রব রয়(মুভি রিভিউ) – A Tragic Value of Honor Movie Review by খাতুনে জান্নাত আশা - October 27, 20211 Spread the lovemoreরব রয় (মুভি রিভিউ) কিছু ঐতিহাসিক চরিত্র বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় বিভিন্নভাবে বিভিন্নরূপে ফিরে আসে বার বার। তাদেরকে ঘিরে লোকমুখে তৈরী হয় নানান গল্প কেচ্ছা- কিছু সত্য, কিছু কল্পনায় রংচং ঢেলে সাজানো। হোক সাজানো বা সত্য এই চরিত্রগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষের শক্তি, অনুপ্রেরণা আর আদর্শের উৎস হিসেবে কাজ করে। রব রয় এমনি একটি ঐতিহাসিক চরিত্র, যাকে ঘিরে রয়েছে হাজারো গল্প, যেগুলো কখনো শুধু মানুষের মুখে মুখেই ফেরি হয়েছে দেশ দেশান্তরে, কখনো বা ঠাই নিয়েছে বই এর পাতায়, আবার কখনো বা সত্য আর কল্পনার সংমিশ্রণে তৈরি কোনো সিনেমায়। রব রয়ের পুরো নাম রবার্ট ম্যাকগ্র্যাগর। তার জন্ম হয়েছিল ১৬৭১ সালে স্কটল্যান্ডে এবং মাত্র ৬৩ বছর বয়সে ১৭৩৪ সালে সে মৃত্যুবরণ করেছিল। কিন্তু এই কীর্তিমান ক্ল্যান লিডার এই স্বল্প জীবদ্দশায়ই এমন সব দস্যুতা, সাহসিকতা, সততা আর মানবিকতার সরূপ দেখিয়েছিলেন, যা হাজার হাজার বছর পরও মানুষের মুখে মুখে স্মরণ হয়ে থাকে পরম শ্রদ্ধাভরে। রব রয়ের সাথে আমার পরিচয় গতবছর প্রথম কিশোর ক্লাসিকের মাধ্যমে। সেটা পড়ার পর বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছিল সেই চরিত্রটা আমার। ক্লাসিক গল্পটার সবটুকুই সাজানো হয়েছিল রব রয় কে ঘিরে লেখকের কল্পনার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ। এরপর রিসেন্ট আবারও রব রয় চরিত্রকে ঘিরে একটা মুভির ব্যাপারে জানতে পেরে স্বভাবতই খুব আকর্ষনবোধ করলাম একে সেই গল্পটার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ভেবে। তবে মুভি দেখে ভুল ভাঙল আমার। বই আর মুভির প্লট সম্পূর্ণই আলাদা এবং মুভির সাথে রব রয়ের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার মিল রয়েছে বলে উল্লেখ্য আছে। রব রয় চরিত্রের সাথে, তাঁর মূল কাজের সাথে রবিনহুডের মিল পাই আমি। কারণ এই দুটো চরিত্রই দারিদ্রের আশ্রয় আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়ার জন্য এতোটা জনপ্রিয়, কিন্তু দস্যু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। তবে “রব রয়” মুভিটার রিভিউ লেখা নিয়ে আমি খুবই দ্বিধান্বিত ছিলাম, লিখব কি লিখব না! অনেক ভেবে লিখে ফেলারই সিদ্ধান্ত নিলাম। যাই হোক, দেখি এইবার আপনাদেরকে মুভির প্লট সম্পর্কে কতটুকু ধারণা দেয়া যায়। গল্পটির শুরু এবং শেষ ১৭১৩ সালে স্কটল্যান্ডে, যখন ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ডের মাঝে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলছিল। স্কট ক্যাথলিক জ্যাকবাইটরা প্রোটেস্ট্যান্ট ইংরেজদের অধীনে বেশ কষ্টেই জীবনযাপন করত। সেই সময় ম্যাকগ্রেগর ক্ল্যানের নেতৃত্বে ছিল রব রয়, যার সম্বল ছিল ৩০০ একর জমি, যেখানে কৃষি আর গবাদি পশু পালনে জীবিকা চলত সেই ক্ল্যান অধিবাসীদের। খুব স্বচ্ছলতা ছিল না, বরং প্রতিনিয়ত অভাব আর দরিদ্রতার সাথেই বাস ছিল তাদের। রব রয় সব সময় তাঁর লোকদের নিয়ে ভাবত, তাদেরকে ভালো একটা জীবনযাত্রা দেয়ার জন্য চেষ্টা করত। তাঁর অধীনস্ত দরিদ্র মানুষগুলোও তাকে খুব বেশি সম্মান করত, ভালোবাসত, তাঁর কথাকেই শেষ কথা বলে জানত এবং মানত। রব রয় তাঁর লোকদের অবস্থার পরিবর্তনের কথা ভেবেই তাই স্থানীয় শাসক মারকুইজ অব মনট্রোজ থেকে ১ হাজার পাউন্ড ধার নিয়ে ব্যবসা পরিকল্পনা করতে চাইল, গবাদি পশুর ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে চাইল। তখন মনট্রোজ রব রয়ের পুরো ৩০০ একর জমি বন্ধক রেখে ১ হাজার পাউন্ড ধার দিতে রাজি হয় মোটা অংকের সুদের বিনিময়ে। আচ্ছা, এইবার মুভিটার সবচেয়ে ঘৃণিত চরিত্রটা সম্পর্কে একটু বলে নেই। এই লোকটাকে আসলে আমার এতোটাই ঘৃণা করতে ইচ্ছে করছিল যা কোনো শব্দচয়নে বোঝানো সম্ভব নয়! এটাই এ গল্পের মূল ভিলেন ইংরেজ অভিজাত আর্কিবাল্ড কানিংহাম। লোকটার চেহারায়ই এর ধূর্ততা আর জঘন্য মানসিকতা ফুটে উঠে। এই কানিংহামের মন্ট্রোজের সাথে ব্লাড রিলেটেড আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে, যে কিনা ইংল্যান্ড থেকে পালিয়ে এসে মন্ট্রোজের সাথে বাস করছে কোনো একটা অপরাধের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য। তলোয়াড় চালনায় অসম্ভব দক্ষ এই কানিংহাম। মন্ট্রোজ তাই ওকে নিয়ে বাজি ধরে তলোয়াড় প্রতিযোগীতা করিয়ে অর্থ সংগ্রহও করে থাকে। এদিকে রব রয়ের ক্ল্যানে ১ হাজার পাউন্ড ধার পাওয়ার আনন্দে নাচ, গান, ভোজসহ বিশেষ আনন্দোৎসবের আয়োজন করা হয়। রব রয়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু অ্যালান ম্যাকডোনাল্ড ১হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করে আনতে যায় মন্ট্রোজের ম্যানেজার ক্যালার্নের কাছে, ক্যালার্ণ অপেক্ষা করিয়ে বসিয়ে রেখে অযথা রাত করিয়ে ফেলে আর পুরো অর্থ ক্যাশে দেয়ার কথা থাকলেও ক্যালার্ন তাকে সেটা কয়েনে দেয়। ক্যালার্নের উদ্দেশ্য কখনোই ভালো ছিল না, কানিংহামের পর ক্যালার্ন এই মুভির দ্বিতীয় ধূর্ত আর জঘন্য চরিত্র। ক্যালার্ন অর্থ দিয়ে অ্যালানকে বিদেয় করেই সোজা কানিংহামের কাছে যায়, আর ওকে কুপরামর্শ দেয় যে, সবচেয়ে সহজ উপায়ে যদি ১হাজার পাউন্ড পেতে চায় তবে যেন রাতের আঁধারে অ্যালানকে আক্রমণ করে। কানিংহাম তাই করে, অ্যালানের উপর হঠাত হামলা করে এবং তাকে হত্যা করে ১হাজার পাউন্ড ছিনিয়ে নেয়। রব রয় মন্ট্রোজের কাছে এসে তখন অর্থ ছিনতাইকারীকে খুঁজে বের করার জন্য সময় চায় আর তাকে আরও ১হাজার পাউন্ড দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু মন্ট্রোজ রাজি হয় না, কারণ আগের ১হাজার পাউন্ড অলরেডি সব জমি বন্ধক নিয়েই দিয়েছে, এখন রব রয়ের কাছে আর বন্ধক রাখার মতোও কিছু নেই। তবে রব রয়ের অনুরোধে সে মন্ট্রোজ তাকে আরেকটা প্রস্তাব দেয়। তখন মন্ট্রোজের শ্ত্রুতা ছিল জন ক্যাম্পবেল, ২ য় ডিউক অব অ্যাগাইলের সাথে। তাই মন্ট্রোজ ক্যাম্পবেলের নামে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলে রব রয়কে যে, ক্যাম্পবেল একজন জ্যাকবাইট। কিন্তু রব রয় এই প্রস্তাবে রাজি হয় না, কারণ সে অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে জানে না কখনো। মন্ট্রোজের কথা অমান্য করায় রব রয়কে বন্দি করতে বলে সে, কিন্তু কানিংহামকে রব রয় তখন হোস্টেজ করে, ওর গলায় ছোরা ধরে পালিয়ে যায় আর অন্য উপায়ে সমাধান খোঁজার চেষ্টায় নামে, তাঁর ক্ল্যানের লোকদের নিয়ে ছিনতাইকারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করে। এদিকে মন্ট্রোজ রব রয়ের সব জমি দখল করে তাকে দেওলিয়া ঘোষনা করে এবং কানিংহামের নেতৃত্বে ক্যালার্নসহ বিশাল সেনাদল ম্যাকগ্র্যাগর ক্ল্যানে পাঠায় রব রয়কে জীবিত বন্দী করে আনার জন্য। রব রয় তাঁর দলবল নিয়ে আগেই পালিয়ে যায়, সে ভেবেছিল শ্ত্রুতা তাঁর সাথে, তাই তাঁর স্ত্রী সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে না। স্ত্রী মেরি আর বাচ্চা দুটো ক্ল্যানেই থেকে যায়, তবে সৈন্যদের আসতে দেখে মেরি সতর্ক হয়ে বাচ্চাদের লুকিয়ে ফেলে। সে সৈন্যদের সাথে কথা বলতে যায় আর সেটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়ায়, কানিংহামের দ্বারা রেপের স্বীকার হয় সে! এখানেই ক্ষান্ত হয় না, পুরো ক্ল্যান জ্বালিয়ে দেয়। স্ত্রী মেরিকে রব রয় ভীষণই ভালোবাসত, স্ত্রীর এমন অসম্মানের কথা জানতে পেরে রব রয় আর পালিয়ে থাকতে পারবে না এটা কানিংহাম বুঝতে পেরেই এই কাজটা করেছিল। আর মেরি এই দুরভিসন্ধি বুঝতে পেরেই হোক বা স্বামীর কাছে এহেন অসম্মানিত হওয়ার লজ্জা আর ভয় নিয়ে দাঁড়াতে পারার সাহসের অভাবেই হোক, সে রব রয়ের থেকে এই ঘটনা গোপন রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু রব রয়ের ছোট ভাই এলাসডাইর তখন এসে পরায় জেনে যায় এটা, কিন্তু মেরি ওকে শপথ করায় রব রয়কে এই ব্যাপারে কিছু না জানানোর জন্য। একটা নারীর জন্য সেই অবস্থাটা কতটা বিপর্যস্ত ছিল একাকী এই মানসিক চাপ সহ্য করা সেটা সবার দ্বারা অনুভব করা সম্ভব কিনা জানা নেই আমার। রব রয় ক্ল্যানে ফিরে শুধু তাদের সম্পদের ক্ষতির পরিমাণটাই দেখেছিল, স্ত্রীর এতো বিশাল ক্ষতি আর অসম্মানের কথা তাঁর অজানাই ছিল, তাই সে তাঁর লোকদেরকে মন্ট্রোজের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করতে নিষেধ করে দেয়, আর অন্য উপায়ে ওর উপর প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলে। মন্ট্রোজের এস্টেটে বেটি নামের এক পরিচারিকা শয়তান কানিংহামকে খুব ভালোবাসত। কিন্তু বেটি যখন জানায় সে প্রেগন্যান্ট , কানিংহামের সন্তান সে নিজের মাঝে ধারন করছে, তখন কানিংহাম তাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মন্ট্রোজ জেনে পরিচারিকার কাজ থেকে বিদায় করে দেয় তাকে। বেটি তখন আশ্রয়হীন হয়ে ম্যাকগ্রেগর ক্ল্যানে রব রয়ের স্ত্রী মেরির কাছে যায় এবং জানায় কানিংহাম আর ক্যালার্ণ ষড়যন্ত্র করেই সেই ১ হাজার পাউন্ড চুরি করেছিল। মেরি ভেবেছিল বেটি সাক্ষ্য দিলেই তারা কানিংহাম আর ক্যালার্নের এই কুকীর্তির কথা প্রমান করতে পারবে, কিন্তু বেটি আত্মহত্যা করে পেটে ধারণকৃত সন্তান সহ। কারণ যাকে সে ভালোবাসে তাঁর শাস্তির কারণ হয়ত সাক্ষ্য দিয়ে হতে চায় নি আর বেঁচে থেকে কানিংহামের মত জঘন্য ব্যক্তির সন্তান জন্মদান করতে চায় নি। তবে বেটির কথা জেনে রব রয় তখন কানিংহামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য ক্যালার্নকে অপহরণ করে নিয়ে আসে, সাক্ষ্য দিতে রাজি করাতে চায়। মেরি কিলার্নকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে যদি কানিংহামের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় তবে তাকে বাঁচিয়ে দেয়া হবে, কিন্তু ক্যালার্ন তাকে তার ধর্ষণের জন্য কটূক্তি করে। মেরি তখন প্রেগন্যান্ট এবং দ্বিধান্বিত ভেবে যে, কার সন্তান সে ধারন করে আছে! ক্যালার্ন এটা বুঝতে পেরে আরও সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে, রব রয়কে জানিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। মেরি রাগ সামলাতে না পেরে তখন ছোরা দিয়ে ক্যালার্নকে আঘাত করে আহত করে আর এলাসডাইরের হাতে ক্যালার্নের মৃত্যু হয়। মন্ট্রোজ কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারে সেই হাজার পাউন্ড কানিংহামই চুরি করেছে, তারপরও সে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এদিকে রব রয় প্রতিশোধ নিতে দলবল নিয়ে মন্ট্রোজের গবাদি পশু চুরি করতে থাকে, খাজনার অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকে, তখন আবার মন্ট্রোজ কানিংহামকে দিয়ে সৈন্যবাহিনী ম্যাকগ্র্যাগরে পাঠায়, ক্ল্যান জ্বালিয়ে দেয়। রব রয় আর তাঁর সঙ্গীরা আড়াল থেকে সবই দেখে লুকিয়ে, কিন্তু অ্যালাসডায়ার কানিংহামকে দেখে সহ্য করতে পারে না, মেরিকে অসম্মান করার কথা মনে পরে যায় আর গুলি ছুড়ে ওকে লক্ষ্য করে, ওদের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় কানিংহাম বাহিনী। এদিকে ঘোড়া ছুটিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। রব রয়ের বিশ্বস্ত একজন সঙ্গী মারা যায়, অ্যালাসডায়ারও গুলিবিদ্ধ হয় আর মৃত্যুর আগে কানিংহামের দ্বারা মেরির এই অসম্মানিত হওয়ার কথা জানিয়ে দেয়। রব রয় এরপর আর কানিংহামকে আড়াল থেকে মোকাবিলা করতে পারে না, সামনে গিয়েই হামলা করে আর কানিংহামের হাতে বন্দি হয়। রব রয় তখন হত্যা, ডাকাতি এবং ধর্ষণের অভিযোগ করলে কানিংহাম সবই স্বীকার করে ধূর্ত হাসি দিয়ে, আর রব রয়কে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। এরপর মন্ট্রোজের উপস্থিতিতে রব রয় কানিংহামের সব অপরাধের অভিযোগের সত্যতা প্রমান করলেও মন্ট্রোজ রব রয়কেই ফাসিতে ঝুলানোর আদেশ দেয়, আর তখন রব রয় হাতের বাঁধন খুলে ফেলে সেই দড়ি কানিংহামের গলায় পেঁচিয়ে ব্রীজ থেকে ঝুলে পরে। তখন মন্ট্রোজ কানিংহামকে বাঁচাতে দড়ি কেটে দিলে রব রয় নীচের নদীতে লাফিয়ে পরে আর সাঁতরে গিয়ে নদী তীরে পরে থাকা এক মৃত গরুর পেটের ভেতর আশ্রয় নিয়ে নিজেকে রক্ষা করে ওদের আক্রমণ থেকে। এদিকে মেরি ডিউক অব অ্যার্গাইল ক্যাম্পবেলের সাথে দেখা করে সব বলে, কি করে মন্ট্রোজ ক্যাম্পবেলকে ফাঁসাতে চেয়েছিল কিন্তু রব রয় সাক্ষ্য দেয় নি তাঁর বিরুদ্ধে ইত্যাদি সবকিছুই। ক্যাম্পবেল মেরি আর রব রয়কে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর রব রয় পালিয়ে বাড়ী এসে প্রথমে মেরির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তাকে ওর এই অসম্মানের কথা না জানানোর জন্য, কিন্তু মেরি জানায় সে বলতে চাইলেও পারিনি, নিরুপায় আর অসহায় ফিল করছিল স্বামীকে একথা বলতে। তাঁর প্রেগন্যান্সির কথাও জানায়, আর রব রয় এক্ষেত্রেও উদারতার পরিচয় দেয় এবং মেরিকে আশ্বস্ত করে একে তাঁর নিজ সন্তানের মতোই গড়ে তুলবে। এও বলে বাচ্চাটা ছেলে হলে যেন নাম রাখে রবার্ট আর মেয়ে হলে মেরি। ক্যাম্পবেল যদিও জানত কানিংহাম তলোয়ার চালনায় কতটা দক্ষ এবং ধরেই নিয়েছিল রব রয়ই পরাজিত হবে এতে, তারপরও কানিংহামের সাথে রব রয়ের একটা দ্বন্দ্বযুদ্ধের ব্যবস্থা সে করে। আর মন্ট্রোজের সাথে ক্যাম্পবেলের চুক্তি হয় যে, দ্বন্দ্বযুদ্ধে রব রয় জিতলে তাঁর সব ঋন ক্ষমা করে দেয়া হবে আর কানিংহাম জিতলে ডিউক ক্যাম্পবেল নিজে রব রয়ের ঋন শোধ করে দিবে। মন্ট্রোজ সম্মত হয় এবং শুরু হয় ন্যায় অন্যায়ের মধ্যকার সত্যিকারের লড়াই। রব রয় তখন এমনিতেই কানিংহাম এর দ্বারা পূর্বে নির্যাতিত হওয়ায় কাহিল অবস্থায় ছিল, তাই কানিংহাম একের পর এক তাকে আঘাতই করে যাচ্ছিল। রব রয়কে তখন প্রায় পরাজিত বলা যায়, পরে যায় সে। কানিংহাম যখন ওকে হত্যা করতে শেষবার তলোয়াড় চালায়, তখনই সে এক হাত দিয়ে তলোয়ারের ফলা ঠেকিয়ে বহুকষ্টে উঠে দাঁড়ায় আর হঠাত এক আঘাত করেই কানিংহামকে হত্যা করে ফেলে স্ত্রী’র অপমানের প্রতিশোধ নিয়ে, নিজের সম্মান মর্যাদা পুনোরুদ্ধার করে নিজ ক্ল্যানে ফিরে আসে স্ত্রী’র কাছে। রব রয়ের সম্মান এবং বীরত্ব এই মুভিতে ফুটে উঠেছে তাঁর নৈতিকতা, মূল্যবোধ, তাঁর সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, স্ত্রী সন্তানের প্রতি ভালোবাসা সহ সকল মানবিক মুল্যবোধ এবং গুনাবলীর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। মানুষের আল্টিমেট সম্মান কি করে অর্জিত হয় তাই এই ট্র্যাজিক কাহিনী প্রমান করেছে। আর বেশি বিশ্লেষনে যেতে চাচ্ছি না এর ট্র্যাজেডি নিয়ে। আমি এই রিভিউ এখানেই শেষ করছি রব রয়ের সেই উক্তিগুলো দিয়ে, যা আমার মস্তিষ্কে গত ক’দিন ধরে অবিরাম বেজে চলেছে- Rob Roy: All men with honors are kings, but not all kings have honor. His Son: what’s this honor? Rob Roy: honor is no man can give you, and none can take away. Honor is a man’s gift to himself. His Son: Do women have it? Rob Roy: Women are the heart of honor, and we cherish and protect it in them. You never mistreat a women or malign a man, nor stand by and see another do so. His Son: How do you know you’ve it? Rob Roy: Never worry on the getting of it. It grows in you and speaks to you. All you need do is listen. Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore