রিসার্চ পোস্ট ৪(Research Methods) রিসার্চ by খাতুনে জান্নাত আশা - July 25, 2021August 2, 20210 Spread the lovemoreThe Scientific Method রিসার্চের প্রায় সব ডেফিনিশনে দেখবেন এই সায়েন্টিফিক মেথডের কথা উল্লেখ আছে। এটা বলতে আসলে কি বোঝায়! রিসার্চ বা গবেষনার মাধ্যমে সাধারণত সত্যের অনুসন্ধান করা হয়, যার প্রমাণ করতে হবে সায়েন্টিফিক মেথডের মাধ্যমে অর্থাৎ উপযুক্ত তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে রিসার্চের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। এই সায়েন্টিফিক মেথডের কিছু ধাপ আছে, যার মাধ্যমে একটা পুরো রিসার্চ সম্পন্ন হয়। দেখি এটাকে একটু সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কিনা। ধরেন আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটা রিসার্চ করবেন। এরজন্য প্রথমে আপনাকে রিসার্চের টপিক খুঁজে বের করতে হবে। ডেফিনিটলি রিসার্চের জন্য আপনি এমন একটা টপিক খুঁজে বের করবেন যার প্রতি আপনার খুব আগ্রহ আছে, যা নিয়ে আপনি আরও গভীরভাবে জানতে চান এবং জানাতে চান। যখন সেই টপিকটা ঠিক করে ফেলবেন, তখন স্বভাবতই আপনি সেটা নিয়ে প্রাথমিক একটা আইডিয়া নেয়ার চেষ্টা করবেন স্টাডির মাধ্যমে। যখন স্টাডি করে বেশ ভালো আইডিয়া আপনার হয়ে যাবে, সেটার উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার রিসার্চটাকে ডিজাইন করবেন। তো এই রিসার্চ ডিজাইন করতে গিয়ে প্রথমেই আপনাকে হাইপোথিসিস ডিজাইন করতে হবে। হাইপোথিসিস হলো- অনুমানের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট স্টেইটমেন্ট, রিসার্চের মাধ্যমে যার সত্যতা আপনি প্রমান করতে চান। এর পরের ধাপে আপনার এই হাইপোথিসিসগুলো সঠিক নাকি ভুল এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরিসংখ্যানের মাধ্যমে এনালাইসিস করতে হবে। রিসার্চের আসল কাজই এটা। হাইপোথিসিস টেস্টিং হয়ে গেলেই রিসার্চের কাজ অনেকটা শেষ বলা চলে। কারণ এর উপরই রিসার্চের রেজাল্ট নির্ভর করে। আচ্ছা ধরে নেন, দেশীয় পন্যের ই-কমার্স নিয়ে একটা রিসার্চ করব আমরা। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যেহেতু এই দেশিয় পন্যের ই-কমার্স সেক্টরের সাথে আমি যুক্ত আছি, এটা নিয়ে অনেক স্টাডি অলরেডি করেছি করছি, তাই প্রাথমিক একটা আইডিয়া আমার হয়ে গেছে। এর উপর ভিত্তি করে আমি কি ধরনের হাইপোথিসিস ঠিক করতে পারি দেখি- H 1: প্রতি বছর দেশীয় পন্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে দ্বিগুন হারে। H 2: ডেলিভারি সমস্যার কারণে অঞ্চল ভিত্তিক পন্যগুলোকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। H 3: এফ-কমার্সের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এই স্টেটমেন্টগুলো কিন্তু আমার পূর্বের স্টাডি থেকে তৈরী হওয়া অনুমান মাত্র। অনুমান নির্ভর কোনো কথা কেউ বিশ্বাস করবে না, আমাকে প্রমান করে দেখাতে হবে আমি যা অনুমান করছি তা ঠিক নাকি ভুল। ঠিক হলেও কত পার্সেন্ট ঠিক। যখন আমি এগুলো সায়েন্টিফিক ওয়েতে টেস্টিং করে সত্যতা যাচাই করব, তা থেকে এক্সাক্ট আউটপুটগুলো বের করে আনব, তখনই তাকে বলা যাবে রিসার্চ। আর এই পুরো প্রসেসটাই হলো সায়েন্টিফিক মেথড। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore