ব্লকচেইন প্রযুক্তি – What is Blockchain Technology? Blog প্রযুক্তি by খাতুনে জান্নাত আশা - July 25, 2021August 14, 20211 Spread the lovemore ব্লকচেইন প্রযুক্তি(Blockchain Technology) কি? ব্লকচেইন প্রযুক্তি হলো তথ্য সংরক্ষনের একটা ডিজিটাল পদ্ধতি, যা সবার জন্য উন্মুক্ত, এবং সব থেকে নিরাপদ। এই পদ্ধতির ব্যবহারে কোনো ধরনের থার্ড পার্টির দরকার পরে না, কোনো দেশের সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রন এর উপরে নেই, যে কোনো দেশ থেকে যে কেউ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের যে কোন তথ্য সংরক্ষন করতে পারে এবং পিয়ার-টু-পিয়ার কন্টাক্ট এর মাধ্যমে ট্রানজেকশন করতে পারে। এই ব্লকচেইন পদ্ধতির ব্যবহার অনেক বছর আগে শুরু হলেও এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তার শুরু হয় ২০০৯ সালে জাপানের সাতোশী নাকামতোর বিটকয়েন (ডিজিটাল মুদ্রা) আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে।উপরের ভাষাগুলো কি আপনাদের কাছে দুর্বোধ্য লাগছে??তবে চলুন দেখি একে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কিনা। ভেঙে বলার চেষ্টা করছি। • ব্লকচেইন (Blockchain ) কি? চেইন কি এটা তো আমরা সবাই জানি- যে কোন জিনিসকে পর্যায়ক্রমে একের পর এক সংযোগ করে শেকলের মতো সাজানো কেই চেইন বলা হয়। আর ব্লক হলো সহজভাষায় তথ্য জমা করে রাখার স্টোরেজ। সুতরাং বিভিন্ন ব্লকে তথ্য জমা করে তাদেরকে একের পর এক সংযোগ করার মাধ্যমে যে চেইন তৈরী হয় তাই হচ্ছে ব্লকচেইন।প্রতিটি ব্লকের তিনটি অংশ থাকে- ডাটা বা তথ্য, হ্যাশ, আগের ব্লকের হ্যাশ। • ডাটা বা তথ্য তো আমরা বুঝি, তাহলে হ্যাশ কি? হ্যাশ হলো অনেকটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা পাসওয়ার্ডের মতো যা অপরিবর্তনীয়। নরমাললি পাসওয়ার্ড আমরা পরিবর্তন করতে পারি, কিন্তু এই ব্লকচেইনের হ্যাশ কখনো পরিবর্তন করা যায় না। দুটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন এক হতে পারেনা তেমনি দুটি ব্লকের হ্যাশও কখনো এক হয় না।আর আগের ব্লকের হ্যাশ বলতে বোঝায় এই ব্লকটা আগের যে ব্লকের সাথে কানেক্টেড অর্থাৎ ব্লকচেইনে থাকা এর পূর্বের ব্লকের হ্যাশ। এই ব্লকগুলো হ্যাশ ফাংশনের মাধ্যমে চেইনে আবদ্ধ থাকার কারণেই এটা সব থেকে বেশি নিরাপদ এবং এর সিকুরিটি ভেদ করে কোনো তথ্য চুরি করা প্রায় অসম্ভব, একটা ব্লককে ড্যামেজ করতে হলে পুরো ব্লকচেইন সিস্টেমটাই নষ্ট করতে হবে এটা সম্ভব না তাই হ্যাক করে কেউ তথ্য চুরি করতে পারবে না। প্রত্যেকটা ব্লক এখানে হ্যাশ ফাংশনের মাধ্যমে এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে অর্থাৎ ব্লকের ভেতরে থাকা তথ্য কেউ দেখতে পাবেনা যদি একে উন্মুক্ত করা না হয়।ব্লকচেইন প্রযুক্তি মূলত বিটকয়েন অর্থাৎ ডিজিটাল মুদ্রার বিনিময়ে প্রথম ব্যবহার করা হলেও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ২.০ আরও অনেক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করার লক্ষ্যে। বিশ্বের শেয়ার বাজারের লেনদেনে এই প্রযুক্তি বিশাল ভূমিকা রাখবে, এছাড়াও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারে স্মার্ট চুক্তি, স্মার্ট ওনারশীপ করা যাবে খুব সহজেই। • বিটকয়েন(Bitcoin) কি? বিটকয়েন হলো ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল মুদ্রা, যার কোনো ন্যাশনাল বাউন্ডারি নেই, এর উপর কোনো তৃতীয় ব্যাক্তির হস্তক্ষেপ নেই অর্থাৎ এর আদান প্রদানে কোনো ব্যাংকের দরকার হয় না, কোন সরকার এই মুদ্রার ভ্যালুয়েশন বা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না । বিটকয়েন দিয়ে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু কেনা যাবে যদি ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই ব্লকচেইন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয় অর্থাৎ উভয়ের কাছে যদি বিটকয়েন থাকে। বিটকয়েন লেনদেনকারীর ডিজিটাল ওয়ালেট থাকে, একজনের ওয়ালেট থেকে আরেকজনের ওয়ালেটে বিটকয়েন ট্রান্সফার করা হয় এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে। (ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং এর বিভিন্ন টার্ম নিয়ে আমি আরও লিখব। দুদিন যাবৎ এটা নিয়ে পড়াশোনা করে বোঝার চেষ্টা করছি পুরো ব্যাপারটা। অনেক ব্যাখ্যা ইন্টারনেটে দেয়া আছে, তবে খুব সহজ করে কোথাও লেখা নেই,তাই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে বেশ কষ্ট হচ্ছে আমার। আমি যেহেতু এটা নিয়ে লিখব তাই ভাবছিলাম কিভাবে শুরু করব আর কিভাবে লিখলে সবার বোধগম্য হবে৷ ভেবেই অনেক সময় চলে গেছে তাই ভাবা বন্ধ করে লিখতে শুরু করে দিয়েছি৷ কতটা বোঝাতে পেরেছি জানিনা। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore