You are here
Home > Blog > আরিফা মডেল (Arifa Model) কি এবং কেন?

আরিফা মডেল (Arifa Model) কি এবং কেন?

আরিফা মডেল
Spread the love

আরিফা মডেল (Arifa Model) কি এবং কেন? 

আরিফা মডেল(Arifa Model) হলো –

ই-ক্যাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট রাজীব আহমেদ (https://web.facebook.com/apurazib) স্যারের তৈরী একটা আদর্শ গাইডলাইন, যার যাত্রা শুরু হয়েছিল স্যারের তৈরী Digital Skills for Bangladesh (https://web.facebook.com/groups/digitalskillsbd) নামের ফেসবুক গ্রুপ থেকে।
আরিফা মডেল কি ডিটেইলসে এই উত্তর দেয়ার আগে মডেল এর গুরুত্ব বলে নেই।

• মডেল কি এবং কেন প্রয়োজন?

মডেল হল কোনো কাজের ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো বা আদর্শ, যা ছবির মতো সব সময় চোখে ভেসে থাকবে আর সঠিক এবং নির্ভুল ভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।
একটা মডেল যে কোনো কাজকে অনেকটাই সহজ করে দেয়, টার্গেটেড জায়গায় পৌঁছাতে হলে কোন কাজের পর কোন কাজ করতে হবে সেটার উপায় বলে দেয়। এটা একটা স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেস। ছোট-বড় যে কোনো প্রজেক্ট কে সফল করতে হলে তাই মডেলের বিকল্প নেই।
আর এজন্যই সারাবিশ্বেই যে কোনো প্রজেক্ট শুরুর প্রথম ধাপ হল সেটার জন্য একটা আদর্শ মডেল বা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা, যার অন্তর্ভুক্ত দিক-নির্দেশনাই হয় প্রজেক্টে সফলতার মূল চাবিকাঠি।
আর মডেলের মাধ্যমে প্রজেক্টের সাথে জড়িত প্রত্যেকেই ঠিক একি নির্দেশনা মেনে চলে, তাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হয় এক এবং অদ্বিতীয়।
ঠিক এমনই এক লক্ষ্যকে সামনে রেখে আরিফা মডেলের উদ্ভব।

আরিফা মডেল কেন?

রাজীব আহমেদ স্যার আরিফা মডেল ঘোষনা করেছিলেন বেশ কয়েকটি টার্গেটকে মাথায় রেখে।

এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল-

ই-লার্নিং এর মাধ্যমে মানুষের দক্ষতা তৈরী এবং সেই দক্ষ জনগোষ্ঠী নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক টিম তৈরী করে ইন্টারনেট জগতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল সম্পর্কিত তথ্যের ঘাটতি দূর করা।
আমাদের দেশ ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সম্পদে সমৃদ্ধ। অথচ আমাদের সচেতনতা এবং প্রচারের অভাবে অনেক ঐতিহ্যই এখন বিলুপ্তির পথে। এমন অনেক কিছু ছিল আমাদের চারপাশে এবং এখনো আছে যার ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ, শুধুমাত্র এগুলো নিয়ে আমাদের জানতে চাওয়ার আগ্রহের অভাবে।
আর তাই তথ্য কেন্দ্রিক এই যুগে, আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং এর ঐতিহ্য সম্পর্কে গুগলে সমৃদ্ধ তথ্য প্রায় নেই বললেই চললে। এই তথ্যের অপ্রতুলতার কারণেই অনেক পিছিয়ে আছি আমরা। আমরা আমাদের দেশকে কম জানি বলেই এর সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারছি না।
ঠিক এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং ই-কমার্স সেক্টরের মাধ্যমে দেশের অঞ্চলভিত্তিক তথ্যের ঘাটতি পূরণ করে এর সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করার জন্যই এই আরিফা মডেল।
আরিফা মডেল একটা স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেস। এ মডেলের একজন হয়ে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি কিভাবে নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন, এর উপায়ও এই মডেলেই বাতলে দেয়া আছে।

আরিফা মডেলের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন

আরিফা মডেলের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের ধাপ ৩টি।

১) ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট

১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট হচ্ছে ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট রাজীব আহমেদ স্যারের একটি স্ট্রাটেজি, যার মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং স্কিল বৃদ্ধি করা যায়। এই স্ট্রাটেজির অন্তর্ভুক্ত স্যারের ১২২টি লেখা রয়েছে, সবগুলো একসাথে Digital Skills for Bangladesh এর ব্লগে দেয়া আছে।
নিয়ম হচ্ছে- প্রত্যেকটা লেখা ২ মিনিটে পড়ে শেষ করে, পড়ার পর নিজের উপলব্ধি কি হল তা নিয়ে ৮মিনিট সময়ে সেই পোস্টে কমেন্ট করতে হবে আর সেই কমেন্ট পোস্ট আকারে Digital Skills for Bangladesh গ্রুপে দিতে হবে।
এই ১০ মিনিটের এই প্র্যাক্টিস শেষ করার পর দ্রুত চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কন্টেন্ট রাইটিং এর জড়তা কেটে যায়। কোনো কিছু লিখতে গেলে আর এতো ভাবতে হয় না, মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করতে পারে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট গুলো লিংকঃ

২) সার্চ ইংলিশের রিডিং সিলেবাস

Search English রাজীব আহমেদ স্যার নির্মিত অন্যতম সেরা প্লাটফর্ম, যা ফেসবুকের মাধ্যমে পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে স্বাধীনভাবে ইংরেজি চর্চা করে নিজেদের দক্ষ করে তুলছে। এই প্লাটফর্ম এর একটা স্ট্রাটেজি হল এই রিডিং সিলেবাস, যা রাজীব আহমেদ স্যার তৈরী করেছেন ইংরেজি রিডিং এ সবাইকে দক্ষ করে তোলার জন্য।
আমাদের দেশে সাধারণত বেশির ভাগ স্টুডেন্ট বাংলা মিডিয়ামে স্টাডি করে। ইংরেজি সাবজেক্ট থাকার পরও সেটা শুধু রেজাল্ট ভালো করার জন্য পড়ে বলে, ইংরেজি ভীতি সারাজীবন তাড়া করে বেরায়। ৯০ ভাগেরও বেশি স্টুডেন্ট গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করার পরও ইংরেজি নিউজপেপার পড়তে পর্যন্ত ভয় পায়! এই ইংরেজি ভীতির জন্য অনেক বিষয়ে চাইলেও জ্ঞানার্জন করা হয়ে উঠেনা, কারণ ইন্টারনেট জগৎ ইংরেজি কন্টেন্ট আর্টিকেলে পূর্ন। এখান থেকে শিখতে হলে ইংরেজি রিডিং এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে সবার আগে।
আর তাই, রাজীব আহমেদ স্যার প্রথমেই ইংরেজি রিডিং সিলেবাস তৈরী করে, ইংরেজি পড়ার ভীতি দূর করতে চেয়েছেন যেন তথ্যের জগৎ উন্মুক্ত হয়ে যায় সবার জন্য, যারা রিডিং সিলেবাস সিরিয়াস ভাবে শেষ করবে।
রিডিং সিলেবাসও সম্পূর্ণ ফ্রী এবং সহজলভ্য একটা গাইডলাইন, যা সার্চ ইংলিশ ব্লগ থেকেই পাওয়া যাবে।

রিডিং সিলেবাসের নিয়ম হল

রিডিং সিলেবাসের প্রথম শর্ত-

সাইলেন্ট রিডিং। অর্থাৎ এই নিয়মে পুরো রিডিং সিলেবাস যাস্ট চোখ বুলিয়ে দ্রুত পড়তে হবে, জোরে শব্দ করে পড়া যাবে না।
প্রথমে ক্লাস ১ থেকে ক্লাস ১২ অর্থাৎ এইচএসসি পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ইংরেজি বিষয়ের পাঠ্যবই “ইংলিশ ফর টু ডে” পড়তে হবে। প্রতি ক্লাসের বই ৫ বার করে পড়তে হবে যাস্ট চোখ বুলিয়ে।
এরপর, সার্চ ইংলিশ ব্লগের ক্যাটাগরি পোস্টগুলো পড়তে হবে।
পর্যায়ক্রমে জিরো ক্যাটাগরি ১০ বার, ওয়ান ক্যাটাগরি ১০ বার, টু ক্যাটাগরি ১০ বার, থ্রী ক্যাটাগরি ১০ বার। (ক্যাটাগরি পোস্টগুলো আমি খুব ইঞ্জয় করে পড়েছি, এগুলো এখনের নিয়মে ৫বার করে পড়লেও হবে।)
(আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের বইগুলোও সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা এখন স্যার বাদ দিয়েছেন সবার সুবিধার কথা ভেবে। তবে আমার মতে কারো সময় সুযোগ থাকলে, এই বইগুলোও সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে বলব। কারণ পড়লে লস হবে না নিশ্চিত। আমি নিজে পড়ে অনেক ইম্প্রুভমেন্ট বুঝতে পেরেছি।)
সার্চ ইংলিশের পুরো রিডিং সিলেবাসটাই একটা সেরা গাইডলাইন। খুব সহজ এবং সেরা স্ট্রাটেজি, যা সারাজীবনের ইংরেজি ভীতি দূর করে, ইংরেজি পড়া আনন্দময় করে তুলবে।
বর্তমানের এই তথ্যের যুগে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে ইংরেজি রিডিং স্কিল ডেভেলপের বিকল্প নেই।
যারা এই সিলেবাস সিরিয়াস ভাবে নিয়ে শেষ করবে, তাদের রিডিং স্কিল ডেভেলপ হওয়ার পাশাপাশি রাইটিং এবং স্পিকিং এ ভালো করতেও সাহায্য করবে। আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে।
সার্চ ইংলিশের রিডিং সিলেবাস গাইডলাইন লিঙ্ক-
জিরো ক্যাটাগরির পোস্ট গুলো পাবেন এই লিঙ্কেঃ
ওয়ান ক্যাটাগরির পোস্ট গুলো পাবেন নিচের লিঙ্কেঃ
 টু ক্যাটাগরির পোস্টগুলো পাবেন এই লিংকেঃ
ক্যাটাগরি থ্রির পোস্ট গুলো পাবেন এই লিংকেঃ

৩) প্রেজেন্টেশন পোস্ট

এই ধাপের অন্তর্ভুক্ত আছে ১০০ প্রেজেন্টেশন টপিক, যা রাজীব আহমেদ স্যার নির্ধারিত করে দিয়েছেন। ডিএসবি ব্লগে টপিকগুলো দেয়া আছে। প্রত্যেকটা টপিক সার্চ করে করে পড়ে, সেই অর্জিত জ্ঞানকে লেখার মাধ্যমে প্রেজেন্ট করতে হবে। ১০০ প্রেজেন্টেশন টপিক ১০০টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে সাহায্য করে। চেষ্টা করতে হবে একটু সময় নিয়ে প্রেজেন্টেশন টপিকগুলো সার্চ করে পড়ার, জানার এবং আকর্ষনীয় প্রেজেন্টেশন লেখার, যা অডিয়েন্সকে লেখা পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করবে। ঠিকভাবে যে কোনো টপিকে প্রেজেন্ট করার দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, যে কোনো কাজে এটা সাহায্য করবে।
এই তিনটা ধাপ সিরিয়াসভাবে নিয়ে শেষ করার পর যে কেউ বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় দ্রুত পড়তে পারবে, কন্টেন্ট রাইটিং স্কিল বৃদ্ধিভাবে, আকর্ষনীয়ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারবে যে কোনো লেখাকে, ইংরেজি নিউজ, আর্টিকেল পড়ে যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে সহজে, সর্বোপরি স্টাডি ভীতি দূর হয়ে যাবে, পড়ালেখা আনন্দময় কাজে পরিণত হবে এবং অবশ্যই একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষে পরিণত হবে।
প্রেজেন্টেশন পোস্ট গুলোর লিংকঃ

** আল্টিমেটলি এই দক্ষতাগুলো কি কাজে লাগবে?

এর উত্তর দেয়ার আগে বলে নিতে হবে আরিফা মডেলের সূত্রপাত হয়েছে আসলে কেন!

বিশ্ব এখন তথ্য নির্ভর। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে যারাই তথ্যের দিক থেকে সমৃদ্ধ থাকবে, তারাই এগিয়ে যাবে। প্রযুক্তি মানুষের অজানাকে জানার পথ সহজ করে দিয়েছে। মনে কোনো প্রশ্ন জাগলেই গুগলে সেটা নিয়ে সার্চ করে ইন্সট্যান্ট জানার আকাঙ্ক্ষা মেটানো সবার একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর তাই কিছু সার্চ করে সাথে সাথে সেই টপিক রিলেটেড তথ্য না পেলে হতাশা কাজ করাটা খুব স্বাভাবিক। আর এই হতাশা আমাদের নিত্য সঙ্গী।
কারণ ইন্টারনেট জগতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আভিজাত্য, আঞ্চলিকতা, ইতিহাস, উৎপাদিত কৃষি ও শিল্প পন্য ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য প্রায় নেই বললেই চলে। নতুন প্রজন্ম তাই অনেক ব্যাপারেই অজ্ঞ এখন, এভাবে বিলুপ্ত প্রায় আমাদের দেশের অনেক ঐতিহ্য।

দেশের কোন অঞ্চলের বিশেষত্ব কি? কোন অঞ্চলে বিশেষ কি উৎপন্ন হয়?

আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার পোশাক কোথায় কোনটা পাওয়া যায়, কিভাবে উৎপন্ন হয়, কিভাবে এগুলো সংগ্রহ করা যায়। এসবের কোনো কিছুই গুগল করে পাওয়া যায় না পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আর্টিকেলের অভাবে।

দেশের সম্ভাবনাগুলো তাই অজানা অধরাই থেকে যায়, আর তাই সবাই নিজ দেশের পন্যগুলোকে ব্র্যান্ডিং না করে, বিদেশি পন্য নিয়ে কাজ করে উদ্যোক্তারা।
অনেকের উদ্যোগ নেয়ার ইচ্ছে থাকলেও তথ্যের অভাবে, সোর্সিং সম্পর্কে না জানতে পেরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে শুরুটাই করা হয় না।
এসব বিভিন্ন সমস্যার কথা উপলব্ধি করেছিলেন রাজীব আহমেদ স্যার অনেক বছর এই সেক্টর নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে। তিনি সব সময় চেয়েছেন দেশীয় পন্যগুলো ইন্টারনেট জগতে উঠে আসুক, এগুলো নিয়ে লেখা হোক, কথা হোক, উদ্যোক্তা তৈরী হোক, আর এভাবে দেশীয় পন্যের একটা স্ট্রং ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠুক।
আর দেশীয় পন্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি কে স্ট্রং ভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই দরকার দেশীয় পন্য, ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে বেশি বেশি প্রচার করা, মানুষ কে আগ্রহী করে তোলা। এটা কেবল সম্ভব এখন ইন্টারনেট জগতের সঠিক সদ্ব্যবহার করার মাধ্যমে, গুগলে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ করার মাধ্যমে যেন মানুষ সার্চ করলেই শত শত পরিপূর্ণ লেখা আর তথ্য সামনে চলে আসে।
আর এই লেখাগুলো অবশ্যই মান সম্মতভাবে, আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যেন মানুষ সহজেই লেখা পড়ার প্রতি আকর্ষন বোধ করে। আর এর জন্য অবশ্যই কন্টেন্ট রাইটিং স্কিল দরকার সবার আগে। আর আমাদের দেশে এই দক্ষ জনগোষ্ঠীর বড় অভাব এখনো। গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেও বেশির ভাগ স্টুডেন্ট বাংলায় নিজের ভাষায় গুছিয়ে আকর্ষনীয় কন্টেন্ট আর্টিকেল লিখতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় আর ইংরেজি ভাষার ব্যবহারে ভয় তো আছেই।
আর বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য জানতে হলে ফিরে যেতে হবে অনেক বছর আগে, পৃথিবীর ইতিহাসের সব তথ্যই কোনো না কোনো জায়গায় স্টোর করা আছে, যা খুঁজে পেতে হলেও দক্ষতা অর্জন জরুরি।
তেমনিভাবে বাংলাদেশে পূর্বে ব্রিটিশদের রাজত্ব ছিল, ব্রিটিশরা তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল সম্পর্কে গ্যাজেট প্রকাশ করেছিল, যেখানে অত্র অঞ্চলের A to Z তথ্য তারা সংগ্রহ করে লিখে রেখে গিয়েছে, যার সবই ইংরেজি তে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটেও এদেশের প্রাচীন অনেক ঐতিহ্যের কথা জানা যায়, সেগুলোও সব ইংরেজিতে।
তাই সেই সব তথ্য এই প্রজন্মকে জানাতে হলে সবচেয়ে জরুরি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা, বিশেষ ভাবে ইংরেজি রিডিং দক্ষতা বৃদ্ধি করা। তবেই কেবল তথ্য সংগ্রহ করা এবং সেগুলোকে তুলে ধরা সম্ভব।

আর ঠিক এর জন্যই আরিফা মডেলের জন্ম।

রাজীব আহমেদ স্যার চেয়েছিলেন আরিফা মডেলের দক্ষতা বৃদ্ধির গাইডলাইন ফলো করার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলের কিছু সংখ্যক মানুষ কন্টেন্ট রাইটিং এবং ইংলিশ রিডিং এ দক্ষতা অর্জন করবে এবং সেই দক্ষ কয়েকজন মিলে নিজ নিজ অঞ্চলে টিম তৈরি করে, নিজের অঞ্চলের বিশেষত্ব নিজে জানবে, লিখবে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেগুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ ও বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানাবে।
এভাবেই আরিফা মডেল বাংলাদেশের ইন্টারনেট জগৎ কে তথ্যপূর্ণ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে ই-কমার্স ব্যবহারে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।
অলরেডি, আরিফা মডেলের কার্যকারিতা আমরা পরিলক্ষিত করতে পারছি। সারাদেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষ বর্তমানে এই মডেল অনুসরণ করে দক্ষতা অর্জন করছে এবং নিজ নিজ অঞ্চল নিয়ে লেখালেখি করে গুগলে আমাদের দেশের তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ  করে তুলতে কাজ শুরু করেছে। ওয়েবসাইট তৈরী করে অনেকে নিজ নিজ অঞ্চলের বিশেষত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্বপ্ন এখন আরিফা মডেল দেশের গন্ডি পেরিয়ে এক সময় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। সেই দিন হয়ত খুব বেশি দূরে নয়।

আরিফা মডেলের আরিফা কে জানতে হলে পড়তে হবে নিচের লিঙ্কের লেখাটি –

https://khjasha.com/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%86/


Spread the love
খাতুনে জান্নাত আশা
This is Khatun-A-Jannat Asha from Mymensingh, Bangladesh. I am entrepreneur and also a media activist. This is my personal blog website. I am an curious woman who always seek for new knowledge & love to spread it through the writing. That’s why I’ve started this blog. I’ll write here sharing about the knowledge I’ve gained in my life. And main focus of my writing is about E-commerce, Business, Education, Research, Literature, My country & its tradition.
https://khjasha.com

3 thoughts on “আরিফা মডেল (Arifa Model) কি এবং কেন?

  1. খুব সুন্দর লেখনি। আরিফা মডেল সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা তুলে ধরেছেন আপু। এই আর্টিকেল টি পড়লে আরিফা মডেল সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।। অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

Leave a Reply

Top
%d bloggers like this: