Methods & Applications of Observational Research- Part 01 রিসার্চ শিক্ষা by খাতুনে জান্নাত আশা - August 26, 2021August 26, 20211 Spread the lovemoreObservation in Research(অবজার্ভেশনাল রিসার্চ) সাধারণত রিসার্চ এর প্রাইমারি ডাটা কালেকশনের জন্য এই পদ্ধতি এপ্লাই করা হয়। এর মাধ্যমে কাউকে কোনো প্রশ্ন করা ছাড়া, সরাসরি যোগাযোগ করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অবজার্ভেশনের মাধ্যমে ডাটা কালেকশন করার জন্য রিসার্চার হয় নিজে সরাসরি জায়গায় গিয়ে অবজার্ভ করে অথবা কোনো ট্র্যাকিং সিস্টেম, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা ইন্টারনেটের এক্টিভিটি এনালাইসিস করে ডাটা কালেক্ট করে থাকে। ইন্টারনেটে কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা যে কোনো ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে কিন্তু সোসাল মিডিয়াগুলো এখন অবজার্ভ করলেই ইজিলি তথ্য সংগ্রহ করা যায়, কার কোন দিকে ইন্টারেস্ট আছে, কার মাঝে ভালো মন্দ কি গুনাবলি আছে, কার ব্যক্তিত্ব কেমন, কোন বিষয়ে দক্ষতা আছে ইত্যাদি সবকিছুই একজন মানুষের সোসাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘাটলেই বুঝতে পারা যায়। এভাবে কোনো বিজনেস বা কোম্পানির কনজিউমার বিহেভিয়ার বুঝতেও ইজি হয়। আসলে অবজার্ভেশন রিসার্চের মাধ্যমে অনেক বেশি গভীরভাবে এনালাইসিস করার সুযোগ পাওয়া যায়। অনেক সময় সরাসর প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে মানুষ অনেক ব্যাপার এড়িয়ে গেলেও, একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে কোনো কিছু বা কাউকে অবজার্ভ করলে একদম ন্যাচারাল আচরণ বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ক্লিয়ার আইডিয়া পাওয়া যায়। যেমন দেখেন, গুগল কিন্তু সরাসরি আমাদের দেখে না কখনো, কিন্তু আমরা ঠিক যা সার্চ করি, যে সম্পর্কে স্টাডি করি, যেসব ভিডিও দেখি, যে টাইপের পেইজ বা গ্রুপে ভিজিট করি ঠিক সেগুলোই আমাদের সামনে নিয়ে আসে। এটা কিন্তু অবজার্ভেশনের মাধ্যমে গভীর এনালাইসিসের ফলেই সম্ভব হয়। ওরা আমাদের প্রত্যেকটা এক্টিভিটিকে ক্যাপচার করে, নজরে রাখে, আমাদের টেস্ট বোঝার চেষ্টা করে, তারপর সেই অনুযায়ী সব এডভারটাইজমেন্ট, পেইজ, গ্রুপ, ভিডিও, অডিও আমাদের সামনে নিয়ে আসে। What can be Observed? অবজার্ভেশনের মাধ্যমে রিসার্চার কি কি অবজার্ভ করতে পারে, তা বলছি এখন। অবজের্ভেশন স্টাডির মাধ্যমে যে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয় মানুষের আচরণের ভিত্তিতে সেগুলোকে ৭টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। 1) Physical Action: মানুষের মুভমেন্ট বা চলাফেরা, নড়াচড়া, হাঁটাচলা ইত্যাদি অবজার্ভ করা হয়। যেমনঃ কাস্টমার শপিং করতে এসে ঠিক শপিংমলের কোন দোকান গুলোর দিকে যাচ্ছে, কোন প্রোডাক্টটা হাত বাড়িয়ে দেখতে আগ্রহী হচ্ছে বা কোম্পানির কোনো শ্রমিক ঘন্টায় কি পরিমাণ কাজ করতে পারছে, কোন একজন মানুষ ঠিক কত গতিবেগে হাঁটছে বা ড্রাইভ করছে……. এগুলো দেখে চলাফেরায় কোনো অসামঞ্জস্যতা বা কোনো বদঅভ্যাস( নাক, কান,মাথা চুলকানো 😆) আছে কিনা ন্যাচারালি সে কেমন আচরণ করছে, এগুলো বিভিন্ন কিছু এভাবে ফিজিকাল একশন এনালাইসিস করে বের করা যায়। এটা শুধু সরাসরি মানুষ কে দেখেই করা যায় তা নয়, ইন্টারনেট জগতেও মানুষের মুভমেন্ট তার দৈনন্দিন এক্টিভিটি থেকেই বের করা যায়। 2) Verbal Behaviour: অবজার্ভেশনের মাধ্যমে কথা বলার ধরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। মানুষের কথার ধরণ দেখেও কিন্তু অনেক কিছু বোঝা যায়। কিছু মানুষের কথায় মাধুর্যতা আছে, কথায় বিনয় প্রকাশ পায় আবার কিছু মানুষ খুব কর্কশ, কথার মাঝে হয়ত বিনয়ী ভাব নেই, খাপছাড়া ভাব। কিছু মানুষ আবার অল্প কথা বলে, কিন্তু অর্থবহ কথা বলে যার মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। আবার কিছু মানুষ অপ্রয়োজনীয় কথা বেশি বলে। এগুলো আরও অনেক কিছু মানুষের মৌখিক আচরণ দেখে এনালাইসিস করা যায় যা রিসার্চের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 3) Expressive Behaviour: মৌখিক অভিব্যক্তি, ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বা মুখভঙ্গি, ভয়েস টোন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদি অবজার্ভ করা হয়ে থাকে। অনেকে কথা বলার সময় বেশি বেশি হাত পা নাড়ায় এটাও যেমন ঠিক না। আবার একদম রোবটের মতো কথা বলে যাওয়াও ঠিক না। কথা আচরণের সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এগুলো সবই অব্জার্ভ করা হয়। 4) Spatial Relations and Locations: অবজার্ভেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্পর্ক এবং এর মধ্যবর্তী দূরত্ব এনালাইসিস করা হয়। যেমনঃ একটা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট লেভেল থেকে প্রেসিডেন্ট লেভেলে যেতে হলে কতগুলো স্টেজ অতিক্রম করে যেতে হয়, ম্যানেজমেন্টের সাথে সিইওর সম্পর্কে কেমন, অর্গানাইজেশনের কোনো প্রব্লেম নিয়ে সিইওর সাথে চাইলেই আলোচনা করা যায়, নাকি অনেক ফর্মাল ওয়ে মেইনটেইন করে যেতে হয় ইত্যাদি বোঝা যায়। এখানে শুধু কোম্পানির উদাহরণ দিয়ে বললাম। এটা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সম্পর্কের নৈকট্য বা দূরত্ব বোঝা যায় অবজার্ভ করে এই spatial relations এনালাইসিস করে। যেমনঃ ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক, শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক আচরণ ইত্যাদি৷ আর বিভিন্ন সময় আমরা বলি যে, আমার বাসা ওই দোকানটার ডানে, বলটা টেবিলের নীচে, ল্যাপটপ বিছানার উপরে, বাম দিকে গেলে ওই জায়গাটা খুঁজে পাবে…. ইত্যাদি বাক্যে ডান, বাম, উপরে, নীচে বলে যে দুই বা তার বেশি ব্যক্তি বস্তুর মাঝে সম্পর্কগুলো প্রকাশ করা হয়, এগুলোকেই বলা হচ্ছে Spatial relations & locations. কোনো আর্ট এক্সিবিশনে গিয়ে একজন ভিজিটর কতটুকু দূরত্বে দাঁড়িয়ে পেইন্টিং দেখছে এটা অবজার্ভ করা এই Spatial relations & locations ক্যাটাগরির এর অন্তর্ভুক্ত বলা যায়। 5) Temporal Patterns: যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বা কাজ করতে মানুষ কেমন সময় নেয়, এটাও অবজার্ভ করা হয়। যেমনঃ কোনো ইনভেস্টমেন্ট বা বিজনেস ডিসিশন নিতে কত সময় নিচ্ছে, শপিং করতে কেমন সময় নিচ্ছে ইত্যাদি দেখা হয়। 6) Physical Objects: অবজার্ভেশনের মাধ্যমে দেখা হয়, মানুষ তার ব্যবহার্য জিনিস কি ফেলে দিচ্ছে, নাকি সেগুলোকে রিসাইকেল করে কাজে লাগাচ্ছে। যেমনঃ অনেকে বিভিন্ন উপায়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে না দিয়ে কাজে লাগায়৷ এটা পরিবেশ বান্ধব একটা প্রক্রিয়া। প্লাস্টিকের বোতল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার থেকে সেটা দিয়ে বিভিন্ন ক্রাফটিং করা যায়, ফুলদানী, টব বা ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে কাজে লাগানো যায়। কারা পুরোনো জিনিস কাজে লাগাচ্ছে, আর কারা ফেলে দিচ্ছে এগুলো অবজার্ভ করা হয়৷ 7) Verbal & Pictorial Records: প্রোডাক্ট প্যাকেজের বারকোড এনালাইসিস করা হয়, বিভিন্ন লিফলেট বা বুকলেটে দেয়া ছবি, গ্রাফ ইত্যাদি থেকেও বিভিন্ন তথ্য কালেক্ট করা হয় অবজার্ভেশনের মাধ্যমে। দেখা আর অবজার্ভ করার মাঝে কিন্তু বিস্তর ফারাক। আমরা এমন অনেক কিছুই দেখি, কিন্তু কি দেখেছি কেউ জানতে চাইলে পরবর্তীতে আর মনে পরবে না। কোনো ঘটনা বা মানুষকে যখন অবজার্ভেশনের দৃষ্টিতে দেখব তখন অনেক গভীরভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হবে। মানুষটা কি করে কথা বলে, কি করে হাসে, কি করে হাঁটে, কি কালার ড্রেস পরেছে, পরিপাটি নাকি অগোছালো ইত্যাদি অনেক কিছুই তখন সময় নিয়ে দেখা হবে। আবার দেখেন ফেসবুকে যদি কাউকে অবজার্ভ করতে চাই, তবে প্রথমেই তার প্রোফাইল চেক করব। তার ছবি, স্ট্যাটাস, কমেন্ট ইত্যাদি সব দেখে বোঝার চেষ্টা করব মানুষটা কি নেগেটিভ মাইন্ডের নাকি পজিটিভ। আরও অনেক কিছুই বোঝা যাবে ভালো ভাবে অব্জার্ভ করা হলে। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore