You are here
Home > রিসার্চ > রিসার্চ পোস্ট ১৩ (Research Proposal Making)

রিসার্চ পোস্ট ১৩ (Research Proposal Making)

Spread the love

Research Proposal কি? কিভাবে করতে হয়?

রিসার্চ করার ক্ষেত্রে রিসার্চ প্রোপোজাল কি এবং কেন করতে হবে তা আমাদেরকে জানতে হবে।

রিসার্চ নিয়ে লেখা আমার আগের পোস্টগুলোতে আমি রিসার্চ কি, কেন কর‍তে হবে, রিসার্চ প্ল্যানিং এবং ডিজাইন  করতে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে আইডিয়া দিয়েছি।

সেই আইডিয়াগুলো নিয়ে ধরেন আমরা একটা রিসার্চ প্ল্যানিং বা ডিজাইন এর খসড়া করে ফেলেছি। এখন সেই খসড়া প্ল্যানিংটা কে ফরমাল রূপ দিতে হবে, সহজ কথায় রিসার্চ প্ল্যানিং বা ডিজাইনের এই ফরমাল লিখিত রূপকেই বলা হয় রিসার্চ প্রপোজাল।

** Purpose of the Research Proposal:

রিসার্চ প্রোপোজাল কেন লিখব, কাদের উদ্দেশ্যে  লিখব এটা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। রিসার্চ প্রোপোজাল করব তখনই, যখন রিসার্চ করার জন্য অন্য কারো পারমিশনের দরকার হবে বা ফান্ডিং দরকার হবে বা যে কোনো ধরনের সাপোর্টের দরকার হবে। যেমনঃ

* একটা রিসার্চ আমরা একান্তই নিজে নিজে করতে পারি যেমন পিএইচডি বা একাডেমিক যে কোনো থিসিস বা রিসার্চ। এটা করার জন্যও আমার সুপারভাইজার বা শিক্ষকের সাপোর্ট লাগবে। প্রত্যেকটা রিসার্চারদের গাইড করার জন্য এক বা একাধিক শিক্ষক থাকতে পারেন। তখন তাদের উদ্দ্যেশ্যে আমাকে রিসার্চ প্রোপোজাল লিখতে হবে, যার মাধ্যমে উনারা বুঝতে পারবেন-
আমি কি কারণে রিসার্চ করছি, কিভাবে করতে চাচ্ছি, উনারা আমাকে এতে কিভাবে হেল্প করতে পারেন, এই বিষয়ে আমাকে রিসার্চের অনুমতি দেয়া যায় কিনা ইত্যাদি।

* আবার আমরা যদি কোনো কোম্পনির পক্ষ থেকে রিসার্চ করি, তবে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট এর উদ্দ্যেশ্যে রিসার্চ প্রোপোজাল লিখতে হবে যেন, পুরো রিসার্চ প্ল্যানিং বা ডিজাইন সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার আইডিয়া তারা পেয়ে যান এবং সেই অনুযায়ী সাপোর্ট দিতে পারেন। রিসার্চ প্রোপোজালের উপর নির্ভর করবে ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ করার অনুমতি দিবে, কি দিবে না।

*  সরকারী, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত আরও অনেক কারণেই রিসার্চের দরকার হতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ একটা রিসার্চ করতে আমাদের কারো না কারো সাপোর্ট লাগবেই, আর সেই সাপোর্ট পাওয়ার জন্য আমাদের রিসার্চ প্রোপোজাল তৈরী করতেই হবে।

রিসার্চ প্রোপোজালের মাধ্যমে প্রধানত তিনটা প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে দিতে হবে –

** রিসার্চের বিষয় বস্তু কি?

রিসার্চ টাইটেল উল্লেখ করতে হবে এবং ক্লিয়ারলি রিসার্চ প্রব্লেম ডিফাইন করতে হবে যে, আমি এই সমস্যার সমাধান করতে রিসার্চ করতে চাচ্ছি।

** এই বিষয়ে রিসার্চ করার উদ্দেশ্য কি? কেন রিসার্চ করতে চাচ্ছেন?

সেকেন্ডারি স্টাডির মাধ্যমে পূর্ববর্তী রিসার্চ বা তথ্যসমূহের ভিত্তিতে, লিটারেচার রিভিউ এর মাধ্যমে পুরো সিনারিওটা তুলে ধরে বোঝাতে হবে যে, এই বিষয়ে রিসার্চ করতে চাচ্ছি কারণ তথ্যের ঘাটতি আছে, গ্যাপ আছে, সমস্যা আছে, তাই আমার রিসার্চের মাধ্যমে আমি তথ্যের এই গ্যাপ বা সমস্যাগুলো দূর করতে চাই।

** কিভাবে আপনি রিসার্চ কর‍তে চাচ্ছেন?

প্রপোজালে পুরো রিসার্চ ডিজাইন বা প্রসিডিওর উল্লেখ করতে হবে। আমার ডাটা কালেকশন ম্যাথড কি হবে, কারা আমার রিসার্চ এর স্যাম্পল হবে, কোয়েশ্চনারি ম্যাথড কি হবে, কতদিন সময় লাগবে শেষ করতে, কি পরিমাণ বাজেট দরকার হবে ইত্যাদি সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে।

একটা আদর্শ রিসার্চ প্রোপোজাল সাধারণত ২০০০ থেকে ৪০০০ শব্দের মাঝে হয়ে থাকে এবং অডিয়েন্সের রিকুয়ারমেন্টস অনুযায়ী সেটার ফরমেটেও ভিন্নতা থাকতে পারে।  অডিয়েন্স হচ্ছে তারা, যাদের উদ্দেশ্যে আপনি রিসার্চ প্রোপোজাল লিখছেন।

তবে সাধারনত সব ধরনের রিসার্চ প্রোপোজালেই মোটামুটি কমন যে ধাপগুলো ফলো করা হয়, সেগুলোই এখানে জেনে নেই-

1) Introduction/ Background of the Research:

Introduction আর Background of the Research এই দুইটা টার্ম কে আপনি আলাদা পয়েন্ট করেও লিখতে পারেন আবার দুইটাকে একসাথে করেও লিখে ফেলতে পারেন, কারণ এই টার্ম দুটো প্রায় একই জিনিস ব্যাখ্যা করবে। এখানে আসলে পুরো রিসার্চ প্রোপোজালের সামারিটাই লিখতে হবে।
যেমনঃ
– রিসার্চ এর টাইটেল বা টপিক সিলেক্ট করার কারণ এবং উদ্দেশ্য।

– রিসার্চের প্রব্লেম স্টেটমেন্ট কি এবং কেন?

– রিসার্চ এর টপিক নিয়ে স্টাডি করে কতটুকু তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে এবং আর কি অতিরিক্ত তথ্য জানার প্রয়োজন হতে পারে।

– এই রিসার্চ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এর রেজাল্ট কতটা ফলপ্রসূ হবে।

– রিসার্চ কুয়েশ্চন, রিসার্চ অব্জেক্টিভ, হাইপোথিসিস সবই এই ধাপের অংশ হিসেবে ইনক্লুড হতে পারে।

রিসার্চ অব্জেক্টিভগুলোকে Purpose of the Research পয়েন্টের আন্ডারে আবার দুই ধাপে আলাদা করা যায়-

• General Purpose : রিসার্চের আল্টিমেট গোল বা অব্জেক্টিভ কি তা এক লাইনে লিখতে হয় এখানে।

• Specific Purpose: রিসার্চ এর আল্টিমেট গোলে রিচ করতে হলে, সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পেতে হলে এক্সাক্টলি কি কি গোল বা অব্জেক্টিভ একে একে এচিভ করতে হবে সেগুলো লিখতে হবে। এই অব্জেক্টিভগুলো হাইপোথিসিসের সাথে মিল রেখে ঠিক করা হয়।

2) Literature Review:

রিসার্চ করতে গিয়ে টপিক সম্পর্কে প্রাথমিক আইডিয়া নিতে বা যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে, এই টপিক রিলেটেড পূর্ববর্তী রিসার্চগুলো স্টাডি করা হয়। আর সেই স্টাডির অভিজ্ঞতা নিয়েই লিখা হয় লিটারেচার রিভিউ। আগের করা বিভিন্ন রিসার্চারদের রিপোর্ট পড়ে রিসার্চারদের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি উল্লেখ করা হয়, আবার সেগুলো থেকে গ্যাপ খুঁজে বের করা হয়, মিল অমিল খুঁজে বের করা হয় এবং সেগুলোর আলোচনা-সমালোচনা, ভালো-মন্দ সবকিছু নিয়েই লেখা হয় এই লিটারেচার রিভিউ।

3) Research Design & Methods/ Methodology:

এই ধাপে ক্লিয়ারলি ব্যাখ্যা করতে হবে, সম্পূর্ণ রিসার্চ কি ম্যাথডে করতে চাচ্ছেন।
অর্থাৎ
— রিসার্চ কি কোয়ালিটেটিভ নাকি কোয়ান্টিটেটিভ?

— ডাটা কালেকশন কি প্রাইমারি সোর্স থেকে করবেন নাকি সেকেন্ডারি সোর্স থেকে নাকি দুই পদ্ধতিতেই?

— রিসার্চ কি সার্ভে পদ্ধতিতে হবে, হলে কুয়েশ্চনারিগুলো কেমন হবে?

— অনলাইন সার্ভে নাকি অফলাইন সার্ভে হবে?

ইত্যাদি সব উল্লেখ করে পরিপূর্ণ একটা রিসার্চ মেথডের আইডিয়া দিতে হবে এবং সাথে ডেমো একটা কুয়েশ্চনারিও দিতে হবে।

এবং রিসার্চের ডাটা কালেকশন করতে বা রিসার্চ এর যে কোনো কার্যক্রম চালাতে যদি সম্ভাব্য কোনো বাঁধার আশঙ্কা থাকে, তবে সেটাও উল্লেখ করতে হবে।

4) Sampling Methods:

এই ধাপে ডাটা কালেকশন প্রসেস কি হবে তা ব্যাখ্যা করতে হবে। যেমনঃ

টার্গেট পপুলেশন কারা হবে, স্যাম্পল ফ্রেম কাদের নিয়ে করা হবে, স্যাম্পলিং করার প্রসেস কি হবে, স্যাম্পল সাইজ কি হবে ইত্যাদি ক্লিয়ারলি উল্লেখ করতে হবে।

5) Data Gathering:

এই ধাপে ডাটা কালেকশনের পুরো সিনারিওটা ব্যাখ্যা করতে হবে।

যেমনঃ
প্রাইমারি ডাটা কালেকশন করতে ফিল্ডওয়ার্ক করবে কিনা, ইন্টারভিউ প্রসিডিওর কি হবে, ডাটা কালেকশন কি ফেইস টু ফেইস ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে হবে নাকি গুগল ফর্মের মাধ্যমে, মেইলে নাকি সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইত্যাদি উল্লেখ করা হবে।

সেকেন্ডারি ডাটা কালেকশন করতে কি কি সোর্স ব্যবহার করা হবে, যেমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে পারে, রিসার্চ পেপার, জার্নাল বা নিউজপেপার হতে পারে, এইসবই উল্লেখ করতে হবে।

6) Data Processing & Analysis:

রিসার্চের ডাটা প্রথম যখন কালেক্ট করা হয় সেটা একটা Raw ডাটা হিসেবে থাকে, তাই একে সাজাতে বিভিন্ন এডিটিং এবং কোডিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হতে পারে, স্টাটিস্টিকাল ক্যালকুলেশনের দরকার হতে পারে, কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার ইউজ হতে পারে, সেগুলোর সবই উল্লেখ করতে হবে এখানে।
স্যাম্পল সাইজ অনুযায়ী ক্যালকুলেশন করে হাইপোথিসিস টেস্টিং করতে হবে, এটা পুরোপুরি স্টাটিস্টিকাল প্রসিডিওর। উল্লেখ করতে হবে  Z-test করবে নাকি T-test করবে।

7) Report Preparation:

রিসার্চ রিপোর্ট কি লিখে প্রেজেন্ট করতে হবে নাকি মৌখিক প্রেজেন্টেশন হবে এবং সেগুলোর ফরমেট কেমন হবে উল্লেখ করতে হবে। মানে এখানে রিপোর্টের ডিজাইন সম্পর্কে আইডিয়া দিতে হবে।

8) Budget & Time Schedule:

দুইটা ছক বা টেবিল তৈরী করে টাইমলাইন আর প্রয়োজনীয় বাজেট কি লাগতে পারে দেখাতে হবে। মানে রিসার্চ এর কোন পার্টের কাজ করতে কতদিন সময় লাগতে পারে এবং কোন কাজের জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে, স্পেসিফিকভাবে দেখাতে হবে।

মোটামুটি এই ছিল রিসার্চ প্রোপোজাল করার প্রাথমিক কিছু ধাপ।


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: