You are here
Home > Uncategorized > সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস ও আমার অভিজ্ঞতা

সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস ও আমার অভিজ্ঞতা

সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস
Spread the love

সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস ও আমার অভিজ্ঞতা

 

প্রথমেই বলব সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস আমার জীবনের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট।

রিডিং সিলেবাস শেষ করেছি কয়েকমাস হয়ে গিয়েছে। এটা পড়ার আগের এবং পরের আমির মাঝে বিস্তর ফারাক। প্রতিনিয়ত আমি এ থেকে প্রাপ্ত লাভ অনুভব করতে পারি আমার দৈনন্দিন কার্যক্রমের মাঝেই।

 

পূর্বের আমিঃ

 

ইংরেজি আমার প্রধান দুর্বলতা ছিল সারাজীবন। কখনো আসলে এই সাবজেক্টটা নিয়ে চেষ্টাই করা হয় নি, কারণ ভেবেই নিতাম আমি ইংরেজিতে দুর্বল, আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না।

আশ্চর্য হল, আমি ইংলিশ মিডিয়াম ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করার পরও ইংরেজি ভীতি এক বিন্দু কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এটা আমার জন্য বিশাল লজ্জাজনক ছিল। আমি ভাবলেই লজ্জিত হয়েছি সব সময় যে, ২০১৪ সাল থেকে টোটালি বাংলার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না আমার তারপরও ইংরেজিতে এতোটা জড়তা আর ভয় আমার।

সব সময় আমাকে ইন্টারন্যাশনাল বই পড়তে হয়েছে, একাডেমিক বই এর বাইরেও ইন্টারনেটে সব সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমি পড়েছি, সেগুলোও সব ইংরেজিতে। স্যাররা ক্লাস লেকচারে কখনো কোনো বাংলা শব্দও উচ্চারণ করতেন না। ভার্সিটিতে ইংলিশে কথা বলা বাধ্যতামূলক ছিল, বাংলায় কথা বলার জন্য ফাইন নির্ধারিত ছিল। আর আমি এমন ছিলাম যে, ফ্রেশার থাকতে বাংলায় কথা বললে যদি ফাইন হয় তাই ভেবে কথা বলতেই ভয় পেতাম ক্যাম্পাসে, ক্লাসে কিছু না বুঝতে পারলেও স্যারদের প্রশ্ন করতে পারতাম না ইংরেজিতে প্রশ্ন করতে হবে ভেবে।

অফিসে কোনো প্রয়োজনে যেতে ভয় লাগত, এই ইংরেজি বলার ভয়েই!! আনলিমিটেড প্রেজেন্টেশন দেয়ার পরও প্রেজেন্টশনের আগের রাতে ঘুম হত না চিন্তায়, কি করে প্রেজেন্ট করব ভেবে ! সামনে কথা বলতে যেয়ে সব সময় গুবলেট পাকিয়ে ফেলতাম, গলা কাঁপত!

ইংরেজি নিউজপেপার তো পড়ার কথা ভাবতেও পারতাম না। কিছুদিন আইবিএ তে এডমিশন নেয়ার ইচ্ছা থেকে ডেইলি স্টার রেখে পড়তে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এক পেইজও পড়ে শেষ করতে পারতাম না, বোরিং ফিল করতাম, বার বার ডিকশনারি দেখে অর্থ বুঝতে গিয়ে পড়ার ইচ্ছেই হারিয়ে যেত। এক মাস তাই পেপার রেখে মনে হল শুধু শুধু টাকা নষ্ট করছি, তাই বাদ দিয়েছিলাম ডেইলি স্টার রাখা।

খুব ইচ্ছে করত ওয়েস্টার্ন অরিজিনাল বইগুলো পড়তে। হ্যারি পটার, পার্সি জ্যাকসন, এগুলোর ইংরেজি ভার্সন কিনেছিলাম কয়েকটা। কিন্তু ২-১ পেইজ পড়ে ফেলে রাখতে হয়েছিল।

 

সবমিলিয়ে এই ইংরেজী ভীতির কারণে যে, কতটা সাফার করেছি লাইফে এটা বলে শেষ করা যাবে না আসলে।

 

পরের পরিবর্তনঃ

 

রাজীব আহমেদ স্যারের প্রত্যেকটা স্টাডি থিউরি আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে, সেই ইন্টারেস্ট থেকেই সবগুলো থিউরিকে নিজের উপর এপ্লাই করতে চেয়েছিলাম জীবনের শেষ চেষ্টা হিসেবে। আমার বিশ্বাস ছিল, এইবার আমি পারব, আমাকে পারতে হবে। সেই ইচ্ছাশক্তির জুড়েই রিডিং সিলেবাস শুরু করেছিলাম এবং সর্বোচ্চ সময় এর জন্য ইনভেস্ট করে দ্রুত শেষ করেছিলাম।

প্রথম যখন শুরু করি ইংলিশ ফর টু ডে বইগুলো দিয়ে, তখন খুব স্লো পড়ছিলাম। কারণ যাস্ট চোখ বুলিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমি তখনও ভালো ভাবে অনুধাবন করতে পারিনি। অনেক সময় নিয়ে আস্তে ধীরে পড়েছিলাম বলে সময় বেশি লাগত। তবে পরবর্তী ধাপগুলোতে এই চোখ বুলিয়ে পড়াটা বেশ ভালো আয়ত্ত্ব করে ফেলায় দ্রুত পড়া আগাতে পেরেছিলাম।

তবে ইংলিশ ফর টুডে খুব এঞ্জয় করেছি পড়া, ছোটবেলায় হারিয়েছিলাম। খুব সহজ ভাষায় ছোটদের জন্য লেখা এই বইগুলো পড়ে অনেক ইজি ওয়ার্ড আর সেন্টেন্স মেকিং আয়ত্ত্বে চলে এসেছিল। এরপর সার্চ ইংলিশের ক্যাটাগরি পোস্টগুলো পড়ে হয়েছিল নতুন অভিজ্ঞতা।

জিরো এবং ওয়ান ক্যাটাগরিতে স্যারের লেখাগুলো ভীষন ভালো লেগেছে পড়ে, পাশাপাশি বাংলা এবং ইংরেজি সাহিত্যের বিশ্লেষনধর্মী লেখাগুলোও খুব ভালো লেগেছিল। সব খুব সহজ ভাষায় লেখা ছিল বলে বুঝতে একদম অসুবিধা হয় নি।

তারপর ক্যাটাগরি টু এবং থ্রী যদিও কঠিন ছিল, তারপরও দীর্ঘদিন টানা ইংরেজি পড়তে পড়তেই অনেকটা অভ্যস্ততা তৈরী হয়ে যাওয়ায় বেগ পেতে হয় নি খুব একটা।

আর ইংরেজী প্রথম বর্ষের অনার্স বইগুলোও পড়তে খুব ভালো লেগেছে, অনেক কিছু শিখেছি। সবচেয়ে বড় কথা, ইংরেজি অনার্সের বই পড়ব কখনো এটা কল্পনাতীত ব্যাপার ছিল। কিন্তু পড়ে ফেলেছিলাম অবলীলায়।

পুরো রমজান মাস এবং ইদের দিনটাও আমার এই রিডিং সিলেবাসের সাথেই কেটেছিল। আর এই টানা লেগে থাকা, কয়েক মাস ইংরেজির সাথে থাকা আমাকে নতুন আমিতে পরিণত করেছিল। ইংরেজি নিয়ে আমি এতোটা আত্মবিশ্বাসী হয়েছি এখন, আলহামদুলিল্লাহ্‌। কখনোই আসলে এই স্পিরিটটা নিজের ভেতরে ফিল করতে পারিনি এর আগে। সারাজীবন শুধু ভেবেছি, ইস! যদি পারতাম ইংরেজি ভাষায় ফ্লুয়েন্ট হতে! কিন্তু কিভাবে ফ্লুয়েন্ট হব এর উপায় আমার জানা ছিল না। গতানুগতিক ধারার কোনো ইংরেজি শিক্ষা প্লাটফর্ম আমাকে কখনো আকৃষ্ট করেনি।

আমি খুবই চিন্তিত হতাম ভেবে যে, দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছাটা বুঝি ইংরেজি না পারার কারণে পূরণ হবে না কখনো, ইউনিভার্সিটির টিচার হওয়ার ইচ্ছে মনে পুষলেও ইংরেজি পারি না ভেবেই পিছিয়ে যেতাম।

কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখন আমি সত্যিই ফিল করি, ইংরেজি নিয়ে আর ভয়ের কিছু নেই আমার। ইনশাআল্লাহ্‌ আমি এখন যে স্কিল অর্জন করেছি এটা যে কোনো কিছুতে উতরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও আমি এখনো তেমন ফ্লুয়েন্ট স্পিকার না, রাইটার না, কিন্তু আমি এখন লিখতে বা বলতে ভয় পাই না, সঙ্কোচ ফিল করিনা, ভুল করলেও পিছু হটি না। বলে যাই, লিখে যাই আত্মবিশ্বাসের সাথে।

ইংরেজী নিউজপেপার, আমার ইন্টারন্যাশনাল বই, বিভিন্ন নিউজ আর্টিকেল সবই ইংরেজীতেই পড়ছি এবং আগের থেকে দ্রুত পড়ছি, পড়ার ধৈর্য বেড়েছে বহুগুণ, সারাদিন রাত পড়লেও মানসিক ক্লান্তি আসে না। আমার ইংরেজি পড়ার এই ধৈর্য, এই প্রবল আত্মবিশ্বাস তৈরী হয়েছে সার্চ ইংলিশের রিডিং সিলেবাস শেষ করার জন্যই।

আলহামদুলিল্লাহ্‌, নিজেকে আমি সৌভাগ্যবান মনে করি এমন একটা গাইডলাইন পেয়েছিলাম। সব সময় এজন্য কৃতজ্ঞ স্যারের প্রতি।

Paragraph

সার্চ ইংলিশ রিডিং সিলেবাস ও আমার অভিজ্ঞতা


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: