ময়মনসিংহে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের ই-কমার্স সম্ভাবনা-আরিফা মডেল আরিফা মডেল ই-কমার্স ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ বিভাগ সংবাদ by খাতুনে জান্নাত আশা - September 17, 2021September 17, 20210 Spread the lovemoreময়মনসিংহের ই-কমার্সে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের সম্ভাবনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের অন্যতম আশীর্বাদ ছিল চিরকাল নদীবাহিত পলিমাটি। বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলে পানির সাথে পলি এসে মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে দিত বহুগুণ আর ফলত সোনার ফসল। রাসায়নিক সার ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কারণে এদেশের মাটি হারিয়েছে এর উর্বরতা, তাই বেড়েছে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে কৃত্রিম উপায়ে ফলন বৃদ্ধির চেষ্টা। রাসায়নিক সার ব্যবহারে উৎপাদিত ফসল খেয়ে আমাদের শরীরের উপর পরছে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া, বাড়ছে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ। এছাড়াও মাটির উপর মাত্রাতিরিক্ত কর্ষণ, মাটির উপরিভাগ কেটে নিয়ে ইট তৈরি ইত্যাদি বিভিন্নভাবে মাটিকে নির্যাতন করে এর উর্বরাশক্তি বিনষ্ট করে দেয়া হচ্ছে, কমছে মাটিতে জীব পদার্থের পরিমাণ। অধিকাংশ এলাকার মাটির জৈব পদার্থ নেমে এসেছে শতকরা এক ভাগের নিচে, যা ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট হুমকিস্বরূপ। তবে আশার বাণী হল, মাটির এই অসহায়ত্ব নির্মুল করতে পারে জৈব সার, আমাদের দিতে পারে অর্গানিক ফসল খাওয়ার সুযোগ। আর এই জৈব সারের উৎপাদন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। জৈব সারের মধ্যে অন্যতম হল ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট সার। কেঁচোকে বলা হয় প্রাকৃতিক লাঙ্গল। তবে এটা শুধু লাঙ্গল নয়, মাটির জৈব উপাদান বৃদ্ধির কারখানাও বটে। কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। তিনি বলেন, “কেঁচো ভূমির অন্ত্র এবং পৃথিবীর বুকে উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে, যার ওপর ফসল উৎপাদন করি।“ এ অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পচনশীল জৈবপদার্থকে কেঁচোসার বা ভার্মিকম্পোস্টে রূপান্তরিত করে। আহার পর্বের পর যে পাচ্য পদার্থ কেঁচো মলরূপে নির্গমন করে, তাকে কাস্ট বলে। এ কাস্টের ভেতর জীবাণু সংখ্যা এবং তার কার্যকলাপ বাড়ার কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে। দেখা গেছে, পারিপার্শ্বিক মাটির তুলনায় কাস্টের মধ্যে জীবাণু সংখ্যা প্রায় হাজার গুণ বেশি। এ কাস্টের ওপরে বিভিন্ন প্রকার উপকারী ব্যাক্টেরিয়া জীবাণু বেশি থাকায় মাটির উর্বরতাও বাড়ে। কাস্টের কারণে মাটি থেকে গাছে ৬ শতাংশ নাইট্রোজেন এবং ১৫-৩০ শতাংশ ফসফরাস যোগ হতে দেখা যায়। এছাড়াও অন্যান্য উদ্ভিদ খাদ্য উপাদান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম গাছ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারে। কেঁচোর উপস্থিতিতে জৈবপদার্থের কার্বন ও নাইট্রোজেন অনুপাত প্রায় ২০:১ এর কাছাকাছি হয়। এ অনুপাতে গাছ সহজেই কম্পোস্ট থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। তাই দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন করে মানুষের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে ভার্মিং বা কেঁচো সারের বিকল্প কিছু হতে পারে না। আরও পড়তে পারেন, ময়মনসিংহের ই-কমার্সে ড্রাগন ফ্রুট চাষে সম্ভাবনা।। আরিফা মডেল ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলে ভার্মিং বা কেঁচো সারের উৎপাদন বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রত্যেকটি উপজেলায় বাড়ছে বিপুল পরিমাণ ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট সারের উৎপাদন। গড়ে উঠছে কেঁচো সার উৎপাদন পল্লী, বাড়ছে একে ঘিরে স্বাবলম্বী নারী পুরুষের সংখ্যা, তৈরী হচ্ছে শিক্ষিত উদ্যোক্তাও। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আবুল হোসেনের জীবনে অভাবনীয় সাফল্য এনেছে কেঁচো। টাঙ্গাব ইউনিয়নের বাশিয়া গ্রামের সাবেক এই মেম্বার আবুল হোসেন নিজেই কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করেন। তা নিজেদের চাষাবাদে ব্যবহার করেন, আবার প্রতি মাসে অন্তত ২৫ হাজার টাকার সার বিক্রি করেন। এতে বছরে আয় হয় অন্তত দুই লাখ টাকা। এখন পুরোদস্তর স্বাবলম্বী আবুল হোসেন। কেঁচো সার উৎপাদন শুরুর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তার। প্রথমে ২০টি মাটির চারি দিয়ে বিশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কেঁচো সার তৈরি শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার সারের খামারে ২০০ চারি আছে। চারির মাধ্যমে তিনি দেড় বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। চারিতে গোবর, চা পাতা, কচুরিপানা লতা-পাতা ও ডিমের খোসা, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ও কলাগাছ টুকরা টুকরা করে কেটে মেশানো হয়। সেগুলো চারিতে ভাগ করে রাখা হয়। প্রতিটিতে ছেড়ে দেয়া হয় অন্তত এক হাজার কেঁচো। চটের বস্তা দিয়ে চারি ঢেকে রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কেঁচো সার উৎপাদন হতে দুই মাস সময় লাগে। প্রতি মাসে গড়ে তিনি ২০ থেকে ২২ মণ কেঁচো সার উৎপাদন করতে পারেন। ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে এ সার বিক্রি হয়। খরচ বাদ দিয়ে মাসে সাত-আট হাজার টাকা লাভ থাকে। পাশাপাশি চারিতে কেঁচোর বংশ বিস্তার ঘটে। প্রতিটি কেঁচো এক টাকা দরে বিক্রি করেও বাড়তি আয় করতে পারছেন। এই সার ব্যবহার করে তিনি ২ একর ১০ শতাংশ জমিতে সারা বছর সবজি ও ধান চাষও করছেন তিনি। আবুল হোসেনকে দেখে এখন উপজেলার অকেকেই কেঁচো চাষ করছেন। স্বাবলম্বী হওয়ার লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছেন তারাও। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামে ঢুকতেই চোখে পরবে একটা সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা দেখতে পাবেন ‘এই গ্রামে কেঁচো সার পাওয়া যায়’। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে উৎপন্ন হয় বিপুল পরিমাণ কেঁচো সার, যার মূল উদ্যোগ গ্রহণকারী হল, এলাকার নারীরা। সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এই সার উৎপাদনের কাজ। ওয়ার্ল্ড ভিশন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে এই কেঁচো সার উৎপাদনে। প্রায় ৫ বছর ধরে এই নাটুয়াপাড়া গ্রামে কেঁচো সার তৈরী শুরু হয়েছে। গ্রামের প্রায় সব পরিবার নিজের বাড়িতে উৎপাদন করছে এই সার। তারা পাইকারিভাবে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে এই কেঁচো সার। সার বিক্রির বাড়তি এই আয়ে গ্রামের পরিবারগুলো সচ্ছল হয়ে উঠেছে। আরও জানা যায়, এই এলাকায় জৈব সার উৎপাদনের কারণেই মানুষ রাসায়নিকমুক্ত ফলনে আগ্রহী হচ্ছে। কারণ এতে করে ফলন যেমন বাড়ছে তেমনি রাসায়নিকমুক্ত অর্গানিক খাদ্যও উৎপাদন হচ্ছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার, বাড়ছে উৎপাদন। ঈশ্বরগঞ্জের পাইকুড়া গ্রামে বর্তমানে ছয়জন কৃষক কৃষি বিভাগের সাথে পরামর্শ করে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছেন। তাঁরা উৎপাদিত সার নিজেদের জমিতে ব্যবহার করে ধান, পাট ও শাক সবজির প্রচুর ফলন পেয়েছেন, আবার এসব সার বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন করছেন। মুক্তাগাছার দুল্লা ইউনিয়নে জৈব পদ্ধতিতে কেঁচো সার তৈরি ও ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মোজেদা খাতুন। দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজ বাড়ির আঙিনায় কেঁচো সার উৎপাদন করে একদিকে হয়েছেন স্বাবলম্বী অন্যদিকে তার স্বীকৃতি স্বরূপ অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী নারী হিসেবে মোজেদা ২০১৮ সালে পেয়েছেন জয়িতা পুরষ্কার। মোজেদার রয়েছে ফজিলা, আনোয়ারা ও মরিয়মসহ ৩০ জনের একটি দল। এখান থেকে প্রতি মাসে তাদের তিন থেকে চার টন কেঁচো সার উৎপাদিত হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নেত্রকোনা, সিলেটে বিক্রি করা হচ্ছে কেঁচো-সার। এই কেঁচো-সারের বেশির ভাগই কিনে নিচ্ছেন ফলমূল ও সবজি উৎপাদনকারী বিভিন্ন খামারিরা। প্রতি কেজি কেঁচো সার ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও এই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ২ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের গৃহিণী সংসারের কাজের পাশাপাশি নিয়মিত উৎপাদন করে যাচ্ছেন কেঁচো-সার। ময়মনসিংহ সদরের মোস্তাক আহমেদের জীবনেও পরিবর্তন এনেছে কেঁচো সার। তার প্রতিষ্ঠিত এগ্রোটেক কোম্পানির মাধ্যমে নগরীতে সরবরাহ করছেন ভার্মি বা কেঁচো কম্পোস্ট সার এবং কেঁচো সার উৎপাদনে আগ্রহী আরও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষনও দিচ্ছেন। ২০১১ সালে মাত্র ৩ হাজার কেঁচো নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। সেসময় মাসিক উৎপাদনও ছিল মাত্র ৫০ কেজি। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন কেঁচোর সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। আর এ থেকে মাসিক সার উৎপাদন হচ্ছে দুই টনেরও অধিক। ময়মনসিংহ ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলায়ও যাচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত কেঁচো সার। কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে ত্রিশাল উপজেলার বেলতলি গ্রামেও। ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে হয়ে ত্রিশাল অতিক্রমের সময় হয়ত আপনার চোখে পরবে একটা সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা “ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার পাওয়া যায়”। সব মিলিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহে বিশাল কেঁচো সারের বাজার তৈরী হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। কেঁচো প্রতি তিন মাসে একবার বংশ বৃদ্ধি করে। একেকবার প্রতিটি কেঁচো ১০০ থেকে ১৫০টি কেঁচো জন্ম দেয়। প্রতিটি বাচ্চা কেঁচোর বাজারমূল্য এক টাকা ৭৫ থেকে ৮০ পয়সা। ফলে মাত্র চার হাজার কেঁচো চাষ করে প্রতি তিন মাসে ৬০ হাজার টাকার বাচ্চা ও ৩০ হাজার টাকার সার বিক্রি করা সম্ভব। আর এই সার ব্যবহারে মাটিতে জৈব উপাদান বৃদ্ধি পায়, পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, মাটির বুনট উন্নত করে, শিকর বিস্তার সহজ করে এবং উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগায়। এই সার রাসায়নিক সারের মূল্যের অর্ধেক বা তিন ভাগের এক ভাগ। সব দিক বিবেচনায় তাই এর রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। একটি কেঁচো সাধারণত দুই বছর বাঁচে। এক মাস বয়সী একটি কেঁচোর দাম ৩ টাকা। কিন্তু এক বছর বয়সী কেঁচোটার কোনো দাম নেই। সেই কেঁচো থেকে মাছ বা পোলট্রি ফিডের ড্রাইমেটার বা প্রোটিন হিসেবে জোগান দেওয়া সম্ভব। এই কেঁচো সার উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার হিসাবটা তো আছেই, পরিবেশগত লাভটা কিন্তু আরও অনেক বেশি। পড়তে পারেন, ময়মনসিংহের ই-কমার্সে সীডলেস লেবু চাষের সম্ভাবনা ময়মনসিংহে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের ই-কমার্স সম্ভাবনা বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে জৈবসারের চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে ৩০ হাজার কোটি থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার কেমিক্যাল সার ও কীটনাশকের বাজার আছে আমাদের দেশে। তবে সরকার চেষ্টা করছে রাসায়নিক সারের এই বাজার কমিয়ে এনে জৈবসারের বাজার তৈরি করার। ফলে কম হলেও ১ হাজার কোটি টাকার জৈবসারের বাজার তৈরি হবে। এই বিশাল সম্ভাবনার বাজারে ইচ্ছা করলেই তৈরী হতে পারে অনেক ই-কমার্স উদ্যোক্তা। ময়মনসিংহের ই-কমার্সে এই জৈব সারকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা তৈরী হলে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষই লাভবান হবে একটু বেশিই। কারণ বর্তমানে শহুরে যান্ত্রিক জীবনের এক্টুখানি প্রশান্তি পেতে চায় সবাই ছাদকৃষি করার মাধ্যমে। আর এর জন্য সবার প্রয়োজন হয় কেঁচো সারের। ই-কমার্স উদ্যোক্তারা সৌখিন প্যাকেজিং করার মাধ্যমে কেঁচো সার পৌঁছে দিতে পারে ঘরে ঘরে। সারাদেশেই প্যাকেজিং এর মাধ্যমে কেঁচো সার ডেলিভারি দিতে পারবে উদ্যোক্তারা। মাটির সাথে পরিমাণমত কেঁচো সার মিক্সিং করে তারা সরবরাহ করতে পারে, গাছপ্রেমীদের তবে আর সারের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর ই-কমার্স উদ্যোক্তারা চাইলে নিজে কেঁচো সার উৎপাদন না করেও এটা নিয়ে কাজ করতে পারে। ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ কেঁচো সার উৎপন্ন করা হচ্ছে, যা পাইকারি মূল্যে বিক্রি করা হয়। উদ্যোক্তারা সেই সব জায়গা থেকে সার সংগ্রহ করে, ই-কমার্সের সাহায্যে পৌঁছে দিতে পারে সারাদেশে খুব সহজেই। জৈবসার হিসেবে কেঁচো সারকে আদর্শ বলা যায়। যত দিন যাচ্ছে নিরাপদ অর্গানিক খাদ্যের প্রশ্নে সারাবিশ্বেই ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করতে আমাদেরও জৈবকৃষির দিকে এগোতে হবে। আমাদের দেশেও কেঁচো সারের একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার তৈরি হয়েছে। আর তাই ময়মনসিংহের ই-কমার্সে কেঁচো সারকে কেন্দ্র করে নতুন সম্ভাবনাময় উদ্যোগের স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে, যা এই সেক্টরের সমৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore