You are here
Home > বুক সামারি & রিভিউ > কিশোর ক্লাসিক- দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকান্স

কিশোর ক্লাসিক- দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকান্স

কিশোর ক্লাসিক- দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকান্স
Spread the love

কিশোর ক্লাসিক- দ্য লাস্ট অব দ্য মোহিকান্স

জেমস ফেনিমোর কুপার

 

 

 

1750 এর দশকের শেষের দিকের কথা। ফরাসী এবং ব্রিটিশদের মাঝে “নিউ ওয়ার্ল্ড” কে কেন্দ্র করে যুদ্ধ বেঁধেছে।

 

 

ইংরেজ সেনাবাহিনী কর্নেল মুনরোর নেতৃত্বে ব্রিটিশ ফাঁড়ি ফোর্ট উইলিয়াম হেনরি আক্রমণ করছে। মুনরোর কন্যা অ্যালিস এবং কোরা তাদের বাবার সাথে দেখা করতে ফোর্ট এডওয়ার্ড থেকে রওয়ানা হয়েছিল মেজর হাওয়ার্ডের সাথে।

 

বিপজ্জনক বনাঞ্চল পাড়ি দিচ্ছিল তারা লে রেনার্ড নামক এক ইন্ডিয়ান গাইডের নির্দেশনায়। পথে তাদের সাথে দেখা হলো ডেভিড গামুত নামক একজন গানের শিক্ষকের সাথে। এগিয়ে চলতে লাগল তারা ঘন বনের মধ্য দিয়ে সতর্কতার সাথে। চলতে চলতে তাদের দেখা হয়ে যায় দুই ইন্ডিয়ান এক সময়ের মহান মহিকান উপজাতির একমাত্র জীবিত সদস্য চিংগুকের ছেলে হক আই এবং আনকাসের সাথে।

 

ওদের গাইড তাদেরকে ইচ্ছা করে ভুল পথে পরিচালিত করে বিশ্বাসঘাতকতা করে। মোহিকানরা এটা বুঝতে পেরে বিশ্বাসঘাতক রেনার্ডকে ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে যায়।

 

মহিকানরা সাবধান করে যে, আঘাতপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ানটা আবার দলেবলে এসে আক্রমণ করতে পারে ওদের উপর। তাই যাত্রীদলটিকে মহিকানরা একটি জলপ্রপাতের নীচের একটি গুহায় নিরাপদ আশ্র্যের জন্য নিয়ে যায়,কিন্তু পরদিন সকালে সেখানেই তাদের উপর পলাতক ইন্ডিয়ান সংঘটিত হয়ে আক্রমণ করে।

 

তখন অ্যালিস, কোরা, হাওয়ার্ড এবং গামুটকে ধরে ফেলে ওরা। হাওয়ার্ড বদ ইন্ডিয়ান লে রানার্ড এর কাছ থেকে জানতে পারল যে, সে মুনরোর কাছ থেকে পাওয়া অতীতের অপমানের জন্য প্রতিশোধ নিতে চায় এবং কোরা তাকে বিয়ে করলে অ্যালিসকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

 

কোরা লে রানার্ড কে বিয়ে করতে অস্বীকার করল। আর তখনই হঠাৎ করে আক্রমণ করে মহিকানরা বাঁচাল আবার কোরা আর অ্যালিসকে। বারবার ইন্ডিয়ানদের আক্রমণে বাধাগ্রস্ত হয়ে অবশেষে ইংরেজদের দুর্গ ফোর্ট উইলিয়াম হেনরিতে পৌঁছে ওরা, কোরা এবং অ্যালিস তাদের বাবার সাথে দেখা করার সুযোগ পায়।

 

এদিকে হাওয়ার্ড অ্যালিসকে বিয়ে করবে বলে ওর বাবা ক্যপ্টেন মুনরোর কাছে প্রস্তাব দেয়।

 

ওই সময়ই আবার ফোর্ট উইলিয়াম হেনরি থেকে ইংরেজ সেনা প্রত্যাহারের সময়, ফরাসিদের সমর্থনকারী ইন্ডিয়ানরা  সেনাদের উপর আক্রমন করে এবং শয়তান লে রেনার্ড কোরা, অ্যালিস এবং গানের শিক্ষক গামুটকে ধরে নিয়ে যায়।

 

 

তিন দিন পরে, হাওয়ার্ড, মুনরো এবং মহিকানরা অনুসরণ করতে শুরু করে যেদিক দিয়ে বন্দিদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গামুট ইন্ডিয়ানদের পোশাক পরে ছদ্মবেশে তাদের সাথে দেখা করে জানায় যে, কোরা আর অ্যালিসকে ওরা আলাদা বন্দি করে রেখেছে আর ওর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে ওকে ছেড়ে দিয়েছে।

 

 

মহিকান হকআই বিভিন্ন ছদ্মবেশ ব্যবহার করে আবারও বন্দিদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং ডেলাওয়্যার গ্রামে আশ্রয় নেয় তারা। লে রেনার্ডও ওদের খুঁজে খুঁজে এখানে এসে হাজির হয় এবং ডেলাওয়্যার গ্রামের ইন্ডিয়ানদের বিশ্বাস করিয়ে দেয় যে হকআই এবং তার সঙ্গীরা সবাই তাদের শত্রু।

 

কিন্তু তখনই আনকাস ডেলাওয়্যার সরদারের কাছে তার আসল পরিচয় প্রকাশ করে যে, সে এ গোত্রেরই একজন আর মহিকান্সদের শেষ বংশধর। সে তার সমস্ত বন্ধুদের মুক্তি দাবি করে।

 

কিন্তু লে রেনার্ড কোরাকে কোনোভাবেই মুক্তি না দিয়ে জোর করে নিয়ে গেল ওর সাথে। কিছুক্ষন পরই হেওয়ার্ড আর মোহিকান্সরা রওনা হলো সেদিকে কোরাকে উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু কোরাকে আর বাঁচাতে পারল না ওরা, এক শয়তান ইন্ডিয়ানের ছোরার আঘাতে প্রান দিতে হল বেচারিকে।

 

কোরাকে মারা ইচ্ছা লে রেনার্ডের ছিল না, সে ওকে বিয়ে করে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। তা করতে না পেরে রাগে আনকাসকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে বসে সে, এই আঘাতেই প্রান দেয় মোহিকান্সদের শেষ বংশধর।

 

ডেলাওয়্যাররা পরদিন সকালে কোরা এবং আনাকাসের দাফন কাজ সম্পন্ন করে।

 

হকআই আর ডেলাওয়্যার সর্দার চিঙ্গাচুক মোহিকান্সদের শেষ বংশধরের মৃত্যুতে চরম দুঃখ পেয়ে চোখের জ্বলে ভিজিয়ে দেয় কবর আর বহুবছর পরও এই নিউ ওয়ার্ল্ডবাসী দুইজন আনকাসের স্মৃতি  স্মরণে রাখে।

 

আর যে নিউ ওয়ার্ল্ডের জন্য দুই দল এতো রক্ত ঝরাল সেটা তাদের কারো হল না!

 

মোহিকান্সরা তাদের প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব কিন্তু শুধু বীরত্ব দিয়ে প্রমান করেনি, করেছে মনুষ্যত্ব দিয়ে। পথে হঠাত দেখা হওয়া ইংরেজ মেয়ে দুটোর জন্য ওরা কি না করেছে!

 

সবশেষে নিজের জীবন দিয়ে প্রমান করেছে, “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।”


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: