
কোনো ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, সঠিক নিয়মে পণ্যটির ডকুমেন্টেশন তৈরি করা। অনেক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্যের জিআই প্রাপ্তি আবেদনের পরও আটকে যায়, বাতিল হয়, শুধুমাত্র সঠিক ডকুমেন্টেশনের অভাবে।
আমাদের দেশে ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক নীতিমালা বাস্তবায়নের পর এই দশ বছরে মাত্র ১২টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি লাভ এবং আর ৩টি অপেক্ষমান জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশ বেশ হতাশাজনক। আমাদের এই পিছিয়ে থাকার মূলে রয়েছে জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন তৈরির জন্য দক্ষ লোকের অভাব। বুঝতেই পারছি তাহলে, জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশন কতটা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। কিন্তু এই কাজটাই কিন্তু আমরা এই বছর বেশ সাফল্যের সাথে শুরু করেছি। কারণ এই কাজ যতটা না চ্যালেঞ্জিং, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং হিশেবে আমরা চিন্তা করি। শুরু করার আগেই আমরা কঠিন মনে করে পিছিয়ে যাই, বেশি পারফেক্ট করব চিন্তা করে আর শুরুই করা হয় না। এসব কারণেই আমাদের কাছে কাজটা এতো বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। আমাদেরকে তাই ডকুমেন্টেশন ব্যাপারটাকে খুব সহজভাবে চিন্তা করতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপিডিটির ওয়েবসাইটে খুব সুন্দরভাবে জিআই ডকুমেন্টেশন তৈরির গাইডলাইন দেয়া আছে। আবার ১৫টা জিআই পণ্যের জার্নালও সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া আছে, যেগুলো আমরা স্টাডি করতে পারছি, আইডিয়া নিতে পারছি। জার্নালগুলো পড়েই কিন্তু আমরা বুঝতে পারি যে, ডকুমেন্টেশনের জন্য খুব বেশি তথ্যের প্রয়োজন হয় না, বরং একদম অথেনটিক তথ্য এতে দেয়া হয়।
এখন আসি, জিআই পন্যের ডকুমেন্টেশনে প্রধানত কী কী তথ্য দিতে হয়?
১) ভৌগোলিক নির্দেশকের নামঃ
কোনো একটা সম্ভাব্য জিআই পণ্য ঠিক করার পর প্রথম কাজ হবে এর জন্য উপযোগী নাম ঠিক করা। পণ্যের নামের সাথে কী ভৌগোলিক উৎস হিশেবে দেশের নাম দিব, নাকি জেলার নাম দিব, নাকি কোনো একটা নির্দিষ্ট অঞ্চল বা গ্রামের নাম দিব সেটা সতর্কতার সাথে ঠিক করতে হবে। যেমন ধরেন, মণিপুরি শাড়ির প্রধান উৎপাদনকারি অঞ্চল হলো – সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ। এখন মণিপুরি শাড়ির ভৌগোলিক নাম কী “মৌলভীবাজারের মণিপুরি” হবে নাকি “সিলেটের মণিপুরি” হবে এটা কিন্তু বিশ্লেষণের বিষয়। যদি প্রধান উৎপাদন অঞ্চলের নামে জিআই করার চিন্তা করা হয় তাহলে “মৌলভীবাজারের মণিপুরি” নাম দেয়া যায়। তবে সিলেটের মণিপুরি নামেই এই শাড়ি বেশি পরিচিত, এই নামে ব্র্যান্ডিং বেশি ভালো হবে। যেহেতু জিআই এর মূল উদ্দেশ্যই ব্র্যান্ডিং এর সাথে সম্পর্কিত, তাই সিলেটের মণিপুরি নামটা এদিক থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য। তারপরও আমরা যারা জিআই ডকুমেন্টেশন করছি, তারা একটা নাম ঠিক করে ডকুমেন্ট তৈরি করে ফেলার পর সেই নাম আবেদনকারি বা ডিপিডিটি কর্তৃপক্ষ তাদের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী বদলে নিতে পারেন। এটা তাই আমাদের জন্য খুব বেশি চিন্তার বিষয় না।
২) শ্রেণিঃ
দ্বিতীয় কাজটা হলো, পণ্যের শ্রেণি ঠিক করা। পণ্যটি কী ধরনের, এটি কোন ক্যাটাগরিতে পরে, এই অনুযায়ী পণ্যের শ্রেণি নির্ধারিত হয়। WIPO এর গাইডলাইন অনুযায়ী জিআই পণ্য বা যে কোনো ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির শ্রেণি নির্ধারণ করতে Nice Classification অনুসরণ করা হয়। Nice Classification এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে নাইস এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে। এই শ্রেণিবিভাগে পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৩৪টি শ্রেণি রয়েছে আর সেবার ক্যাটাগরি অনুযায়ী আরও ১১টি শ্রেণি রয়েছে। Nice Classification লিখে সার্চ দিলেই এর পিডিএফ ফাইল পাওয়া যাবে, সেখানে ডিটেইলসে শ্রেণিবিভাগ দেয়া আছে পণ্যের ক্যাটাগরি ওয়াইজ ব্যাখ্যা সহ।
জিআই পণ্যের নাম ঠিক করার পর তাই নাইস ক্লাসিফিকেশনের শ্রেণিবিভাগ থেকে খুঁজে বের করতে হবে পণ্যটা কত নাম্বার শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। একটি পণ্য একাধিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
যেমনঃ মুক্তাগাছার মন্ডা বা কুমিল্লার রসমালাই মিষ্টিজাত আইটেম এবং এগুলো দুধ দিয়ে তৈরি হয়। নাইস ক্লাসিফিকেশনের শ্রেণি ২৯ এ দুধ থেকে তৈরি খাবার এবং শ্রেণি ৩০ এ কনফেকশনারি বা মিষ্টিজাত আইটেম অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই দুগ্ধজাত এমন যে কোনো মিষ্টান্নের জন্য ২৯, ৩০ দুইটা শ্রেণিই দেয়া যেতে পারে।
আবার রাজশাহী সিল্ককে আমরা চাইলে ২৩,২৪,২৫,২৬ এই ৪টা শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারতাম। শ্রেণি ২৩- রাজশাহী সিল্ক সুতার জন্য, শ্রেণি ২৪- এটি টেক্সটাইল পণ্য হওয়ার জন্য, শ্রেণি ২৫- এটি বস্ত্র হওয়ার জন্য, শ্রেণি ২৬- রাজশাহী সিল্কে বিভিন্ন এম্ব্রোয়ডারি ডিজাইনও করা হয় সেজন্য।
তবে শ্রেণি একের অধিক দিলে জিআই রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে ফি দিতে হয় সেটাও বেড়ে যাবে, প্রতিটা শ্রেণির জন্য আলাদা আলদা ফি দিতে হবে। এটা তাই আবেদনকারিদের উপর নির্ভর করবে যে, তারা তাদের জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর জন্য কী পরিমাণ ইনভেস্ট করতে চায়।
৩) প্রকারঃ
এই পর্যায়ে পণ্যের প্রকার বা ধরণ এক শব্দে বা এক দুই লাইনে উল্লেখ করতে হবে।
যেমনঃ মিরপুর কাতানের ক্ষেত্রে প্রকার হবে- “এক প্রকার বস্ত্র” বা শুধু “বস্ত্র” লিখলেও হবে। বাড়তি কিছু লিখতে চাইলে মিরপুর কাতানের কোনো প্রকারভেদ থাকলে সেটাও এখানে উল্লেখ করা যায়।
আবার গফরগাঁও এর বেগুনের প্রকার হবে- “এক প্রকার সবজি”, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি হবে- “এক প্রকার মিষ্টান্ন”, জামালপুরের নকশিকাঁথা হবে- “হস্তশিল্প”।
৪) স্পেসিফিকেশনঃ
এখান থেকেই ডকুমেন্টেশনের মূল পর্বের শুরু বলা যায়। স্পেসিফিকেশন মানে হলো এখানে পণ্যের স্পেসিফিক বা সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য হবে যা থেকে পণ্যটার সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা নেয়া যায়। ভালো হয় এখানে পণ্যের একদম মৌলিক বা প্রধান কয়েকটা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলে। স্পেসিফিকেশন অংশ এক লাইনেও আপনি শেষ করতে পারেন, আবার ১০ লাইনের বেশিও লিখতে পারেন। যেমনঃ পণ্যের ধরণ, আকার-আকৃতি, স্বাদ, গন্ধ, প্রকারভেদ, ডিজাইন, উৎপত্তির উৎস, পুষ্টিগুন, বিশেষত্ব ইত্যাদি অনেক কিছুই এখানে লিখতে পারেন। কৃষি বা প্রাকৃতিক কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এই অংশে সায়েন্টিফিক নাম এবং ক্লাসিফিকেশনও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
৫) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের বর্ণনাঃ
একটা পণ্য সম্পর্কে আমাদের মনে যা যা জানার আগ্রহ তৈরি হতে পারে, যা যা প্রশ্ন তৈরি হতে পারে সবই এই বর্ণনা অংশে আসবে। স্পেসিফিকেশন অংশে আমরা পয়েন্ট আকারে বা সংক্ষেপে যা যা লিখব, সেগুলোরই পূর্নাঙ্গ বর্ণনা এখানে হবে। এছাড়াও পণ্যটির অর্থনৈতিক প্রভাব এবং গুরুত্ব, উৎপাদন অঞ্চলের এবং দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব, এটি কী পরিমাণ কর্মসংস্থান সেই এলাকায় তৈরি করছে, উৎপাদন এলাকার সংস্কৃতির সাথে এটি কতোটা সম্পর্কিত, পণ্যটির রপ্তানি সম্ভাবনা কতোটা ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই এখানে সংযোজন হতে পারে।
৬) উৎপাদকের ভৌগোলিক এলাকা এবং মানচিত্রঃ
পণ্যটি কোন কোন এলাকায় উৎপন্ন হচ্ছে মূলত তাই এখানে উল্লেখিত হবে। খুব বেশি কিছু এই অংশে লেখার মতো নেই। উৎপাদনকারি অঞ্চলগুলোর নাম এবং মানচিত্রে সেগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ এখানে। তবে আমরা লিখতে চাইলে আরও একটু ডিটেইলে লিখতে পারি। যেমনঃ এই অঞ্চলগুলোর কোথায় পণ্যটি কী পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে, কোন অঞ্চলে বেশি পরিমাণে হচ্ছে, কোন অঞ্চলে কম হচ্ছে এবং কেনো ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই লেখা যেতে পারে। এই অংশের চ্যালেঞ্জিং বিষয় একটাই, সেটা হলো উৎপাদন অঞ্চলের ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা।
৭) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের উৎসের প্রমাণ (ঐতিহাসিক দলিল)ঃ
জিআই পণ্যের ডকুমেন্টেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এটি। কারণ কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য তখনই উপযোগী হবে যখন পণ্যটি অনেক বছর ধরে প্রচলিত হবে এবং একটা অঞ্চলের বিশেষ পণ্য হিশেবে পরিচিতি, সুনাম, জনপ্রিয়তা ধরে রাখবে। যে পণ্য যত বেশি সময় ধরে প্রচলিত সেই পণ্যের জিআই সম্ভাবনা তত বেশি। তবে এক্ষেত্রে ন্যুনতম ৫০ বছরের ঐতিহাসিক প্রমাণের একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরে এখন আমরা কাজ করছি। অর্থাৎ কোনো একটা অঞ্চলের কোনো একটা পণ্য যদি ৫০ বছর ধরে উৎপাদন হচ্ছে এবং বেশ সুনাম অর্জন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলেই সেটা জিআই প্রাপ্তির যোগ্য হবে।
ঐতিহাসিক দলিল প্রমাণের জন্য খুব যে বেশি তথ্য লাগবে তা কিন্তু নয়। অথেনটিক প্রমান হলে এক লাইনই এখানে যথেষ্ট। ঐতিহাসিক দলিলের রেফারেন্স হিশেবে বিভিন্ন বই, সাহিত্য, সিনেমার গান, আঞ্চলিক গান, ছড়া, কবিতা, ছন্দ, ধাঁধা, জার্নাল, নিউজ আর্টিকেল, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ইত্যাদি সবই বিবেচ্য হবে, পণ্যের নাম উল্লেখ্য হলেই হবে৷ এমনকি যদি কোথাও কোনো রেফারেন্স খুঁজে পাওয়া সম্ভব না হয়, তখন সেই অঞ্চল সরাসরি পরিদর্শন করে মানুষের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য প্রমাণও এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।
৮) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের উৎপাদন পদ্ধতিঃ
এই অংশে পণ্যের উৎপাদন পদ্ধতির বর্ণনা এবং সম্ভব হলে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপের ছবি সংযোজন করতে হবে। এক্ষেত্রে ছবির ব্যাপারটা অপশনাল ধরা যায়; দিতে পারলে ভালো, না দিলেও সমস্যা নেই। পণ্যটি কোনো প্রক্রিয়াজাত বা রান্না করা খাবার হলে সেটার রেসিপি এবং প্রণালি দিতে হবে, কৃষি হলে সেটার চাষাবাদ পদ্ধতির পুরো বর্ণনা দিতে হবে, তাঁত হলে বুনন প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিতে হবে, হস্তশিল্প হলে সেটারও পুরো প্রক্রিয়া দিতে হবে। একদম কাঁচামাল প্রসেস থেকে শুরু করে একটা পণ্য উৎপাদন করতে যা যা করা হয়, সবই এই অংশে থাকবে।
৯) অনন্য বৈশিষ্ট্যঃ
পণ্যটি কেনো আলাদা, কেনো এটি ভৌগোলিক নির্দেশক হওয়ার যোগ্য তাই এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে। হতে পারে পণ্যটি এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশেষত্ব লাভ করেছে, অথবা সেই অঞ্চলের কারিগরদের দক্ষতার কারণে, হতে পারে উক্ত অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও এই পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব না ইত্যাদি যে কোনো অনন্য গুণের কথা এখানে থাকবে।
১০) ব্যবহারকালঃ
পণ্যটি কতো বছর ধরে উৎপাদন এবং ব্যবহার হয়ে আসছে তাই এখানে উল্লেখ করতে হবে।
১১) ভৌগোলিক নির্দেশকের ছবিঃ
এখানে পণ্যের বেশ কয়েকটি ছবি সংযোজন করতে হবে। পণ্যের বিভিন্ন অবস্থার এবং বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা ন্যুনতম ৫টি ছবি দিতে হবে।
১২) উৎপাদনকারিদের তালিকাঃ
এখানে পণ্যটি যারা উৎপাদন করছে তাদের নাম, এড্রেস, ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে সংযোজন করতে হবে। তবে আমরা যারা ডকুমেন্ট করছি, তাদের দ্বারা একটা অঞ্চলের সব উৎপাদনকারিদের তালিকা তৈরি করা সম্ভব না। এই তালিকা তৈরির কাজটা একটা চলমান কাজ, যা পণ্যটির জিআই প্রাপ্তির পরও অব্যাহত থাকবে। উৎপাদনকারিদের তালিকা অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন করা হবে, জিআই ট্যাগ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে।
সবশেষে আমার পরামর্শ হলো- আপনারা এখন আপনাদের এলাকার যে কোনো একটা বিখ্যাত পণ্য সিলেক্ট করে বা আপনি নিজে যে পণ্য নিয়ে কাজ করছেন সেটার জিআই সম্ভাবনা বিবেচনা করে, এই পয়েন্টগুলো ধরে ধরে চিন্তা করতে পারেন, সার্চ করতে পারেন, তারপর প্রতিদিন অল্প অল্প করে নিজের ভাষায় লিখতে শুরু করেন। সহজ ভাবে চিন্তা করে শুরু করে দেন, দেখবেন ডকুমেন্ট হয়ে গেছে। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন যে, ডকুমেন্টে অনেক কিছু লিখতে হবে, অনেক বড় করতে হবে, এতো শব্দ লিখতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি যদি একদম একুরেট অথেনটিক কিছু তথ্য দিয়ে অল্প কথায় পুরো ডকুমেন্ট শেষ করে ফেলতে পারেন, তাহলে আরও ভালো। কারণ জিআই ডকুমেন্টে বানিয়ে বানিয়ে অনেক বেশি লেখা অমূলক, এখানে দরকার একদম অথেনটিক তথ্য।
আর ১০০% পারফেক্ট ডকুমেন্ট হতে হবে এমন কোনো কথা নেই, আপনি যা তথ্য পাবেন তা দিয়েই এই পয়েন্টগুলোকে নিয়মানুযায়ী সাজিয়ে ফিনিশিং দিয়ে দেন। বাকি মতামত তো ডিপিডিটি দিবেই। ডিপিডিটি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মতো ডকুমেন্ট এটা না হলেও অন্তত আপনার প্র্যাক্টিস তো হবে। তাই শুরুটা অন্তত করেন। এভাবেই দেখা যাবে কিছুদিন পর ডকুমেন্টেশনের জন্য অনেক এক্সপার্ট আমরা পেয়ে যাব।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। বিস্তারিত আরও ভাল ভাবে জানতে পারলাম।