আরিফা মডেল- “বাংলামতি” চাল আরিফা মডেল ই-কমার্স বিজনেস by খাতুনে জান্নাত আশা - July 27, 2021August 2, 20210 Spread the lovemore পাকিস্তানী আর ভারতীয় বাসমতীর বিকল্প যখন আমাদের “বাংলামতি” বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত এবং ব্যাপক পরিসরে ব্যবহৃত বাসমতী চাল পাকিস্তান এবং ভারত থেকে আসে। অথচ বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে বাংলামতি, যা বাসমতীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার যোগ্য। বাসমতীর সব বৈশিষ্ট্যই এর মাঝে বিদ্যমান। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইনের কারণে একে বাসমতী বলা যাচ্ছে না। সারাবিশ্বেই বাসমতী চালের চাহিদা থাকায় এটা একটা সম্ভাবনাময় রপ্তানীযোগ্য পণ্য। বাংলামতি নামের এই “ব্রি ধান-৫০” উন্নত জাতের ধানবীজ হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট অবমুক্ত করে ২০০৮ সালে এবং ২০১০ সালে খুলনা অঞ্চলে এর প্রথম বানিজ্যিক চাষ হয়। বর্তমানে সারাদেশেই বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা এর চাষ করছে স্বল্প পরিসরে। সমস্যা হচ্ছে প্রচলিত মিলে এই ধান মাড়াই করলে লম্বা চাল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই ধান ‘রাবার রোল হলার’ যুক্ত অটো মিলে মাড়াই করতে হবে। এতে ধানের সুগন্ধ বজায় থাকবে। তাছাড়া অর্ধেক সিদ্ধ করা ধান ‘রাবার রোল হলার’ যুক্ত অটো মিলে মাড়াই করলে শতকরা ৭০-৮০টি আস্ত চাল পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্ত চাল দেখতে ধবধবে সাদা হবে। সাধারণত বোরো মৌসুমে লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের প্রায় সকল বোরো চাষাবাদ উপযোগী এলাকায়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, নওগাঁ, রাজশাহীসহ কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও যশোর অঞ্চলে জাতটির অধিক ফলন পাওয়া যায়। তবে এটি ময়মনসিংহেও চাষ করা হচ্ছে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার হাওড় অঞ্চলে। আর সবচেয়ে সম্ভাবনার কথা হচ্ছে হেক্টর প্রতি এই বাংলামতির উৎপাদন পাকিস্তান বা ভারতের বাসমতীর উৎপাদন পরিমাণ থেকে অনেক বেশি। অন্যান্য ধান উৎপাদনে যে সার দরকার হয়, বাংলামতি চাষে তার থেকে অনেক কম সার লাগে। সবমিলিয়ে এই ধান থেকে উৎপাদিত চালের দাম কম হওয়ায় “বাংলামতি” বাসমতীকে হটিয়ে বিশ্বজয় করতে পারে। এর উৎপাদন আর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে তাই প্রচার জরুরী। আর এই ধানবীজকে কেন্দ্র করে ই-কমার্স উদ্যোক্তা তৈরীর সম্ভাবনাও সৃষ্টি হতে পারে, তবে কৃষকের ভাগ্য ফেরার পাশাপাশি, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নেও “বাংলামতি” দারুন অবদান রাখতে পারবে। Like this:Like Loading... Related Spread the lovemoremore