You are here
Home > ই-কমার্স > Baidu vs Google(Search Engines): How They Differ

Baidu vs Google(Search Engines): How They Differ

Google vs Baidu
Spread the love

সেদিন হঠাৎ দেখি আমার ব্লগে Baidu থেকে ভিজিটর এসেছে, আমি তখন জানিনা এটা কি জিনিস! সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে দেখাচ্ছিল তাই বুঝলাম কোনো একটা দেশের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন হয়ত। কৌতূহলী হয়ে তাই ঢুকে দেখি এটা চীনের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন। খুব অবাক লাগছিল এর সার্চ লিস্টে ইনডেক্সিং ছাড়াই আমার ইংলিশ সাব ডোমেইন পাচ্ছে দেখে আর সেটা থেকে বাংলা ব্লগেও এসেছে ভিজিটর!
তাই ভাবলাম Baidu নিয়ে আরেকটু ডিটেইলস স্টাডি করি। পড়ে যা পেয়েছি তাই শেয়ার করছি আমার এই লেখায়।

Baidu যেহেতু একটা সার্চ ইঞ্জিন তাই গুগলের সাথে এর মিল অমিল জেনে নেই।

Baidu vs. Google: An Overview

গুগল হচ্ছে গ্লোবাল সার্চ ইঞ্জিন, আর Baidu চীনের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন।

২০১০ সাল থেকে চীনে গুগল পার্শিয়ালি রেস্ট্রিক্টেড করা হয়েছে বিভিন্ন সিকুরিটি ইস্যুর কারণে। চীন থেকে Google.com সার্চ করলে এখন সরাসরি অডিয়েন্সকে হংকং বেইসড গুগল সাইট Google.com.hk সার্ভারে নিয়ে যায়।

গুগলের বিভিন্ন সার্ভিস, যেমন-  Search, Gmail, Translate, Drive, Youtube, Play Store, News, Maps ইত্যাদি সবই চীনে ব্লকড করে রাখা হয়েছে। তবে চীন থেকে গুগল ইউজ করতে চায় যারা , তারা VPN সার্ভারের মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকে।

২০২১ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, চীনের ৭২.৩৭% মার্কেট শেয়ার দখল করে আছে Baidu, আর গুগলের সাবসিডিয়ারি হিসেবে এবং চীনের ৪র্থ অনলাইন সার্চ মার্কেট হিসেবে Google China এ দেশের ১.৯৫% শেয়ার দখল করে আছে।

Google এবং Baidu উভয়ই আমেরিকান বেইসড ফিনান্সিয়াল মার্কেট NASDAQ এর রেজিস্টার্ডভুক্ত কোম্পানি, তবে তাদের মূল পার্থক্য Baidu শুধু চীনের জাতীয় সার্ভার হিসেবেই আছে এবং শুধু এই ন্যাশনাল মার্কেট ফোকাস করেই থাকবে আপাতত আর Google অপ্রতিরোধ্য ইন্টারন্যাশনাল সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে তাদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস, বিজনেস বিশ্বব্যাপী এক্সপান্ড করে যাবে।

আর তাদের প্রোডাক্ট সার্ভিস অফারিং এ খুব বেশি পার্থক্য নেই, কারণ Baidu চীনের ইউজারদের সব প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে চলেছে; যেমন- সার্চ ইঞ্জিন সাপোর্ট, লোকেশন বেইসড সার্ভিস, সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং, গেমিং, এন্টারটেইনমেন্ট, এডুকেশনাল এবং সোসাল সার্ভিস ইত্যাদি সব চাহিদাই বাইদু পূরণ করে থাকে।

চীনে Baidu ‘র কার্যক্রমের মূল চ্যালেঞ্জ চাইনিজ ভাষা। কারণ চাইনিজ বিশ্বের অন্যতম জটিল ভাষা এবং এই সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ন চাইনিজ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ ইংলিশে কিছু সার্চ করলেও সার্চ ইঞ্জিন সেটার রেজাল্ট চাইনিজ ভাষায় দেখায়। চাইনিজ ভাষায় একটি শব্দের অনেক অর্থ হয়ে থাকে, ফলে Baidu ‘র এলগোরিদম যতটুকু সম্ভব সেই শব্দগুলোর সাথে মিল রেখে সেট করার চেষ্টা করা হয়েছে।

Baidu চীনে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে থাকতে চায়, ম্যাক্সিমাম মার্কেট শেয়ার দখল করে থাকা তাদের অন্যতম লক্ষ্য । তবে সমস্যা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে ইন্টারনেট পেনেট্রেশন হার অর্থাৎ ইন্টারনেট ইউজার সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

Baidu দুইটা সেগমেন্ট নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে- Baidu Core ও iQIY

** Baidu Core আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (AI) ফোকাস করে কাজ করে, যার অন্তর্ভুক্ত হল কি-ওয়ার্ড বেইসড মার্কেটিং এবং

** iQIYI অনলাইন এডভার্টাইজমেন্ট অফার করে।

এই দুটো সেগমেন্টের মাঝে সর্বোচ্চ রেভিনিউ আসে Baidu Core থেকে, যা প্রায় কোম্পানির টোটাল উপার্জনের ৭০%। এই সেগমেন্টের আন্ডারে Baidu App নামের একটি মোবাইল ইউজার প্লাটফর্ম রয়েছে, যা চীনের এক নাম্বার সার্চ প্লাস ফ্রি মোবাইল এপ, AI ক্লাউড সার্ভিসও প্রোভাইড করে।

গুগলের অনেক বেশি ওয়াইড এবং ইউনিক সার্ভিস থাকলেও Baidu চীন বেইসড স্পেসিফিক সার্ভিস অফারের ক্ষেত্রে  গুগল থেকে অনেকটা এগিয়ে। যেমন- চীনের আইনগত জটিলতা মিটিয়ে এটি হারানো কোনো ব্যক্তির অনুসন্ধান, সিনিয়র সিটিজেন অনুসন্ধান এবং পেটেন্ট অনুসন্ধানের মতোও বিভিন্ন স্পেসিফিক সার্ভিস দিয়ে থাকে।

Baidu আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সকে কেন্দ্র করেই তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সার্ভিস এক্সপানশনের চিন্তা করছে চীনের জনসাধারণের জীবনযাত্রা সর্বোচ্চ সহজ করে দেয়ার জন্য। তারা প্রতিনিয়ত এটা নিয়ে গবেষনা করে চলেছে। চীনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তারা Robotaxis বা Driverless Car বাজারে আনছে, এছাড়া ভাইরাস ডিটেক্টর, ভ্যাক্সিন নিয়ে গবেষনার অগ্রগতি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছে তারা। Baidu সার্ভিস ইন্টাস্ট্রীগুলোর জন্য ডিজিটাল এবং ভার্চুয়াল মানুষের মতো মেশিন তৈরির পরিকল্পনা করেছে।

2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে, Baidu  একটি নিজস্ব ড্রাইভিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে AI প্রযুক্তির গাড়িগুলোর পরিবহন সুবিধার জন্য, যার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরী অ্যাপোলো রোবোট্যাক্সিস, রোবোবাস এবং অন্যান্য ড্রাইবার-বিহীন গাড়িগুলো চলবে। হংকংয়ের গুয়াংজু শহরে প্রথম চালু করা হয়েছে তাদের AI প্রযুক্তির গাড়ি, যা গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার করে তৈরী করে নিতে পারবেন।

গুগল অনেক বছর আগে থেকেই এই AI প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এবং প্রতিনিয়ত একে কেন্দ্র করে তাদের নতুন প্রোডাক্ট সার্ভিস লঞ্চ করছে। গুগলের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ওয়েমো ড্রাইবারলেস কার চালু করেছিল এবং গুগল বর্তমানে বিভিন্ন রোগের সঠিক ডায়াগনসিস করার জন্য AI প্রযুক্তি নিয়ে গবেষনা চালাচ্ছে।

সবশেষে বলা যায়, Google এবং Baidu তাদের স্ব-স্ব সেক্টরে সেরা, গুগল যুদ্ধ করছে গ্লোবাল মার্কেটে টিকে থাকার জন্য আর Baidu চাইনিজ মার্কেটে সেরা জায়গা ধরে রাখার জন্য। তবে দেখা যাক Baidu গ্লোবালি তাদের এক্সপানশন স্ট্রাটেজি নিয়ে ভবিষ্যতে ভাবে কিনা!


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

6 thoughts on “Baidu vs Google(Search Engines): How They Differ

  1. আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম চিনের বাইডু সম্পর্কে। ধন্যবাদ

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: