What Are The Disadvantages of Cryptocurrency? Blog প্রযুক্তি by খাতুনে জান্নাত আশা - July 26, 2021August 14, 20210 Spread the lovemore বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে সমস্যা আগের পোস্টগুলোতে বিটকয়েনের অনেক সুবিধার কথা আলোচনা করেছি, এই পোস্টে কিছু সমস্যার কথা বলছি। বিটকয়েনের মার্কেট প্রাইস একেবারেই অস্থিতিশীল, একদমই শেয়ার বাজারের মতো অবস্থা! এর মূল্য খুব বেশি আপডাউন করে, যা আগে থেকে বোঝার কোনো উপায় তেমন থাকে না। বর্তমানে বিটকয়েনের মূল্য তরতরিয়ে বাড়ছে বিশ্ববাজারে এর সম্ভাবনা দেখে এবং এতে মানুষ প্রচুর ইনভেস্ট করছে এখন লোভের বশবর্তী হয়ে। কিন্তু এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ইনভেস্টমেন্ট। কারণ – হঠাৎ করে যদি এর সফটওয়্যারে সমস্যা দেখা দেয়, তবেই এর দাম কমে যাবেকোনো ভাবে যদি সিস্টেম হ্যাকের প্রমান পাওয়া যায়, তবে দাম কমে যাবেকোনো দেশে একে নিষিদ্ধ করা হলে মুহূর্তেই এর দাম আকাশ পাতাল কমে যায়। আবার কোনো দেশে একে বৈধ করা হলেই এর দাম বহুগুন বেড়ে যায়।ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিটকয়েনকে টেক্কা দেয়ার মতো আরেকটা ক্রিপ্টোকারেন্সি এসে গেলেই এর মূল্য অনেকগুন কমে যাবেআবার অধিক ধান্দাবাজ কিছু মার্কেট কন্ট্রোলার টাইপ ইনভেস্টর আছে। যারা নিজেদের অধিক লাভের আশায় ইচ্ছা করে কখনো বেশি ইনভেস্ট করে দাম বাড়িয়ে দেয় আবার কখনো ইনভেস্টমেন্ট উঠিয়ে নিয়ে দাম কমিয়ে দেয়। মানে সব মিলিয়ে একে শেয়ার বাজারের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে একদমই আলাদা করতে পারিনা আমি, বিপজ্জনক ভাবে মূল্যহ্রাস বৃদ্ধি চলতেই থাকে। এটাই ক্রিপ্টোকারেন্সির সবচেয়ে বড় অসুবিধা এখন পর্যন্ত। তবে এটা হয়ত এক সময় স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে মানুষের নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে। আরেকটা সমস্যা হলো- হ্যাকিং। প্রতিটি প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে প্রধান অন্তরায় এখন পর্যন্ত হ্যাকিং। তবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ। যা আমাদের তথ্য হ্যাকিং থেকে মুক্ত রাখবে বলা হয়। তারপরও হ্যাক হয়েছে, বিটকয়েন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এটা কিন্তু ব্লকচেইন সিস্টেমের দোষ না। সমস্যাটা ঘটছে ইউজারদের কিছু অসতর্কতার কারণে। ব্লকচেইন একাউন্ট অথবা বিটকয়েন ওয়ালেট ইউজাররা যে সার্ভারে রাখছে সেখান থেকে কোনোভাবে একাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরি করে হ্যাক করছে। এছাড়া থার্ড পার্টি যারা বিটকয়েন কেনাবেচায় হেল্প করে তাদের মাধ্যমেও হ্যাক হচ্ছে। তবে একে আরও নিরাপদ আর শক্তিশালী করে তুলতেই আরও গবেষনা হচ্ছে। প্রোগ্রামার রা কাজ করেই যাচ্ছেন সর্বোচ্চ নিরাপদ প্রযুক্তি সেবা হিসেবে একে গড়ে তোলার জন্য। তাই আশা করা যায় এক সময় সব সমস্যার সমাধান করে ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ে উঠবে বিশ্বের অন্যতম বিনিময় মাধ্যম। ** আজকে যখন ব্যাংকে ১ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ২মিনিটের কাজ করতে হলো, তখন এই ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি ফিল করছিলাম। ** Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore