পার্সোনাল ব্রান্ডিং(Personal Branding) কি? ই-কমার্স বিজনেসে এর গুরুত্ব ই-কমার্স বিজনেস by খাতুনে জান্নাত আশা - October 31, 2021November 1, 20212 Spread the lovemore পার্সোনাল ব্রান্ডিং কি? ই-কমার্স বিজনেসে এর গুরুত্ব পার্সোনাল ব্রান্ডিং নিয়ে ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ থেকে সার্চ করে আমার ৫ ঘন্টা পড়াশোনা ও তারপর দেড় ঘন্টা সময় দিয়ে এই লেখাটি সাজাতে পেরেছিলাম, সেটার সাথে আবার কিছু লেখা ও ভাষা সংযোজন করে আজকের টপিক টি তুলে ধরলাম আমার মতো করে কেয়া সোপ এর এড নিশ্চয়ই দেখেছেন সবাই। বাংলাদেশী সাবান কিন্তু, ব্যবহার করি কয়জনহয়তো ভুলেই গেছি, মনে আছে মৌ এর কথা মৌ-নোবেল বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মডেল দের মধ্যে যারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কেয়া সোপ এর এড কিন্তু পরবর্তীতে বিদ্যা সিনহা মিমও করেছে কিন্তু সেই টিভিসি আমরা ক’জন দেখেছি বা জানি মৌ কে কিন্তু ঠিক মনে আছে, তখনকার টিভিসির সব ডায়লগও মুখস্থ হয়তো আমাদের সবার। “Keya Super Lemon Soap, Freshness goes all day long.” কেয়া সোপ কে ভুলে গেলেও মৌ-নোবেল এর কথা কিন্তু এখনো ভালবেসে মনে রাখছি। আরিফা মডেল আচ্ছা আরিফা আপুর কাজ সম্পর্কে আমরা ক’জন জানি কিন্তু, “আরিফা মডেল” ও “Arifa Khatun আপু” এই নামের সাথে কিন্তু আমরা বাংলাদেশের অনেক ইয়াং জেনারেশন পরিচিত হয়ে গেছি। এই ঘটনা গুলো বলার কারণ হচ্ছে, এই যে ব্যক্তিগণ তাদেরকে আমরা কিভাবে চিনি তাদের কাজ কম, ব্যক্তি হিসেবে বেশি চিনি। আমরা যে তাদের চিনি, এটাই তাদের ব্রান্ডিং এবং পার্সোনাল ব্রান্ডিং। পার্সোনাল ব্রান্ডিং কি ব্রান্ডিং বলতে আমরা একসময় কি বুঝতাম? কোনো কোম্পানি বা কোনো কোম্পানির কাজ। কিন্তু এখন, বর্তমান এ পার্সোনাল ব্রান্ডিং এই শব্দ যুগলের সাথে পরিচিত না, এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। পার্সোনাল ব্রান্ডিং নামেই উত্তর আছে, নিজের স্বকীয়তা বা নিজের ব্রান্ডিং। একটা নির্দিষ্ট ধারায় যেকোনো পণ্য বা কোম্পানি বা কাজ কে তুলে ধরাই হলো ব্রান্ডিং। আর এর আগে পার্সোনাল যোগ করলে হবে, সেটা নিজের বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে। একসময় ব্রান্ডিং শব্দ শুধুই ব্যবসা বা পণ্যের সাথে ব্যবহৃত হতো, কিন্তু বর্তমান এ এটি মানুষের নিজস্ব পরিচয়, নিজের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরার অন্যতম বহুল ব্যবহৃত শব্দ। আর, তাই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি পার্সোনাল ব্রান্ডিং নামেই আখ্যায়িত হয়। কারা করবে পার্সোনাল ব্রান্ডিং আচ্ছা হাই স্কুলে স্পোর্টস এ হাউস ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন কখনো? আমি ২বার দাড়িয়েছিলাম, আমার প্যারেড ক্রীড়া শিক্ষকের খুবই পছন্দ হয়েছিল, কিন্তু আমি কমান্ড দিলে ভোকাল ক্লিয়ার হতো না, ফ্যাসফ্যাস হতো এজন্য স্যার আমাকে হাউজ লিডার বানাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এবং অন্য কাউকে বানিয়েছেন। তখন, হাউসের নাম আসলেই হাউস লিডার এর নাম আসতো, এতে করে আমরা বুঝে যেতাম ঐ হাউসে তার প্যারেড ও কমান্ড অন্যদের থেকে সেরা এবং সে ঐ হাউস কে রিপ্রেজেন্ট করে। এটা কিন্তু এক ধরনের পার্সোনাল ব্রান্ডিং। কিন্তু, ঐ সময়ে আমরা এই শব্দযুগলের সাথে অপরিচিত ছিলাম তাই বুঝতাম না। আচ্ছা, আমি তো গৃহিনী আমার পার্সোনাল ব্রান্ডিং করে কি হবে? এই ধরনের ধারণা আমরা পোষণ করি, যা আসলে ঠিক না। পার্সোনাল ব্রান্ডিং আপনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়, সবাই আপনাকে ভরসা করতে শুরু করে। দেখুন, ফাইজা ইউটিউবার ফুড ভ্লগ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বা নিজের পার্সোনাল ব্রান্ডিং করেছে। কিন্তু, এখন কিন্তু সে বিউটি টিপসও দেয়, যদিও সে এই বিষয়ে প্রফেশনাল না। তো আপনি যদি চান যে আপনাকে সবাই চিনুক, জানুক, আপনার বিশেষত্ব, আপনার কাজ সবার সামনে পরিচিতি করাতে চান তাহলে, পার্সোনাল ব্রান্ডিং আপনার জন্য। পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে নিজের পরিচয় বা নিজের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরতে পারেন। পার্সোনাল ব্রান্ডিং আসলে কোনো নির্দিষ্ট পেশার নয়, এটি সবাই করতে পারে। তাই, চাকুরীজীবি, গৃহিনী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল সবাই ই তার নিজের জায়গা থেকে পার্সোনাল ব্রান্ডিং করতে পারবে বা পারে। ই-কমার্স বিজনেস এ পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর গুরুত্ব- অন্যদের থেকে স্পেশাল হওয়াঃ জামদানী শাড়ি নিয়ে তো হাজার জন কাজ করে কিন্তু কাকলী আপুকেই কেন চিনি? কিভাবে জানি কাকলী আপু জামদানী শাড়ি বিক্রি করে? এটি সম্ভব হয়েছে কাকলী আপুর পার্সোনাল ব্রান্ডিং এর জন্য। খেশ শাড়ির নাম তো সচারাচার কেউ জানতো বলে মনে হয় না। নিগার আপু খেশ শাড়ির কাজ শুরু করেন কিভাবে জানি? খেশ শাড়ি সম্পর্কে জানতে আপুকেই কেন জিজ্ঞাস করি? এসবের উত্তর নিগার আপুর পার্সোনাল ব্রান্ডিং। পণ্যের পরিচিতি নিজের মাধ্যমে করাঃ আপনি যখন একটা পেজ এর কোনো পণ্যের স্পনসর দেখেন তখনকার সাথে ঐ পেজ এর স্বত্বাধিকারীর ছবি থাকলে এই দুই অবস্থায় আপনার অনুভূতি কেমন হয়? নিশ্চয়ই স্বত্বাধিকারী কে দেখার পর আস্বস্ততা বেশি আসে! এটি হয় পার্সোনাল ব্রান্ডিং করার কারণে। ফার্স্ট ইম্প্রেশন এর জন্যঃ ই-কমার্স এ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু, ই-কমার্স নিয়ে কথা উঠলেই শ্রদ্ধেয় রাজিব আহমেদ স্যারের কথা আসতে বাধ্য, কারণ এটি নিয়ে স্যার ই সর্বপ্রথম কাজ করেন বাংলাদেশ এ। একাধিক সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যেঃ আচ্ছা আপনার ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল কি এখন সেরা চাকরি টা করছে? তার তো ফাইনাল ইয়ারেও বোর্ড স্ট্যান্ড করা রেজাল্ট করেছিল। দেখুন সে হয়তো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে কিংবা কখনো ক্যারিয়ার গড়তে ই পারেনি এতো নাম্বার পেয়েও। পার্সোনাল ব্রান্ডিং একাডেমিক নাম্বার কম থাকলেও অনেক সুযোগ এনে দেয়। যেমন_ মিডিয়া, স্পিকিং, নেটওয়ার্কিং, জব ইন্টারভিউ, পদোন্নতি, ইত্যাদি নানা ধরনের সুযোগ তৈরি করে পার্সোনাল ব্রান্ডিং। নিজের উদ্যোগের প্রচারের জন্যঃ অনন্ত জলিল বাংলাদেশি তারকা, ওনার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে এবং সে তার কর্মীদের ক্ষেত্রে খুবই বিনয়ী এটা কিন্তু আমরা আগে জানতাম না। জেনেছি অনন্ত জলিল কে চেনার পর থেকে। তাই, অনেক সময় পার্সোনাল ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠান কে তুলে ধরে, প্রচার-প্রসার ঘটায়। গো টু পার্সন হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করাতেঃ আমরা যদি চাই একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে সবাই আমাদের কাছ থেকেই জানুক, সমাধান জিজ্ঞাস করুক এটাই হবে “গো টু পার্সন।” কোন দিক টা পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ বেশি ভূমিকা রাখতে পারে একটা ব্যাপার, অবশ্যই পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ স্ট্রং ভূমিকা রাখতে পারে। তা হলো, অনলাইনে উপস্থিতি। আমরা কিন্তু কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে ইন্টারনেট ঐ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সার্চ দেই। আবার কিছু কিনতে গেলেও তা নিয়ে আগে সার্চ দেই, কারো সাথে কথা বলতে গেলে আগে প্রোফাইল সার্চ করে ঘুরে আসি। এগুলো থেকেই বোঝা যায়, অনলাইনে কারও উপস্থিতি পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, অনলাইনের অনুপস্থিতি যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে বর্তমান সময়ে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পার্সোনাল ব্রান্ডিং করার জন্য কি কি করা যায় পার্সোনাল ব্রান্ডিং করার জন্য _ স্টোরি টেলিং, কন্টেন্ট রাইটিং এ মনোযোগী হোন। এখন মানুষ অনেক রুচিশীল ও প্রতিনিয়ত তাদের চাহিদার পরিবর্তন ঘটছে। তাই, নিয়মিত কন্টেন্ট রাইটিং বা স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে লেখালেখি, পণ্যের উপস্থাপন করুন। এতে করে অন্যেরা আপনার পোস্ট বা লেখা স্ক্রল করে যেতে পারবে না। পড়তে আগ্রহী হবে। অনলাইনের পরিচিতির পাশাপাশি অফলাইনেও সবার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন। দেখা হলে এলিভেটর স্পিচ দিতে পারেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদেরকে উইশ করতে পারেন কার্ড এর মাধ্যমে। অসুস্থ হলে খোঁজ খবর নিতে পারেন, এতে তাদের মনে থাকবে আপনাকে। বিজনেস পেজ বা প্রোফাইলে এঙ্গেজিং পোস্ট দিন নিয়মিত। যা অন্যেরা করেছে, সেটাই আবার করলে মানুষ বিরক্ত হবে। তাই, ইউনিক আইডিয়া দিয়ে পোস্ট করুন। মাঝে মাঝে পণ্য ছাড়া নিজের উদ্যোগ নিয়েও কথা বলতে পারেন। এতে করে মানুষ আগ্রহী হবে আপনার পোস্ট পড়তে। ১০০ দিন নিয়মিত থাকুন। দেখা যায় এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম প্রথম সারা পেয়ে কিছুদিন থাকি। আবার, আমরা কিছুদিন পর আর কন্টিনিউ করতে পারিনা। পার্সোনাল ব্রান্ডিং করতে অবশ্যই নিয়মিত সময় দিতে হবে, পোস্ট দিতে হবে। কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপে থাকুন আর সেখান থেকে শিক্ষা নিন। নিয়মিত লেগে থাকলে সব জায়গা থেকেই ভাল কিছু করা সম্ভব। তাছাড়া, ছোট ছোট গ্রুপ গুলোতে পার্সোনাল ব্রান্ডিং করা বেশি সহজ। ভাইরাল টপিক এড়িয়ে চলুন। এতে করে আপনাকে কেউ পক্ষ বা বিপক্ষে কথা বলার সুযোগ পাবেনা। ভাইরাল টপিক গুলো নিয়ে লিখলে অন্যদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা জন্মাতে পারে আপনাকে নিয়ে। আপনি কোন কাজে দক্ষ, সেটি ফোকাস করুন। যে কাজে পারদর্শী সেটা নিয়ে লেখালেখি, পোস্ট, সেটাই বেশি বেশি উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। কারণ, আপনার কাজের ধারাই আপনার বিশেষত্ব। সামাজিক মিডিয়াতে যত একাউন্ট আছে সব গুলো প্রতিনিয়ত আপডেট রাখুন। পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ ব্যক্তিগত প্রোফাইলের গুরুত্ব কতটুকু পারসোনাল ব্রান্ডিং এর জন্য একজন মানুষের ব্যক্তিগত বা পারসোনাল আইডিও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন একটি পারসোনাল আইডির মাধ্যমেই একজন মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে।তাই সব সময় এই আইডিকে স্বচ্ছ রাখতে হবে। পারসোনাল প্রোফাইল ব্যবহার করে পারসোনাল ব্রান্ডিং করার উপায়_ গঠনমূলক কমেন্টঃ একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হিসেবে গঠনমূলক কমেন্ট করা খুবই দরকার।এর অন্যতম কারন নিজের আলাদা একটা পরিচিতি বা ধারনা জন্মে অন্য মানুষের কাছে।এইজন্য অন্য ব্যক্তির পোস্টে সব সময় গঠনমূলক কমেন্ট করতে হবে। সাজানো প্রোফাইলঃ প্রোফাইল যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই সব সময় প্রোফাইল কে স্বচ্ছ রাখতে হবে,যাতে অন্য মানুষের কাছে ভালো পারসোনাল ব্রান্ডিং বাড়ানো যায়। এর জন্য নামের ক্ষেত্রে নিজ নাম ব্যবহার করা, প্রোফাইল সব সময় পাবলিক রাখা, নিজের ছবি ব্যবহার করা, নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া উচিৎ । পণ্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ একজন উদ্যোক্তার পারসোনাল ব্রান্ডিং বাড়ে তার পণ্য বা সেবার মাধ্যমে। এজন্য ব্যক্তিগত প্রোফাইলে পণ্য নিয়ে কন্টেন্ট লেখার সময় বিস্তারিত, তথ্যবহুল পোস্ট দিতে হবে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত পণ্যের উপস্থাপন তুলে ধরতে হবে। সরাসরি সেল পোস্ট না দিয়ে পণ্যের গুনগত মান,উপকারিতা তুলে ধরতে হবে। ভিডিও কন্টেন্ট বা পডকাস্টঃ একজন উদ্যোক্তাকে পারসোনাল ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে পডকাস্ট এর ব্যবহার করতে হবে। এর অন্যতম কারন, মানুষের কাছে ভালোভাবে আলাদা পরিচিতি বা পারসোনাল ব্রান্ডিং মজবুত হয়। ছোট ছোট ভিডিওর মাধ্যমে পণ্যের উপস্থাপন করলে ভালো সাড়া পাওয়া যায়। সার্ভিস,রিভিউ,ধারাবাহিকতা রক্ষাঃ পারসোনাল ব্রান্ডিং এর জন্য একজন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী কে সব সময় ভালো সার্ভিস দিতে হবে, এর পাশাপাশি আইডিতে সার্ভিস কেমন হবে?কিভাবে হবে? তার সকল ব্যাখ্যা থাকতে হবে। আবার, পেজ বা গ্রুপের রিভিউ গুলোর উপস্থাপন করতে হবে সঠিকভাবে, নিয়মিত পোস্ট লেখার পাশাপাশি ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।তাহলে খুব অল্প সময়ে ভালো সাফল্য করা যাবে। পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ পার্সোনাল আইডির প্রতিবন্ধকতা কি কি হতে পারে, এর সমাধান কি পারসোনাল ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে পারসোনাল আইডিকে ব্যবহার করে যেমন সফল হওয়া যায়,তেমনি পারসোনাল আইডিতে অবান্তর লেখা,আলোচনা,সমালোচনা করার মাধ্যমে পারসোনাল ব্রান্ডিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মানুষের কাছে নেগেটিভ হওয়ার সুযোগ থাকে।আর নেগেটিভ হওয়া মানেই পারসোনাল ব্রান্ডিং এ পিছিয়ে যাওয়া। পারসোনাল ব্রান্ডিং হওয়ার যে প্রতিবন্ধকতা গুলো রয়েছে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন _ অন্য ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা যদি আপনার সমজাতীয় পণ্য নিয়ে কাজ করে, তার নির্ধারিত পোস্টের নিচে অন্য ক্রেতা বা কাস্টমার দাম জানতে আগ্রহী হলে সেখানে আপনার কখনোই লেখা উচিৎ না দাম জানতে ইনবক্স করুন বা আমার কাছে একই পণ্য আছে। এতে আপনার পারসোনাল ব্রান্ডিং নষ্ট হয়ে যাবে। রাজনৈতিক ব্যাপারে কখনোই পোস্ট করা যাবেনা,কারন এখানে বিভিন্ন মতাদর্শের লোক থাকে। আবার ভাইরাল ইস্যুর ব্যাপারে ফানি ভিডিও শেয়ার করা যাবেনা। কাস্টমার হলো ব্যবসায়ের প্রাণ।এক্ষেত্রে কখনোই অন্য ক্রেতাদের নিয়ে নেতিবাচক কথাবার্তা বলা ও লেখা যাবেনা। সব সময় পজেটিভ বার্তা দিতে হবে। ধর্ম খুব সেনসেটিভ ইস্যু। এই জন্য পারসোনাল প্রোফাইলে অন্যের ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে কোন কিছু বলা বা লেখা যাবেনা। কোন ব্যক্তি বা বন্ধু তালিকায় যে সকল মানুষ থাকে তাদের সাথে কথাবার্তা তে মাধুর্য থাকতে হবে। তাদের ইনবক্সে পেজ বা গ্রুপের লিংক দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি পুশ সেলিং(জোরপূর্বক) করা যাবেনা। আবার ইচ্ছার বিপরীতে কোন ধরনের রিভিউ আদায় করা যাবেনা। পার্সোনাল ব্রান্ডিং একজন মানুষের ক্যারিয়ার, শিক্ষা, ব্যবসা, ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে যেতে, সফল হতে দারুণ ভাবে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, আমাদের সবারই পার্সোনাল ব্রান্ডিং করা উচিৎ। তাছাড়া, এখন সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকেই স্পেশাল হয়ে উঠতে পারেন। লেখিকাঃ আহমেদ বসরী, ইউনানী চিকিৎসক এবং স্বত্বাধিকারী- ইট্রিফল Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore
আমরা অনেকেই ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং দু’টোকেই পুরোপুরি এক মনে করি। তবে উভয়ই পুরোপুরি এক না হলেও একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। আপনি চাইলে ব্র্যান্ডিংকে একটি ভিন্ন মাত্রার মার্কেটিং প্ল্যান বলতে পারেন। মার্কেটিং পলিসিতে সাধারণত প্রোডাক্ট কিনতে কাস্টমারকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। আমরা দিচ্ছি সেরা পণ্যটি, আমাদের পণ্য অন্য সকল পণ্যের থেকে ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি প্রমোশনাল বাক্য এক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। যা সাধারণত তার টার্গেট কাস্টমারকে পণ্য কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করার জন্য বলে থাকে। Reply