You are here
Home > সংবাদ > জি-আই পন্য জামদানী’র স্বীকৃতি এবং প্রাপ্তি

জি-আই পন্য জামদানী’র স্বীকৃতি এবং প্রাপ্তি

জিআই পন্য জামদানি
Spread the love

জি-আই পন্য হিসেবে জামদানী’র স্বীকৃতি এবং উন্নতি

(ডেইলি স্টারে লেখা একটা নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে লিখছি)

জামদানী আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আভিজাত্যের পরিচায়ক। ২০১৬ সালে দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশন পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানী।

এরপর প্রায় ৬ বছর কেটে যাচ্ছে, জিআই সনদের সুবিধা কতটুকু নিতে পেরেছে এই ঐতিহ্যবাহী পন্যটি!!

 

সাধারণত কোনো দেশের কোনো পন্য জিআই সনদ পাওয়ার পর সেই পন্য এবং এর উৎপাদনকারীদের নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজানো হয়, জিআই ট্যাগের ব্যবহার, গুরুত্ব, এবং বিশ্বে এর রপ্তানি, প্রচার, প্রদর্শনী ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।

 

কিন্তু জামদানী এবং এর ৬৬ জন জিআই সনদ প্রাপ্ত তাঁতিদের নিয়ে এমন কোনো পরিকল্পনা ৬বছরেও করা হয় নি, জিআই ট্যাগিং ব্যবহার করা নিয়েও দেয়া হয় নি কোনো প্রশিক্ষন৷

সনদপ্রাপ্ত ৬৬ জন তাঁতিদের ৫-৬ জনের সাথে কথা বলে একি কথা জানতে পেরেছে ডেইলি স্টার প্রতিবেদক যে,

জিআই সনদগুলো সম্পর্কে তারা শুধু জানে এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। কিন্তু এগুলো ছ’বছর ধরে তাদের ঘরে টানিয়ে রাখা ছাড়া আর কিছু করে নি। এটা কি কাজে লাগবে, তাদের কি লাভ হবে, এই ব্যাপারেও তারা এখনো অজ্ঞ। আগেও তারা যেভাবে জামদানী বানাত, সেল করত এখনো তাই করে চলেছে।

বিশ্বে বিভিন্ন দেশে পন্য এবং দেশের ব্র্যান্ডিং করার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং মেলা হয়ে থাকে, সেগুলোতে প্রত্যেকটা দেশের জিআই পন্যগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রদর্শনী করা হয়। তবে জামদানী নিয়ে এ পর্যন্ত কতগুলো প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া হয়েছে, দেশের বাইরে জিআই ট্যাগধারী কি পরিমাণ জামদানী রপ্তানি করা হয়েছে, কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এর মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এর সবই অস্পষ্ট।

বিএফটিআই এর গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জিআই পন্যের চাহিদা অনেক বেশি। বিদেশী অনেক ইনভেস্টর রা এসব পন্যে ইনভেস্ট করতে আগ্রহী, আবার এসব পন্য ক্রেতারা ৩০% বেশি দাম দিয়েও কিনতে চায়। এতো সব সুযোগ থাকার পরও এখনো আমাদের দেশে জিআই পন্যের গুরুত্বটা বুঝে উঠতে পারেনি, একে তাই কাজেও লাগাতে পারছে না।

আমাদের দেশের তাঁতিরা সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত জামদানী তৈরী করে থাকে। এর দাম নির্ধারিত হয় ডিজাইন এবং বানানোর সময়সীমা অনুযায়ী।


বিসিক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে ৬০ হাজার পিস জামদানী তৈরী ও বিক্রি করা হয়, যা থেকে ৩৬ কোটি টাকার মতো উপার্জন হয়। তবে বিসিকে
র বাইরেও জামদানী পন্য উৎপাদন এবং বিক্রি হয়, যা থেকে বছরে ৫-৬ কোটি টাকা আসে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।


নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে বিসিকের হয়ে ২০০০ এর বেশি জামদানী তাঁতি কাজ করছেন বর্তমানে, এছাড়াও সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৫ হাজারের মতো জামদানী তাঁতি রয়েছে।

জিআই পন্য জামদানী গ্লোবাললি তখনই জনপ্রিয় হবে, যখন এই মূল্যবান ট্যাগের যথাযথ ব্যবহারের প্রতি মনোযোগী হবে সবাই। জামদানী নিয়ে কাজ করা সবাইকেই ভাবতে হবে একে নিয়ে এবং এই সনদ প্রাপ্তির সুবিধা আদায় করে নিতে হবে নিজেদেরকেই। 

ডেইলি স্টার নিউজ লিঙ্ক-
https://www.thedailystar.net/…/no-global-gain-yet…


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: