স্টার্ট আপ মার্কেটিং স্ট্রাটেজি Blog ই-কমার্স বিজনেস by খাতুনে জান্নাত আশা - July 27, 2021August 3, 20210 Spread the lovemore Growth Hacking Marketing ** গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং কি? কোনো একটা স্টার্ট আপ কে ক্রিয়েটিভ ওয়েতে খুব কম খরচে টার্গেট কাস্টমারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই হচ্ছে গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং। আমাদের মতো নতুন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কিন্তু মার্কেটিং এর পেছনে ব্যয় করার মতো এতো টাকা নেই, তাই টিভি বিজ্ঞাপন বা বড় বড় বিলবোর্ড দিয়ে উদ্যোগের প্রচারণা চালানো সম্ভব না। আমাদের তাই এমন স্ট্রাটেজি খুঁজতে হবে যাতে বাড়তি খরচ করার কোনো দরকার হবে না। ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স আমাদের এই কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমি একদম সহজ উদাহরণ দিচ্ছি, আমাদের নিজেদের দেখা উদাহরণ – বিকাশে কাউকে আমরা ইনভাইট পাঠালে, আমাদের ইনভাইটেশন থেকে যদি সে এপ্স ইন্সটল করে নিউ একাউন্ট ওপেন করে তবে আমরা ৫০ টাকা রিওয়ার্ড পাই। আর এই ৫০টাকা রিওয়ার্ডের জন্য হলেও আমরা আরেকজন কে বিকাশ একাউন্ট খুলতে উৎসাহিত করি। বিকাশের প্রচারণা কিন্তু তবে আমরা কাস্টমাররাই করছি, এটা একটা গ্রোথ হ্যাকিং স্ট্রাটেজি। কন্টেন্ট রাইটিংঃ আমরা আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে যা জানি তা আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করছি কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে। উই আজ দেশিয় পন্যের এতো বড় এবং তথ্যবহুল প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠেছে এই কন্টেন্ট রাইটিং স্ট্রাটেজির উপর ভিত্তি করেই এবং মানুষ উই এর উদ্যোক্তাদের লেখা কন্টেন্টগুলো থেকেই দেশীয় পন্য সম্পর্কে জানছে, আকৃষ্ট হচ্ছে, বিদেশী পন্যের উপর আজ দেশিয় পন্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পডকাস্টঃ ডিএসবি(Digital Skills for Bangladesh) থেকেই আমি প্রথম এর সম্পর্কে জেনেছিলাম। পডকাস্ট হচ্ছে এক ধরনের আকর্ষনীয় অডিও বার্তা, যার মাধ্যমে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষকে ধারণা দেয়া যায়। পডকাস্ট খুব কার্যকরী একটা গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হতে পারে। কারণ এর জন্য বাড়তি কোনো সময় নষ্ট করতে হয় না আমাদের, অন্য একটা কাজ করতে করতে কিন্তু আমরা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনি, ঠিক তখন কাজের সময় পডকাস্টও শুনে ফেলতে পারি। নিজের প্রোডাক্ট ফিচার নিয়ে তাই কয়েক মিনিটের শর্ট পডকাস্ট মার্কেটিং করতে পারি। পডকাস্টের বাচনভঙ্গী হতে হবে সহজ, স্পষ্ট এবং শ্রুতিমধুর, যেন সহজেই শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষন করা যায়। ব্লগিংঃ নিজের একটা ব্লগ তৈরী করে সেখানে নিয়মিত নিজের উদ্যোগের প্রোডাক্ট নিয়ে লেখালেখি করা। ব্লগে তখন ভিজিটর আসবে, পড়বে, জানবে, আগ্রহী হবে এবং প্রোডাক্ট কিনবে। কাস্টমার ফিডব্যাকঃ কাস্টমারদের থেকে রিভিউ এবং ফিডব্যাক নেয়াও এই মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অন্তর্ভুক্ত। একজন কাস্টমারের ভালো রিভিউ বা ফিডব্যাক দেখে অন্যরা সেই প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে। কাস্টমার মিটআপঃ ক্রেতাদের এই মিলনমেলা ক্রেতা বিক্রেতার আস্থা -বিশ্বাস, ভরসা বাড়িয়ে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করে। রিপিট এবং লয়াল কাস্টমার বৃদ্ধি করতে এটা সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি। কাস্টমার গিফটঃ ১০-২০ টাকার একটা সামান্য উপহার আমাদের একজন স্থায়ী কাস্টমার দিতে পারে। গ্রোথ হ্যাকিং স্ট্রাটেজির আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে নতুন কাস্টমারের পেছনে খরচ করার চেয়ে এটা এক্সিস্টিং কাস্টমারদের পেছনে খরচ করতে বেশি উৎসাহিত করে। যেমন ধরেনঃ আপনাকে দ্রুত নতুন কাস্টমার পেতে হলে ১০০০ টাকা খরচ করে ফেসবুক পেইজ বুস্ট করতে হবে, কিন্তু তা না করে যদি আপনি পুরোনো কাস্টমারদের কে কোনো ওকেশনে ১০০ টাকার গিফট ভাউচার বা ভালো এমাউন্টের কোনো ডিস্কাউন্ট অফার করেন তবেই কিন্তু আপনি লয়াল এবং রিপিট কাস্টমার পেয়ে যাবেন। আর সেই লয়াল কাস্টমাররাই Word of Mouth মার্কেটিং পদ্ধতিতে অন্যদের কাছে আপনার বিজনেসটাকে ছড়িয়ে দিবে, অর্থাৎ সে অন্যজনকে বলবে আপনার থেকে শপিং করে সে কতটা খুশি, এতে অন্যরাও আকৃষ্ট হবে। ডেলিভারি চার্জ ফ্রীঃ লাখ টাকার শপিং করলেও মানুষ ১৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ ফ্রী পেলে খুশিতে আটখানা হয়ে যায়, এটা কাস্টমার রা গিফট হিসেবেই দেখে। এটা সম্পূর্নই সাইকোলজিকাল ব্যাপার। এই ফ্রী ডেলিভারি চার্জ একজন ক্রেতাকে বার বার ফিরে আসতে উৎসাহিত করে। উপরোক্ত একটা মার্কেটিং প্রসেসেও আপনাকে বাড়তি খরচ খুব একটা করতে হবে না, এই ধরনের হাজারটা ক্রিয়েটিভ স্ট্রাটেজি আপনি ইউজ করতে পারেন কম খরচে আপনার বিজনেসের প্রচার প্রসারের জন্য। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore