You are here
Home > বুক সামারি & রিভিউ > “এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ”- জুল্ ভার্ন

“এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ”- জুল্ ভার্ন

এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ
Spread the love

“এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ”

জুল্ ভার্ন

(‘এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ’ এর সামারি রিভিউ)

(খুব প্রিয় একটা গল্প আমার এটা। ১৭৫৪ শব্দের সামারি রিভিউ লিখেছি, মোটামুটি পুরো গল্পের সব গুরুত্বপূর্ন পার্ট লেখা হয়ে গেছে)
‘এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ’ গল্পটার নায়ক ফিলিয়াস ফগ লন্ডন রিফর্ম ক্লাবের সদস্য, অসম্ভব রকমের সময়নিষ্ঠ এক অদ্ভুত রহস্যময় ব্যক্তিত্ব উনি। আর এই রিফোর্ম ক্লাবে সব গন্যমান্য ব্যক্তিদের আনাগোনা, সবার অবসর সময়টা এখানেই কাটে।
আর ফিলিয়াস ফগের সারাদিনই এখানে কাটে বলতে গেলে, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সব এখানে করে রাতে শুধু বাসায় গিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে একদম ঘড়ির কাটা ধরে প্রয়োজনীয় সব কাজ সেরে আবার ক্লাবে চলে যান ফগ। প্রত্যেকটা কাজে তার পারফেকশন চাই, ঠিক সময়ে করা চাই।
অদ্ভুত স্বভাবের এই ব্যক্তির ছিয়াশী ডিগ্রী গরম পানিতে দাড়ি কামায়, ওর এক চাকর একদিন পানি দুই ডিগ্রী কম গরম করেছিল বলে চাকরিচ্যুত করেছিল ওকে। কিন্তু কাজের লোক ছাড়াও চলবে না ওর, তাই আবার লোক নিয়োগ করল।
এবার চাকর হিসেবে সে একজন ফরাসী কে পেল, নাম পাসোপার্তো। এইবারের চাকর একদম মনিবের মতোই সময়নিষ্ঠ, চাকর আর মনিব দুইজনই দুইজন কে পেয়ে খুব খুশি।

ফিলিয়াস ফগের জীবন তার বাসা আর একটা ক্লাবের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও, দুনিয়ার কোথায় কি আছে, কোথায় কি হচ্ছে সব খবর উনি জানতেন। শুধুমাত্র প্রতিদিন সকালে ক্লাবে বসে টাইমস ,স্ট্যান্ডার্ড আর মর্নিং ক্রনিক্যালস পত্রিকাগুলোকে একদম তন্নতন্ন করে পড়ার ফলে।

এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ এর নায়ক ফগ বাজি ধরতে পছন্দ করতেন, মনের আনন্দে খেলতেন। তবে জিতলে সেই টাকা কখনো বাসায় নিয়ে যেতেন না, ধাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দিতেন।

ক্লাবের সদস্যদের সাথে একদিন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে করতে ফগ বলে উঠলেন, পৃথিবীটা তো এখন অনেক ছোট হয়ে গেছে। মাত্র আশিদিনেই পুরো পৃথিবীটা চক্কর দিয়ে আসা সম্ভব।
ক্লাবের সব সদস্য ওর কথাকে হেয়ালি বলে উড়িয়ে দিতে চাইল, কারন এটা কিভাবে সম্ভব হবে!! কাগজে কলমের হিসেবে যদিও এটা সম্ভব হয় , বাস্তবে সম্ভব না। কারন পথ চলতে হাজারো বাধাবিপত্তি আসতে পারে।
কিন্তু ফগ তার কথায় অনড় থাকলেন এবং ক্লাবের সদস্যদের সাথে ২০ হাজার ডলার বাজি ধরে বসলেন। সবাই ওকে পাগলই ভেবে বসল।
কিন্তু যাকে বলে ফিলিয়াস ফগ, তার কথা কাজের অমিল হবে এতো অসম্ভব!!
বাজি ধরার সাথে সাথে ক্লাবের সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় গিয়ে দ্রুত পাসোপার্তোকে নিয়ে সব গুছিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে, সাথে ২০ হাজার পাউন্ড নিয়ে বেরিয়ে পড়ল ৮০ দিনের যাত্রার উদ্দেশ্যে।
ফগের এই ভ্রমণের কাহিনী শুধু ক্লাবেই চাপা থাকল না। পরদিন খবরের কাগজজুড়ে এই খবর ফলাও করে প্রচার হলো আর মানুষ ওকে উন্মাদ বলে গালি গালাজ করল।
মজার ব্যাপার হলো ফগের যাত্রার ঠিক আগের দিনই এক ব্যাংক ডাকাতি হয় আর ৫৫ হাজার পাউন্ড খোয়া যায়। ডাকাত কে ধরতে সারাদেশে গোয়েন্দাদের ছড়িয়ে দেয়া হয়, আর এক গোয়েন্দা ফিক্স ফগের বিশ্বভ্রমনের খবর পেয়ে ওকেই ডাকাত বলে সন্দেহ করে ওর পিছু নেয়।
১৮০০ শতকের কথা, যোগাযোগের মাধ্যম বলতে ছিল শুধু স্টীমার আর রেল। ফিলিয়াস ফগ যাত্রা করার আগে ৮০ দিনের ভ্রমনের জন্য যে শিডিউল সাজিয়েছিলেন তা বলছিঃ

· প্রথমে সুয়েজ থেকে বোম্বাই স্টীমারে করে যাবেন ১৩ দিন সময়ে

· বম্বাই থেকে কলকাতা রেল যোগে ৩দিন
· কলকাতা থেকে হংকং এ স্টীমার যোগে ১৩দিন
· হংকং থেকে ইয়োকাহামা স্টীমার যোগে ৬দিন
· ইয়োকাহামা থেকে স্টীমার যোগে সানফ্রান্সিস্কো, আমেরিকা ২২দিন
· সানফ্রান্সিস্কো থেকে নিউইয়র্ক রেল যোগে ৭দিন

· নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন রেল ও স্টীমার যোগে ৯দিন

এই ছক কষে যাত্রা শুরু করলেও পথের নানান বাঁধাবিপত্তির কারণে তার এই শিডিউলে অনেক পরিবর্তন এসেছে ঠিকই ,কিন্তু কোনো বাঁধাই তাকে আটকে রাখতে পারেনি নিজের টার্গেট ফিলাপ করার জন্য।

যাত্রাপথে অনেক কিছুই ঘটেছে, তার মধ্য থেকে বিশেষ কিছু বিপদের কথা উল্ল্যেখ করছি শুধু।

গোয়েন্দা ফিক্স অন্যতম এক বিপদ, ফগ বা পাসোপার্তো কারো ধারনা নেই যে ও একজন গোয়েন্দা। এই সুযোগটাই নিয়েছে ফিক্স। সে নানাভাবে পাসোপার্তোর কাছ থেকে ফগের সম্পর্কে সব তথ্য জেনে নিত। আর ওদের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে ওদের সাথে সাথে ছুটত আর বিভিন্ন ভাবে বিপদে ফেলার চেষ্টার কোনো ত্রুটি সে রাখেনি।
এছাড়া বোম্বাই প্রথম বিপদের সৃষ্টি করে পাশপার্তো, না জেনে বোঝে হিন্দুদের এক মন্দিরে জুতা সহ প্রবেশ করে। এটা দেখে মন্দিরের পুরোহিত আর জনতা মিলে তাকে বেদম প্রহার করে নাজেহাল অবস্থা করে দেয়। জুতা ছাড়াই সে দৌড়ে স্টেশ্ন গিয়ে হাজির হয় বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে। ফগ ওর এই কাহিনী শুনে একচোট বকে নেয় যেন এমন কাজ আর না করে।
প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনের টিকিট দিয়েছে বোম্বাই থেকে কলকাতা পর্যন্ত। কিন্তু ট্রেন এলাহাবাদ পর্যন্তও যেতে পারেনি, তার ৫০ মাইল আগেই দাঁড়িয়ে পরেছে। সামনে আর রেললাইন পাতা হয় নি বলে। অন্যান্য লোকজন এতে প্রচুর রাগ হয়ে কন্ডাক্টর কে বকাবকি শুরু করল। কিন্তু ফিলিয়াস ফগ একদম ঠান্ডা মাথায় ছিলেন।
বাধ্য হয়ে চুপচাপ নেমে গিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কিনা পাসোপার্তো কে খোঁজ করতে পাঠালেন। অনেক খোঁজে গ্রাম থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে একটা হাতি কিনে নিল সে। সাথে নিল একজন মাহুত আর গাইড ওদেরকে ঠিকভাবে অচেনা রাস্তা দিয়ে প্থ চিনিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাতি নিয়ে যাবার সময় হঠাৎ তারা শুনতে পেল ঢোলের শব্দ, দেখল হিন্দুদের এক শবযাত্রা। মৃত ব্যক্তির পাশাপাশি একজন সুন্দরী যুবতীকেও তারা টেনে নিয়ে যাচ্ছে ।
ফগ ঘটনা টা কি জানতে চাইলে গাইড জানাল, বৃদ্ধ এক রাজার সাথে জোর করে ধনী পরিবারের সুন্দরী যুবতী আউদাকে বিয়ে দেয়া হইয়েছিল। বিয়ের ৩মাসের মাথায় মারা গেল আউদার স্বামী। তাই এখন স্বামীর সাথে আউদাকেও জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা হবে সতীদাহ প্রথার নিয়ম অনুসারে। ফগ একথা শুনে হাতি থেকে নেমে পরে বললেন, এই মেয়েটা কে উনি বাঁচানোর জন্য কিছু সময় নষ্ট করতে চান।
তারা শবযাত্রা অনুসরণ করে পিলাজ্জি মন্দিরে পৌছালো আউদা কে বাঁচানোর জন্য। সারারাত অনেক চেষ্টার পরও মন্দির থেকে বের করতে পারল না ওকে, ভোর রাত হতেই আবার পুরোহিত রা চলে এলো, টেনে হিঁচড়ে আউদাকে চিতার দিকে নিয়ে গিয়ে রাজার মৃতদেহের পাশে শুইয়ে দিল।
হঠাত সবাই দেখতে পেল ধোঁয়ার ভেতর থেকে স্বয়ং রাজা আউদার হাত ধরে চিতা থেকে নেমে আসছে। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে তো পুরোহিত আর উপস্থিত সব ভয়ে মুর্ছা গেল।

আর এদিকে রাজা আউদাকে নিয়ে এসে ফিলিয়াস ফগ কে বলল, তাড়াতাড়ি চলুন এখান থেকে, পালাতে হবে। কন্ঠ শুনেই বুঝল এই রাজা তো আসলে পাসোপার্তো।

কোন ফাকে সে ধোঁয়ার অস্পষ্টতার সুযোগ নিয়ে চিতায় উঠে শুয়ে ছিল!! যাই হোক দ্রুত তারা সেখান থেকে আউদা কে নিয়ে পালাল। কলকাতায় পৌঁছাতেই তাদেরকে পুলিশ এরেস্ট করল।
তারা ভাবল আউদা কে নিয়ে পালিয়েছে বলে, কিন্তু না, আসলে সেই যে পাসোপার্তো মন্দিরে জুতা নিয়ে গিয়েছিল সেই অপরাধেই ওকে অভিযুক্ত করে এরেস্ট করা হইয়েছে, এই এরেস্টের ফাঁদটাও কিন্তু আসলে নাছোড়বান্দা গোয়েন্দা ফিক্সের বুদ্ধিতেই পাতা হয়েছে।
পাসোপার্তো ঘটনায় ভীষন লজ্জা পেলেও , মনিব ফগ তখন চুপচাপ ২হাজার টাকা দিয়ে ওদের জামিন নিয়ে নিলেন। আবার রওনা হলেন হংকং এর স্টীমারের উদ্দ্যেশ্যে।
ভালোয় ভালোয় হংকং পৌছাল তারা। সেখানে গিয়ে জাহাজ থেকে নামতেই পাসোপার্তোর সাথে আবার গোয়েন্দা ফিক্সের দেখা। ফিক্স এইবার ওকে সব খুলে বলল যে, ওর মনিব আসলে একটা ব্যাংক ডাকাত। ওকে ধরিয়ে দিতে যেন সে সাহায্য করে। পাসোপার্তো তো একথা শুনে ফিক্স কে এক হাত দেখে নিলেন। ওর ধারণা ওর মনিবের মতো এমন দয়ালু একজন মানুষকে কি করে ব্যংক ডাকাত বলতে পারে!
ফিক্স কাজ হবেনা বুঝতে পেরে পাসোপার্তোকে সুকৌশলে আফিম খাওয়িয়ে দিলেন, যা ওকে একদম অচেতন করে দিল। সকাল পর্যন্ত ফিলিয়াস ফগ পাসোপার্তোর কোনো সন্ধান না পেয়ে আর অপেক্ষা করলেন না। সাউদা কে নিয়ে বন্দরে গিয়ে দেখলেন কাঙ্খিত জাহাজ আগেরদিন সন্ধ্যায়ই বন্দর ছেড়ে গেছে।
ফিলিয়াস ফগ এতেও মোটেই বিচলিত হলেন না!! ঠান্ডা মাথায় উনি সমুদ্রযাত্রা করতে পারে এমন একটা নৌকার সন্ধান করতে লাগলেন । পেয়েও গেলেন অবশেষে, সেই নৌকায় চড়েই তারা পাড়ি দিলেন কয়েকশ মাইল আর আগের দিন ছেড়ে যাওয়া জাহাজটাকে ধরে ফেললেন তারা।
সেই জাহাজে পাসোপার্তোকে দেখেতো অবাক ওরা! আফিমের ঘোরে থেকেই টালমাতাল অবস্থায় পাসোপার্তো কোনো রকমে জাহাজে উঠতে পেরেছিল। কিন্তু উঠে আর মনিব কে খুঁজে পায় নি, কারন ওকে খুঁজেই ফগ দেরি করে ফেলেছে।
যাই হোক! এই বিপদ থেকেও তারা উদ্ধার পেয়ে নির্ধারিত সময়ের মাঝেই ইয়োকোহামা থেকে সানফ্রান্সিস্কো পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। এর মাঝেও তারা অনেক ঝামেলায় পড়েছে আর গোয়েন্দা ফিক্স তো আছেই।
যাই হোক, নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় আরেক বিপদে পড়েছে ওরা, এই বারও জাহাজ ছেড়ে চলে গেছে।
এইবার ফিলিয়াস ফগ আরও বিশাল কান্ড করে বসলেন। প্রথমে মালবাহী এক জাহাজের ক্যাপ্টেনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে রাজি করালেন ওদেরকে স্পেন পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য। তারপর সুযোগ বুঝে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ওকে বন্দী করে জাহাজ দখল করে নিজের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব নিলেন।
জাহাজের কয়লা ফুরিয়ে গেল যাত্রা প্থ পেরুবার অনেক দূর আগেই। তাই ফগ এইবার জাহাজটা ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে কিনে নিল ৬০ হাজার ডলারের বিনিময়ে। কিনে সেটার তক্তা পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে তা দিয়েই জাহাজকে কোনো রকমে চালিয়ে নিয়ে গেল স্পেন পর্যন্ত।
আর মাত্র ৬ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবে লন্ডন নির্ধারিত সময়ের আরও আগেই। কিন্তু বিধিবাম,স্পেনে নামার পরই ফিক্স স্বরূপে হাজির হলো ফগের সামনে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে। আর বন্দি করল তাকে কারাগারে।
ফিলিয়াস ফগ এতে মারাত্মক বিস্মিত হলো! তাকে অবশেষে বিনা দোষে জেলখানায়ও যেতে হলো। আর এতো কিছু করার পরও শেষ রক্ষা হলোনা, বাজিতে বুঝি হেরেই গেলো।
কয়েক ঘণ্টা পর ফিক্স এসে লজ্জিত আর অনুতপ্ত হয়ে বলল, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আসল ব্যাংক ডাকাতকে ৩দিন আগেই ধরা হয়েছে।
এটা শোনার পর ফগ এক ঘুষিতে ফিক্স কে ফেলে দিলেন, ফিক্সের আর উঠার শক্তি থাকল না। কারণ ওর জন্যই বাজিতে হেরে গেলো সে, তীরে এসে তরী ডুবল।
খুব মন খারাপ করে লন্ডন ফিরে গেলেন ফগ। বাড়িতে মন খারাপ করে বসে রইলেন, কোথাও বের হলেন না।ওর এই বিমর্ষ অবস্থা দেখে আউদা হাত ধরে বলল , আমি আপনার এই মন খারাপের দিনে স্ত্রী হয়ে পাশে থাকতে চাই যদি আমাকে গ্রহন করতে পারেন।
ফগ আউদার কথা শুনে ভীষন খুশি হয়ে তৎক্ষণাৎ পাসোপার্তোকে ডেকে গীর্জায় পাঠালেন যাজক কে জানাতে যে, পরদিন সোমবারেই বিয়ে করতে চায় তারা।
কিন্ত পাসোপার্তো দৌডে এসে মনিব কে সংবাদ দেয় পরদিন রবিবার তাই গীর্জায় বিয়ে পরানো যাবে না। এর মানে হলো সামান্য হিসাবের ভুলের কারনে ফিলিয়াস ফগ ৮০ দিনের একদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন লন্ডন। তখনই দৌড়ে রিফর্ম ক্লাবে যেয়ে হাজির হলেন নির্ধারিত সময়ের মাত্র ৪ সেকেন্ড আগে। বহু মানুষ তার অপেক্ষায় ছিল সেদিন, সবাই সাদর সম্ভাষণ জানাল তাকে।
** ফিলিয়াস ফগ লোকটা শুধু টাকার খেলায় দেখিয়েছে পুরো গল্পটা জুড়ে, পানির মতো টাকা ঢেলেছে। দুনিয়ায় টাকা থাকলে যে সব সম্ভব এটাই মনে হলো বুঝিয়েছে লেখক। তবে ফগের টাকার উৎসটা আর এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ থেকে বুঝতে পারলাম না!
শুরুতে বলা হইয়েছিল ওর বাড়িতে এক লোক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, যিনি বিখ্যাত নাট্যকার এবং পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। টাকা হয়ত ওই লোকই রেখে গিয়েছিলেন, এছাড়া কিছু পেলাম না।
** এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেইজ এর নায়ক ফিলিয়াস ফগের চরিত্রের আকর্ষনীয় দিক অনেক। যত কঠিন বিপদই আসুক, তিনি চরম শান্ত থাকেন তখন এবং ঠান্ডা মাথায় সব ঠিক সামলে নেন। ওর সময়নিষ্ঠতা, একাগ্রতা, লক্ষ্য অর্জনের দিকে ফোকাস করে অবিরাম ছুটে চলা, দয়ালু আর মহানুভব আচরণ সব কিছুর জন্য লোকটাকে ভীষন ভালো লাগবে আপনার।
তবে ওর এই সীমাহীন টাকার অস্তিত্বই চরিত্র টা কে দুর্বল করে দিয়েছে বলে মনে হয়েছে আমার, কারণ সবার এটা মনে হবে যে ,ফালানোর মতো অজস্র টাকা আছে ফালাইতে কি!! এতো টাকা থাকলে ৮০ দিনে বিশ্বজয় আর অসম্ভব কি!!

তবে যাই বলেন – একটা কথা আপনাকে মানতেই হবে এবং ফিলিয়াস ফগ কে এজন্য শ্রদ্ধা করতেই হবে,

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে সতীদাহ প্রথা থেকে আউদাকে বাঁচিয়ে এনেছে।
আর হলো , টাকা থাকলেই এতোটা ঠান্ডা মাথায় এতোগুলো বিপদকে প্রতিহত করা সবার দ্বারা সম্ভব হতো না। ও যে কতটা বিচক্ষন লোক তার প্রমান সে প্রতিটি পদক্ষেপে রেখেছে।
বিপদে না ঘাবড়িয়ে তাই মাথা ঠান্ডা করে ভাবলে আর সেই অনুযায়ী সমাধানের পথ খুঁজে নিলে যে কোনো বিপদ থেকেই উদ্ধার পাওয়া সম্ভব।

বিশ্বকে জানার জন্য নিয়মিত নিউজপেপার পড়ার বিকল্প নেই।


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: