে টিম সিলেকশন, ক্লায়েন্ট সিলেকশন, বিজনেস পারফর্মেন্স এনালাইসিস ইত্যাদির জন্য মানিবল থিউরি এপ্লাই করার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। (এই মুভি রিভিউটা নিয়ে একটু বেশিই ভাবনা ছিল আমার, কারণ এটা সাধারণ মোটিভেশনাল মুভির উর্ধ্বে। এই মুভিতে মূলত স্টাডি এবং এনালাইটিকাল পাওয়ারের গুরুত্বটাই বেশি বোঝানো হয়েছে মানিবল আইডিয়ার মাধ্যমে। আর অবশ্যই বিলি ব্যানের প্রত্যেকটা আচরণের দৃঢ়তা, চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস, ফোকাসড থাকা ইত্যাদি থেকে মোটিভেশন নেয়ার মত অনেক কিছুই আছে। পুরো মুভিটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আমি এখানে মূল আইডিয়াকেই বেশি ফোকাস করে রিভিউটা লিখেছি। মুভি দেখার পর আমি এর থিউরিটা নিয়ে আলাদাভাবে স্টাডি করেছি সার্চ করে। আর যেহেতু বেসবল খেলা নিয়ে আমার আইডিয়া জিরো ছিল। তাই এই খেলার নিয়ম ধরন নিয়েও স্টাডি করতে হয়েছে লেখার সুবিধার্থে, এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে ক্লিয়ার আইডিয়া নিতে এই মুভি এবং এই থিউরি নিয়ে গতকাল থেকে কম হলেও ১৪-১৫টা আর্টিকেল আমি পড়েছি। বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। সময়ের অভাবে আরও স্টাডি করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারিনি। লেখাটা পেইন দিচ্ছিল মাথায়, তাই আর সময় না নিয়ে লিখে ফেললাম। ) Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore